সরকারি ঋণপত্রে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলির লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করলেন রঘুরাম রাজন। এই লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট নীতি তৈরিরও ইঙ্গিত দিলেন তিনি। একই সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নরের দাবি, ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ভারতের অর্থনীতি। বাড়ছে বিনিয়োগ। তবে দীর্ঘ মেয়াদে বৃদ্ধির গতিকে উঁচু তারে বেঁধে রাখতে আরও বেশি করে সংস্কারের পথে হাঁটা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে শীর্ষ ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের বৈঠক শেষে রাজন বলেন, সরকারি ঋণপত্রে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলির লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা ধাপে ধাপে বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। চেষ্টা হচ্ছে সেই পথ সহজ করার। আগামী দিনে বছরে দু’বার ওই সীমা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সরকারি ঋণপত্রে ভিন্ দেশি লগ্নি বাড়লে বেশি বিদেশি মুদ্রা আসবে ভারতে। ফলে সহজ হবে টাকার বিনিময়মূল্য কাঙ্ক্ষিত জায়গায় রাখা। কিন্তু তা বলে যাতে ওই লগ্নির উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল না-হতে হয়, সে বিষয়ে নজর রাখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি ঋণপত্রে ২,৫০০ কোটি ডলার পর্যন্ত ঢালতে পারে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলি। আরও ৫০০ কোটি বিনিয়োগের দরজা খোলা রয়েছে শুধুমাত্র দীর্ঘমেয়াদি বিদেশি লগ্নির জন্য। দীর্ঘ দিন ধরেই এই ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধির কথা চলছে।
দেশের অর্থনীতি নিয়ে আশার কথা শোনালেও সতর্কও করেছেন রাজন। তাঁর কথায়, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ঠিকই। কিন্তু বৃদ্ধির পালে হাওয়া ধরে রাখতে আরও দ্রুত সংস্কারের রাস্তায় হাঁটা প্রয়োজন। জরুরি থমকে থাকা প্রকল্প দ্রুত চালু করা। বিশেষত যেখানে এখনও মাথাব্যথার কারণ ঝিমিয়ে থাকা রফতানি। তাঁর মতে, আগামী দিনে বর্ষা ঠিকঠাক হবে কি না, মূল্যবৃদ্ধি অনেকটাই নির্ভর করবে তার উপর।