শিনজো আবে।
কে একে মুখ ফেরাচ্ছে সব ‘বন্ধু’রা। এ বার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘আপত্তিকর’ তকমা দিয়ে ওয়াশিংটনের দিকে তোপ দাগল জাপানও। ট্রাম্প প্রশাসনকে তীব্র সমালোচনায় বিঁধে শিনজো আবের সরকার বলল, দীর্ঘ দিনের বাণিজ্য-বন্ধু কানাডা, মেক্সিকো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাতে যে ভাবে শুল্ক চাপানো হয়েছে, তা সহযোগিতার পরিবেশে অশুভ প্রভাব ফেলবে। নড়বড় করবে ডব্লিউটিও-র আওতায় বিশ্ব জোড়া বাণিজ্য ব্যবস্থাটাকেই। টোকিয়োর শুল্কে ছাড়ের আর্জি খারিজ করায় এক সময়কার ঘনিষ্ঠ এই সহযোগীর সঙ্গে আমেরিকার দূরত্ব তৈরি হয়েছে আগেই। এতটাই যে, গত মাসে জাপান ডব্লিউটিও-কে জানিয়েছে, মার্কিন শুল্কে তাদের ক্ষতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সে দেশের পণ্যে ৪৫.৬০ কোটি ডলার মূল্যের শুল্ক চাপানোর অধিকার আছে তাদেরও।
এ দিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদোর দাবি, যে ভাবে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার অজুহাত খাড়া করে তাদের শুল্ক ছাড় তুলেছে আমেরিকা, তা অপমানজনক, মানা যায় না। জানিয়েছেন, তাঁরা পাল্টা হিসেবে একই রকম শুল্ক চাপাবেন ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম-সহ নানা মার্কিন পণ্যে।