পেমেন্ট পরিষেবার জন্য তৈরি হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ

এরা পেমেন্ট পরিষেবা শুরু করলে এক বারে অনেক মানুষ ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় চলে আসতে পারবেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৫১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বিদেশি সংস্থাগুলি যাতে আর্থিক লেনদেন এবং গ্রাহকদের তথ্য এ দেশেই রাখে, তার জন্য কড়াকড়ি শুরু করেছে কেন্দ্র। অনেক বিদেশি সংস্থা শুরুতে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানালেও, ভারতের এই তথ্য বিধি মানার জন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশনের (এনপিসিআই) চিফ এগ্‌জ়িকিউটিভ দিলীপ আসবে জানিয়েছেন, আগামী দু’মাসের মধ্যে গ্রাহকদের তথ্য দেশেই সংরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা চূড়ান্ত করে ফেলবে মেসেজিং পরিষেবা সংস্থাটি। তার পরেই তারা শুরু করতে পারবে আর্থিক লেনদেন পরিষেবা। আসবে বলেন, ‘‘হোয়াটসঅ্যাপ এবং গুগল তথ্য সংক্রান্ত পরিকাঠামোর কাজ করছে। হোয়াটসঅ্যাপ দু’মাসের মধ্যে তা শেষ করবে। পেমেন্ট পরিষেবার ব্যাপারে উৎসাহ প্রকাশ করেছে শাওমি, অ্যামাজন পে এবং ট্রুকলারের মতো সংস্থাও।’’

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, এই সমস্ত সংস্থার (ইন্টারমিডিয়ারি) গ্রাহক সংখ্যা কম নয়। এরা পেমেন্ট পরিষেবা শুরু করলে এক বারে অনেক মানুষ ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় চলে আসতে পারবেন। যেমন হোয়াটসঅ্যাপ গত বছরই পরীক্ষামূলক ভাবে পেমেন্ট পরিষেবা চালু করেছে। কিন্তু দেশে তথ্য রাখার জন্য যে পরিকাঠামো প্রয়োজন তা সম্পূর্ণ না হওয়ায় ওই পরিষেবার গ্রাহক সংখ্যাকে আপাতত ১০ লক্ষে বেঁধে রেখেছে তারা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নথিভুক্ত অডিট সংস্থাকে দিয়ে অডিট করানো হচ্ছে। তারা সবুজ সংকেত দিলেই পরিষেবায় সম্মতি দেওয়ার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে পারবে এনপিসিআই। তখন হোয়াটসঅ্যাপের বিপুল সংখ্যাক গ্রাহকের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ডিজিটাল লেনদেন পরিষেবায় আগ্রহী হবেন বলে আশা করা যায়। তবে আসবের মতে, এর পরেও দেশে ডিজিটাল লেনদেনকারীর সংখ্যাকে ৩০ কোটিতে নিয়ে যেতে অন্তত দু’বছর লাগতে পারে। এখন ওই

সংখ্যা ১০ কোটি।

Advertisement

বাজারে নগদের পরিমাণ কমিয়ে ডিজিটাল লেনদেন বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। সেই ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষকে উৎসাহ দিতে একটা সময়ে কার্ড এবং অ্যাপ নির্ভর লেনদেনে ছাড় এবং ক্যাশব্যাকের সুবিধা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সুবিধার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নগদহীন লেনদেনে মানুষের উৎসাহ যে বিশেষ বেড়েছে এমন নয়। এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি মানুষকে এই ধরনের লেনদেন ব্যবস্থার আওতায় আনতে হোয়াটসঅ্যাপ, অ্যামাজন পে-র মতো সংস্থাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন আসবে।

নীতি আয়োগের এক সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে ওই সাক্ষাৎকারে আসবে জানান, বলছে দেশে যত আর্থিক লেনদেন হয় তার তিন-চতুর্থাংশের অঙ্ক ১০০ টাকার নীচে। আর এই অংশকে সহজেই ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় আনা সম্ভব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন