এ কে নন্দ। শনিবার কলকাতায়।
প্রযুক্তির ধাক্কায় ব্যক্তিগত চিঠি কার্যত এখন ইতিহাস। তার জায়গা নিয়েছে ই-মেল। সেই সঙ্গে মোবাইল ফোন তো আছেই। প্রশ্ন উঠছে, ইন্টারনেটের ব্যবহার আরও বাড়লে কি কমবে ডাকঘরের ব্যবসা? সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য যুক্তি, ব্যক্তিগত চিঠি কমেছে ঠিকই। কিন্তু বেড়েছে কেজো ও ব্যবসায়িক নথির লেনদেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্কের চেক বই, স্পিড পোস্ট, ই-কমার্সের পণ্য ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থার চিঠি সরবরাহের ব্যবসা। তাঁদের দাবি, প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়েই ব্যবসা করছে ডাক বিভাগ। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন টেলিগ্রামের কথা। কারণ, টেলিগ্রাম বন্ধ হলেও স্বমহিমায় চলছে ডাক পরিষেবা।
ডাক সচিব এ কে নন্দ প্রযুক্তির পক্ষেই সওয়াল করেছেন। শনিবার কলকাতায় জিপিও-র সার্ধ শতবর্ষের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সময়ের চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতেই হবে। কর্মীদেরও প্রযুক্তির সঙ্গে স়ড়গড় হতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দ্রুত বার্তা পাঠানোর জন্য এসেছিল টেলিগ্রাম। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন ডাকঘরের কাজ কমবে। এখন টেলিগ্রাম আর নেই। কিন্তু ডাকঘর রয়ে গিয়েছে।’’
চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেল) অরুন্ধতী ঘোষের কথায়, ‘‘পোস্টাল পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ডাক পিওনের হাতেও স্মার্টফোন এসে গিয়েছে। এ রাজ্যে প্রায় ৫৩,০০০ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।’’
গ্রাহকদের অনেকেরই অবশ্য অভিযোগ, রাজ্যের সব ডাকঘরে আধুনিক সফটওয়্যার লাগানোর পরেও পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। নন্দার বক্তব্য, নতুন ব্যবস্থায় শুরুতে কিছু সমস্যা হয়। শীঘ্রই তা মিটে যাবে।