ফ্লিপকার্ট ওয়ালমার্টেরই

সেই চুক্তি সফল হতে গেলে সায় পেতে হবে প্রতিযোগিতা কমিশনের। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৮ ০৩:৩৪
Share:

ওয়ালমার্ট কর্ণধার ডাগ ম্যাকমিলনের (বাঁ দিকে) সঙ্গে ফ্লিপকার্ট সিইও বিন্নি বনসল। বুধবার বেঙ্গালুরুতে। পিটিআই

জল্পনায় ইতি। অবশেষে পর্দা উঠল এখনও পর্যন্ত দেশে নেট বাজারে হতে চলা সবচেয়ে বড় লেনদেনের উপর থেকে। বুধবার বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রিটেল বহুজাতিক ওয়ালমার্টের ঘোষণা, ১,৬০০ কোটি ডলারে ভারতীয় ই-কমার্স সংস্থাটির ৭৭% অংশীদারি পকেটে পুরছে তারা। তবে সেই চুক্তি সফল হতে গেলে সায় পেতে হবে প্রতিযোগিতা কমিশনের।

Advertisement

হাতবদলের পরে অবশ্য ওয়ালমার্টের অংশীদারি কমতে পারে আরও। কারণ, ফ্লিপকার্টে নতুন লগ্নিকারী টানতে কথাবার্তা চালাচ্ছে তারা। যে তালিকায় আছে গুগ্‌লের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটও। সে ক্ষেত্রে একই সংস্থায় অংশীদারি থাকবে মাইক্রোসফট ও গুগ্‌লের।

তবে অনেকে বলছেন, নিছক পরিসংখ্যানে এই চুক্তির গুরুত্ব মাপা শক্ত। কারণ, এই এক ঢিলে বহু পাখি মারতে চেয়েছে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাই।

Advertisement

যেমন অনেকের মতে, এতে ভারতের নেট বাজারে পা রাখতে পারল ওয়ালমার্ট। ২০২৬ সালের মধ্যে যার অঙ্ক দাঁড়াতে পারে ২০,০০০ কোটি ডলার। এ দেশের সম্ভাবনাময় বাজারে, যেখানে নিয়মের জন্য খুচরো বিপণি খুলতে পারেনি তারা, সেখানে সরাসরি ক্রেতার কাছে পৌঁছনোর সুযোগ খুলছে তাদের সামনে। বিশ্বে দ্রুত বাড়তে থাকা নেট-কেনাকাটার দরুন যে চেষ্টা করছে ওয়ালমার্ট।

আবার একাংশের মতে, এই চুক্তি চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় যে, অনলাইনে বিক্রি আর ইট-কাঠ-পাথরের দোকান সম্ভবত থাকবে সমাম্তরাল ভাবে। মার্কিন ই-কমার্স বহুজাতিক অ্যামাজন, যাদের নেটে বই বিক্রির দরুন অনেক প্রকাশনা সংস্থা ঝাঁপ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে, তারাই এখন বহু জায়গায় খুলছে ইট-কাঠের দোকান। তেমনই আবার বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রিটেল বহুজাতিক ওয়ালমার্ট মরিয়া চেষ্টা করছে নেট বাজারে পা রাখতে। অর্থাৎ, এক দিকে নিজে হাতে ছুঁয়ে দেখা এবং অন্য দিকে বাড়িতে বসে কেনাকাটার স্বচ্ছন্দ দু’টিই যে ক্রেতা পাশাপাশি চান, অনেকে বলছেন, দুনিয়া জুড়ে তা স্পষ্ট হচ্ছে ক্রমশ। এই চুক্তিও তার প্রতিফলন।

তবে জেতার লক্ষ্যে দান যে শুধু ওয়ালমার্টই চেলেছে, তা নয়। সুবিধা ফ্লিপকার্টেরও। এ দেশে এত দিন ব্যবসা করার পরে তারা বিলক্ষণ টের পেয়েছে যে, বাজার ও তার সম্ভাবনা বিশাল হলেও এখনও প্রচুর ছাড় দেওযার মডেলে তাতে মুনাফার মুখ দেখাই শক্ত। অথচ ঢালতে হয় বিপুল পুঁজি। এ বার ওয়ালমার্টের হাত ধরে পুঁজি পাওয়ার জমি পোক্ত করল তারা। হয়তো সেই কারণেই বিদায়ী প্রতিষ্ঠাতা সচিন এ দিন বলেছেন, ‘‘দুঃখের, কিন্তু আমার কাজ শেষ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন