Price Hike

পাইকারি দরও উদ্বেগ বাড়াল

সরকারি বিবৃতি বলছে, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অক্টোবরে ছিল মাত্র ২.৫৩%। নভেম্বরে উঠেছে ৮.১৮ শতাংশে। শুধু পেঁয়াজের দামই বেড়েছে ১০১.২৪%। তার আগের মাসে যা ছিল ৬২.৬০%।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৩৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

পেঁয়াজ-সহ বিভিন্ন আনাজের আগুন দামেই মূলত নভেম্বরের খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ফের মাথাচাড়া দিয়ে ৫.৫৫ শতাংশে পৌঁছেছিল। বৃহস্পতিবার স্পষ্ট হল, দামি খাদ্যপণ্য পাইকারি বাজারেও মূল্যবৃদ্ধির হারকে শূন্যের উপরে তুলেছে। সেখানে পণ্যের দাম কমছিল গত মার্চের (১.৪১%) পর থেকে। অক্টোবরেও ছিল (-) ০.৫২%। নভেম্বরে বেড়েছে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তার হার ০.২৬%, আট মাসে সর্বোচ্চ।

Advertisement

সরকারি বিবৃতি বলছে, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অক্টোবরে ছিল মাত্র ২.৫৩%। নভেম্বরে উঠেছে ৮.১৮ শতাংশে। শুধু পেঁয়াজের দামই বেড়েছে ১০১.২৪%। তার আগের মাসে যা ছিল ৬২.৬০%। তবে অক্টোবরে সার্বিক ভাবে আনাজের দাম কমেছিল ২১.০৪%। নভেম্বরে বেড়েছে ১০.৪৪%। শুধ আলুর দর ২৭.২২% কমেছে। তৈরি পণ্য, জ্বালানি-বিদ্যুতেরও মাথা নামিয়েছে যথাক্রমে ০.৬৪% এবং ৪.৬১%। খাদ্য বাদে অন্যান্য পণ্যের কমেছে ৩.২০%।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার মাথায় বাজ ভেঙে পড়ার মতো নয়। কিন্তু খাদ্যপণ্য দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। পাইকারি মূল্যসূচকের হিসাবে এগুলির ভাগ কম। তার পরেও সেই দাম এত বেড়েছে যে তা সার্বিক হারকে ঠেলে তুলছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পাইকারি ব্যবসায়ীদের বাড়তি খরচ পণ্যের খুচরো দামকে কতটা ঠেলে তুলবে সেটাই প্রশ্ন। বিশেষত রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও যেহেতু খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কা বহাল থাকার কথা বলেছে। অন্য অংশ মনে করাচ্ছেন, খুচরো মূল্যসূচকে খাদ্যপণ্যের ভাগ বেশি। তার উপরে খুচরো বাজারে ক্রেতার প্রেক্ষিতে দামের ওঠাপড়া অনুসরণ করা হয়। তাই বাজারে খাবার চড়লে তা কিনতে বেশি টাকা যায়। ফলে মূল্যবৃদ্ধিও অনেকটা চড়ে। সেই তুলনায় পাইকারিতে সিংহভাগ জুড়ে কারখানায় তৈরি সামগ্রী। তা উৎপাদকের খরচের দিক দিয়ে দাম অনুসরণ করে। ফলে সেগুলির কম দাম মূল্যবৃদ্ধিকে নামায়। তাই পাইকারি বাজারে দাম কমলেও, চট করে তার প্রতিফলন খুচরোয় পড়ে না।

Advertisement

পটনা আইআইটি-র অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের মতে, খাদ্যপণ্যের চড়া দর এবং দেশে তেল সস্তা না হওয়া পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী। এই দুই কারণেই দামের ধাক্কা বহাল থাকার আশঙ্কা করছেন আইসিএআইয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন