বিজয় মাল্যকে ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতিমধ্যেই মামলা চলছে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ব্রিটিশ হাইকোর্টে বকেয়া ঋণ উদ্ধার সংক্রান্ত মামলা হারলেন বন্ধ হয়ে যাওয়া কিংফিশার এয়ারলাইন্স কর্ণধার।
গত বছর কর্নাটকের ঋণ পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত ট্রাইবুনাল নির্দেশ দিয়েছিল, ব্যাঙ্কগুলিকে ৬,২০০ কোটি টাকা এবং তার সুদ দিতে বাধ্য বিজয় মাল্য। এর পরেই তাঁর থেকে ১১৪.৫ কোটি পাউন্ড (প্রায় ১০,৫৩৪ কোটি টাকা) বকেয়া ঋণ উদ্ধারের জন্য ব্রিটিশ হাইকোর্টে মামলা করেছিল ১৩টি ভারতীয় ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জোট। এ দিন সেই মামলাতেই ব্যাঙ্কগুলির দাবি মেনেছে আদালত। রায়কে স্বাগত জানিয়েছে ঋণদাতারা।
এই রায়ের ফলে ব্রিটেন এবং ওয়েলসে মাল্যের সম্পত্তি হাতে নিতে পারবে ওই সব ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে মঙ্গলবার বিচারপতি অ্যান্ড্রু হেনশ জানিয়েছেন, বিশ্ব জুড়ে মাল্যের সম্পত্তি লেনদেন বন্ধের যে নিষেধাজ্ঞা এখন রয়েছে, তা বহাল থাকবে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ আদালতে আর্জিও জানাতে পারবেন না মাল্য। সে জন্য যেতে হবে ব্রিটেনের আপিল আদালতে।
ধাক্কা দিনভর
• ব্রিটেনে বকেয়া ঋণ উদ্ধারের মামলা হারলেন মাল্য
• সেখানে তাঁর সম্পত্তি হাতে নিতে পারবে ঋণদাতারা
• বহাল থাকবে বিশ্ব জুড়ে সম্পত্তি লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা
• এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আর্জি জানাতে পারবেন না মাল্য। যেতে হবে ব্রিটেনের আপিল আদালতে
• ভারতে ফের সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ জারি
• ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজে আট প্রোমোটার সংস্থার ১৫.৬৩% শেয়ার বাজেয়াপ্ত ইডি-র
ব্রিটেনের পাশাপাশি ভারতেও এ দিন ধাক্কা খেয়েছেন মাল্য। আগের বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন (ফেরা) লঙ্ঘন করে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে ফের তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির এক আদালত। কালো টাকা লেনদেন প্রতিরোধ আইনের আওতায় ওই মামলা করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
এর আগে এই মামলায় গত ২৭ মার্চ বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনারকে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। মঙ্গলবারই ছিল তার শেষ দিন। কিন্তু এখনও সে বিষয়ে কোনও অগ্রগতি না হওয়ায়, আজ ইডি-র আর্জির ভিত্তিতে নতুন করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, এ দিন ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজে আটটি প্রোমোটার সংস্থার মোট ১৫.৬৩% শেয়ার (প্রায় ৪.৩ কোটি) বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। উল্লেখ্য, এক সময়ে মাল্যের হাতেই ছিল সংস্থাটির রাশ। গত বছরে সেবি-র নির্দেশ মেনে তাঁকে সংস্থার সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজ।