কেন্দ্রকে ফের তোপ যশবন্ত, চিদম্বরমের

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজকোষ ঘাটতির আড়ালে অনেক কিছু ধামাচাপা দিয়ে রাখার অভিযোগ তুলেছিলেন রাজন। যে ঘাটতির তথ্য দেখানো হচ্ছে, কার্যত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর আশঙ্কা ছিল, আসলে সেই অঙ্ক অনেক বেশি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও মুম্বই শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:২২
Share:

নির্মলা সীতারামন বাজেটের তথ্যে করেছেন বলে তোপ দেগেছেন যশবন্ত সিন্‌হা।

রাজকোষ ঘাটতির প্রশ্নে ফের কাঠগড়ায় কেন্দ্র। এ বার সেই ঘাটতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তথা কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন এনডিএ জমানার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্‌হা। বলেছেন, বাজেটের তথ্যে কারচুপি করেছেন নির্মলা। যার আড়ালে রাজকোষ ঘাটতির আসল অঙ্ক লুকিয়ে রেখেছেন তিনি। সম্প্রতি যে ইঙ্গিত দিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও।

Advertisement

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজকোষ ঘাটতির আড়ালে অনেক কিছু ধামাচাপা দিয়ে রাখার অভিযোগ তুলেছিলেন রাজন। যে ঘাটতির তথ্য দেখানো হচ্ছে, কার্যত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর আশঙ্কা ছিল, আসলে সেই অঙ্ক অনেক বেশি। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, সম্ভবত এই বিষয়টিই উদ্বেগজনক অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে দেশকে।

বেকারত্ব হোক বা আমজনতার ব্যয়ের হিসেব, অর্থনীতির তথ্য ও পরিসংখ্যান নিয়ে বার বারই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে মোদী সরকারকে। রবিবার মুম্বইয়ে সাহিত্য সম্মেলনে যশবন্তের দাবি, ৫ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বাজেট ঘোষণায় রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্য জিডিপির ৩.৩ শতাংশে বাঁধেন নির্মলা। অথচ সিএজি ততদিনে ঘাটতি আরও বেশি হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। যশবন্তের অভিযোগ, রাজস্ব আদায় তখন এতটাই খারাপ ছিল যে, সেটা স্বীকার করে নিলে ঘাটতিকে ৩.৩% বলে দাবি করা নির্মলার পক্ষেও সম্ভব হত না। প্রসঙ্গত, এর আগেও এই অভিযোগ ওঠার পরে নির্মলা দাবি করেন, বাজেটের সমস্ত তথ্যই সত্যি।

Advertisement

এ দিকে, সাধারণ মানুষের খরচ কমা নিয়ে এনএসও-র তথ্য অস্বীকার করা প্রসঙ্গে আজ তোপ দেগেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বেকারত্বের পরিসংখ্যান ধামাচাপা দিয়েছিল কেন্দ্র। এ বার ব্যয়ের হিসেবও চাপা দিচ্ছে। কেন্দ্র এ ভাবেই তথ্যের অধিকার আইন মানে।’’ এর আগে এই রিপোর্ট নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নেন যশবন্ত। গ্রামে চাহিদার ধাক্কায় চার দশকে এই প্রথম ২০১৭-১৮ সালে মানুষের খরচ কমেছে, বলেছে এনএসও-র সমীক্ষা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন