নীরব মোদী সত্যিই আমেরিকায় আছেন কি না, তা নিশ্চিত করল না সে দেশের সরকার। তাঁর সম্ভাব্য ঠিকানা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মার্কিন বিদেশ দফতরের এক মুখপাত্র এ দিন নিউ ইয়র্কে বলেন, ‘‘নীরব মোদী আমেরিকায় আছেন বলে সাম্প্রতিক যে সব খবর বেরিয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না।’’ তাঁর ঠিকানার সন্ধান পেতে ভারতকে সাহায্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, ওই মুখপাত্র বিষয়টি আইন দফতরের দিকে ঠেলে দেন। তারা আবার নীরবের ব্যাপারে কোনও মন্তব্যে নারাজ। ফলে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত এই হিরে ব্যবসায়ী এই মুহূর্তে কোথায়, তা নিয়ে নতুন করে সন্দেহ দানা বাঁধছে।
উল্লেখ্য, পিএনবি কাণ্ড ফাঁস হওয়ার পর থেকে সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি ছিল, নিউ ইয়র্কের একটি বিলাসবহুল হোটেলে রয়েছেন নীরব। যদিও এ দেশে তদন্তকারীরা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
এর মধ্যেই শুক্রবার অন্তর্বর্তী রায়ে নীরবকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে মার্কিন আদালত। এ সপ্তাহের গোড়ায় সেখানে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিল তাঁর সংস্থা ফায়ারস্টার ডায়মন্ড। আদালত জানিয়েছে, নীরব বা তাঁর সংস্থার থেকে প্রাপ্য আদায়ে পাওনাদারেরা আপাতত ব্যবস্থা নিতে পারবেন না।
নীরবের বিরুদ্ধে অবশ্য ক্ষোভে ফুঁসছেন সুরাতের একাধিক হিরে ব্যবসায়ী। তাঁদের অভিযোগ, ব্যবসার অলিখিত বহু নিয়ম মানতেন না নীরব ও তাঁর মামা মেহুল চোক্সী। টাকা মেটাতে দেরির মতো একাধিক অনিয়মের জন্য তাঁরা দু’জনের সংস্থার সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছিলেন।