আলোচনা শুরু, কাটতে পারে উইপ্রোর জটও

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বছর খানেক আগে ইনফোসিসের মতো উইপ্রোকেও রাজারহাটের জমির মিশ্র ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য। এ বার তা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে সংস্থার।  

Advertisement

গার্গী গুহঠাকুরতা 

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৮ ০৬:১০
Share:

আশার আলো: সল্টলেকে প্রথম ক্যাম্পাস। দ্বিতীয়র জট কাটবে?

রাজারহাটে ইনফোসিসের জমি ঘিরে সমস্যা কেটেছে। রাজ্যে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ শুরু করেছে তারা। এ বার কাটতে পারে উইপ্রোর জটও।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বছর খানেক আগে ইনফোসিসের মতো উইপ্রোকেও রাজারহাটের জমির মিশ্র ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য। এ বার তা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে সংস্থার।

২০০৪ সালে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (সেজ) তৈরির অনুমতি পায় উইপ্রো। পরের বছরই ওই ১৩.৫ একরে চালু হয় দেশের প্রথম তথ্যপ্রযুক্তি সেজ। এর পরে ২০১০ সালে রাজারহাটে ইনফোসিসের জমির পাশেই ৫০ একর জমি কেনে তারা। খরচ হয় ৭৫ কোটি টাকা। কিন্তু সেজ বিতর্কে তাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প আটকে যায়। আটকে গিয়েছিল ইনফোসিস প্রকল্পও। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রাজারহাটের জমির মিশ্র ব্যবহারের অনুমতি উইপ্রোর পক্ষে লাভজনক হবে। ফলে রাজ্যের প্রস্তাবে সায় দেওয়ারই কথা। উল্লেখ্য, গত বছরই ইনফোসিসকে জমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। জমির ৫১% তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। দেওয়া হয় ‘ফ্রি-হোল্ড’ মালিকানাও।

Advertisement

তবে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি বদলেছে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে। তা ছাড়া দেশের অন্যান্য ক্যাম্পাসে লগ্নির পরিকল্পনা আগেই করেছে উইপ্রো। তাই রাজারহাটের প্রকল্পে এখনই হয়তো হাত দিতে পারবে না তারা। বছর দুয়েক পরে সেই কাজ শুরু হতে পারে। জমি নেওয়ার সময়ে সংস্থা জানিয়েছিল, ৫০০ কোটি টাকা লগ্নি ও প্রায় ২০,০০০ কর্মসংস্থান হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ খোলেনি উইপ্রো

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন