বিট্ল তৈরি বন্ধ হচ্ছে কারখানায়।
রাস্তায় আর গড়াবে না গুবরে পোকা। আগামী বছরই বিশ্বের প্রথম আমজনতার গাড়ি বিট্ল তৈরি বন্ধ করে দিচ্ছে ফোক্সভাগেন। গুবরে পোকার আদলে তৈরি যে গাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে কয়েক প্রজন্মের নস্ট্যালজিয়া।
আমেরিকায় জার্মান সংস্থাটির শীর্ষ কর্তা হিনরিখ ওয়েবকেনের দাবি, বৈদ্যুতিক ও অন্যান্য গাড়িতেই জোর দিতে চান তাঁরা। তাই মেক্সিকোর কারখানায় বিট্ল তৈরি বন্ধ হচ্ছে। এখন শুধু সেখানেই তৈরি হয় এটি।
এই চার চাকার জন্মলগ্ন থেকেই জড়িয়ে নাৎসি জমানার ইতিহাস। অ্যাডলফ হিটলার ১৯৩৭ সালে সরকারি সংস্থা হিসেবে ফোক্সভাগেন গড়েন আমজনতার জন্য গাড়ি তৈরি করতে। বিট্লও তাঁর সহযোগিতাতেই তৈরি করেছিলেন ফার্দিনান্দ পোর্শে।
বিশ্ব যুদ্ধের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ‘ছোট হলেও সুন্দর’ বলে পরিচিত ছিল বিট্ল। ইউরোপের পরে তার চাকা গড়ায় আমেরিকাতেও। যদিও নাৎসি-যোগের দরুন গোড়ায় ধাক্কা খেয়েছিল বিক্রি। তখন তা মেক্সিকো ছাড়াও তৈরি হত ব্রাজিলে।
তবে ১৯৭৯ নাগাদ আমেরিকায় বন্ধ হয় গাড়িটির বিক্রি। এই অবস্থায় নব্বইয়ের দশকে দাদু পোর্শের হাতে তৈরি গাড়িটির পুনরুজ্জীবনে কোমর বাঁধেন ফোক্সভাগেনের তৎকালীন চিফ এগ্জ়িকিউটিভ ফার্দিনান্দ পিয়েশ। ১৯৯৮ সালে বাজারে আসে নিউ বিট্ল। প্রথমে সাফল্য পেলেও পরে চাহিদা কিছুটা কমে। কারণ সে সময় বড় সেডান বা এসইউভির দিকে নজর সরতে শুরু করেছে ক্রেতাদের।
দূষণ কাণ্ডে জড়ানো ফোক্সভাগেন আমেরিকায় বিপাকে। বিক্রিও কমেছে বিট্লের। সব মিলিয়ে এর পিছনে খরচ না করে নতুন পথে হাঁটতে চায় সংস্থা। তাই পাট গোটানো।
ভারতেও গুবরের জনপ্রিয়তা কম নয়। তবে গাড়িটি তৈরি অবস্থায় আনতে হয় বলে আমদানি শুল্ক বসে ১০০%। তাই দাম দ্বিগুণ। তা সত্ত্বেও অনেকেই গ্যারেজে এনেছিলেন একে। স্রেফ নস্ট্যালজিয়া থেকেই।