প্রতীকী ছবি।
ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরের প্রথাগত বিনিয়োগ থেকে মোটা রিটার্নের দিন শেষ। আর তাই ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দিন দিন মিউচুয়াল ফান্ডে বাড়ছে লগ্নির পরিমাণ। এই তহবিলে দৈনিক এবং মাসিক দু’ভাবে অর্থ স়ঞ্চয়ের রয়েছে সুযোগ। এই দু’য়ের মধ্যে কোনটি বেশি লাভজনক? কোথায় লগ্নি করলে সুদেমূলে বেশি টাকা আয় করবেন গ্রাহক? আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
মিউচুয়াল ফান্ডে প্রতি মাসে বা দিনে বিনিয়োগের যে পদ্ধতি রয়েছে, তার পোশাকি নাম ‘সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’ বা এসআইপি। এতে শেয়ার বাজারের লেনদেনের দিনগুলিতে ১০০ টাকা করে ২০ বছর ধরে লগ্নি করলে সংশ্লিষ্ট তহবিলে মোট জমা পড়বে ৫.২৮ লক্ষ টাকা। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওই জমানো টাকার উপরে বছরে ন্যূনতম ১২ শতাংশ হারে সুদ পেতে পারেন গ্রাহক। সে ক্ষেত্রে ২০ বছর পর সুদ বাবদ ১৪.৯৫ লক্ষ টাকা হাতে পাবেন তিনি। সুদেমূলে মোট স়ঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ২০.২৩ লক্ষ টাকা।
মজার বিষয় হল, ওই ব্যক্তিই যদি মাসে তিন হাজার টাকা করে এসআইপি করেন, তা হলে সুদ বাবদ বেশি অর্থ হাতে আসবে তাঁর। এ ক্ষেত্রে দিনের হিসাবে ১০০ টাকা করেই সংশ্লিষ্ট তহবিলের জন্য খরচ করবেন তিনি। তবে মাসের একটি নির্দিষ্ট দিনে মিউচুয়াল ফান্ডের তহবিলে জমা হবে তিন হাজার টাকা। এই হিসাবে ২০ বছরের লগ্নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭.২ লক্ষ টাকা।
এসআইপির হিসাব বলছে, বছরে ন্যূনতম ১২ শতাংশ সুদের হারে মাসিক তিন হাজার লগ্নিতে ২০ বছর শেষে তহবিলের আকার দাঁড়াবে ২০.৩৯ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ সুদ বাবদ ২৭.৫৯ লক্ষ টাকা পাবেন ওই গ্রাহক। অর্থাৎ ‘ট্রেডিং ডে’-তে ১০০ টাকা লগ্নির থেকে মাসে তিন হাজার টাকা বিনিয়োগে সুদেমূলে অনেক টাকা বেশি পাবেন ওই গ্রাহক।
এখানে উল্লেখ্য মিউচুয়াল ফান্ডে বার্ষিক সুদের হার স্বতঃসিদ্ধ নয়। আর তাই সূচক বছরে ১২ শতাংশের বেশি থাকলে সুদেমূলে আরও বেশি টাকা পাবেন সংশ্লিষ্ট লগ্নিকারী। আবার সুদের হার নিম্নমুখী হলে হাতে আসবে কম টাকা। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ১২ শতাংশের চেয়ে সূচক নীচে নামবে বলে মনে করছেন না আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এই তহবিলে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)