প্রতীকী ছবি।
আর বিনামূল্যে ডিজিটাল লেনদেন নয়? ‘ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস’ বা ইউপিআই ব্যবহারে দিতে হবে টাকা? এ বার সেই ইঙ্গিত দিলেন খোদ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্র। তাঁর ওই মন্তব্যের পরেই ইউপিআইতে ‘মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট’ (এমডিআর) চালু হতে চলেছে বলে তুঙ্গে ওঠে জল্পনা। তাতে প্রতিটি লেনদেনের ক্ষেত্রে কী পরিমাণে খরচ হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন আরবিআই গভর্নর। সেখানে সঞ্জয় মলহোত্র বলেন, ‘‘আমাদের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো হল ইউপিআই। সরকার মনে করে এই পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া উচিত। সেই কারণে এতে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এর জেরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছে ইউপিআই। তবে একে আরও সহজলভ্য এবং টেকসই তখনই করা যাবে যখন কেউ এর খরচ বহন করবে।’’ তাঁর এই মন্তব্যের পরেই দেশ জুড়ে শুরু হয় হইচই।
আরবিআই গভর্নরের যুক্তি, ‘‘কোনও পরিষেবার খরচ সরকার বা অন্য কেউ বহন করছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসল বিষয় হল, নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ওই সুবিধা পেতে হলে তার খরচ বহন করতে হবে। সম্মিলিত ভাবে বা ব্যবহারকারীদের থেকে এর জন্য অর্থ আদায় করা যেতে পারে।’’ তবে এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কোনও বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে কি না, তা জানাননি তিনি। আরবিআইয়ের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনে ইউপিআইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৮৪০ কোটি। বছর থেকে বছরের হিসাবে যেটা ৩২ শতাংশ বেশি।
আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান, আগামী দিনে ইউপিআইয়ের প্রতি লেনদেনে এমডিআর নামের একটি ফি আদায় করবে কেন্দ্র। বর্তমানে ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডে ব্যবসায়ীদের লেনদেনের ক্ষেত্রে এক থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত এই ফি নিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে ইউপিআইকে এর আওতার বাইরে রাখে আরবিআই। এই সুবিধা রয়েছে রুপে ডেবিট কার্ড গ্রাহকদেরও। গত পাঁচ বছরে সংশ্লিষ্ট নিয়মের কোনও বদল করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
উল্লেখ্য, ছোট ব্যবসায়ীদের মধ্যে রুপে ডেবিট কার্ড এবং কমমূল্যের ভিম-ইউপিআইয়ের প্রচারের জন্য দু’হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেনে ভর্তুকি দেয় সরকার। এতে মোট লেনদেনের উপর ০.১৫ শতাংশ পর্যন্ত ‘ইনসেন্টিভ’ পেয়ে থাকেন তাঁরা। বড় ব্যবসায়ীরা এর অন্তর্ভুক্ত নন।