Mutual Funds

মিউচুয়াল ফান্ড কেন এত জনপ্রিয়? জানুন বিনিয়োগে কতটা লাভ, কতটা ঝুঁকি! কোন বিষয়ে সতর্কতা জরুরি

শুক্রবারই মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগে আয়কর সংক্রান্ত সুবিধা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সেটা ডেট ফান্ডের ক্ষেত্রে। সেই নিয়ম জানার পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ড নিয়েও সতর্ক থাকা উচিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৮:১০
Share:

শুক্রবারই কেন্দ্রীয় সরকার নতুন সংশোধনী এনেছে মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে। প্রতীকী ছবি।

আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মিউচুয়াল ফান্ড। মধ্যবিত্তরাও স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য মিউচুয়াল ফান্ডের উপরে নির্ভর করছেন। কিন্তু কেন?

Advertisement

নানা ভাবেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যায়। নানা রকম অ্যাপও রয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডের নানা রকম স্কিমও রয়েছে। যেমন ইক্যুইটি ফান্ড, ঋণ তহবিল এবং হাইব্রিড তহবিল। ইক্যুইটি ফান্ডের আওতায় পড়ে কর্পাস ইক্যুইটি এবং ইক্যুইটি সম্পর্কিত বিনিয়োগ। আর ঋণ তহবিলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আয়। কারণ, এ ক্ষেত্রে ট্রেজারি বিল, সরকারি বন্ড, বাণিজ্যিক কাগজপত্র এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়। এর বাইরে ব্যালেন্সড ফান্ড বা হাইব্রিডফান্ড ইক্যুইটি এবং ঋণ উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করা যায়। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় সরকার নতুন সংশোধনী এনেছে মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে। যার ফলে এখনকার মতো করছাড়ের সুবিধা মিলবে না। তবে স্বল্পমেয়াদি বা ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে নিয়মে কোনও বদল হয়নি।

মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ পদ্ধতিও এখন খুবই সহজ। এসআইপি বা পদ্ধতিগত বিনিয়োগ পরিকল্পনার মাধ্যমে মাসে মাসে অল্প পরিমাণে টাকা লগ্নি করা যায়। জরুরি প্রয়োজনে সেই ফান্ড বিক্রি করে দেওয়া যায়। টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসে।

Advertisement

ভারতে মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ন্ত্রণ করে সেবি। সমস্ত মিউচুয়াল ফান্ডের কার্যক্রমের উপরে নজর রাখে এই সংস্থা। সুতরাং এই ফান্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকাই যায়। অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন যেমন সম্ভব তেমনই অফলাইনে ডিস্ট্রিবিউটর, ব্রোকার বা এএমসি অর্থাৎ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারেন।

তবে একটা কথা মাথায় রাখা দরকার। অনেক সুযোগ সুবিধার কথা শুনলেও সতর্ক থাকতেই হবে। বিনিয়োগের আগে স্কিমের কার্যকারিতা বিশদে বুঝে নিয়ে তার পর ফান্ড বাছাই করা ভাল। মনে রাখতে হবে, এতে ইকিউটি ফান্ডের ক্ষেত্রে লোকসানের ঝুঁকিও থাকে। অর্থাৎ যে টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে তার কম অর্থ মিলতে পারে। সব সময়েই বিনিয়োগের বিষয়ে অভিজ্ঞ কোনও আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement