আগের দিন ১০৮ পয়েন্ট পড়ার পর বুধবার সামান্য উঠল সেনসেক্স। এ দিন সূচক বেড়েছে ২৯.৮০ পয়েন্ট।
বাজার বন্ধের সময়ে তা দাঁড়ায় ২১,৮৫৬.২২ অঙ্কে।
তবে এ দিন টাকার দাম পড়েছে। দিনের শেষে টাকার দাম ২৮ পয়সা কমার ফলে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬১.২২ টাকা।
ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার এবং জানুয়ারির শিল্পোৎপাদনের সূচক প্রকাশিত হয়েছে। অবশ্য তথ্যগুলি এই দিন শেয়ার বাজার বন্ধের পরেই প্রকাশিত হয়। তাই তার প্রভাব শেয়ার বাজারে পড়বে আগামী কাল। খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার গত জানুয়ারি মাসের তুলনায় কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৮.১ শতাংশ। অন্য দিকে শিল্পোৎপাদন বেড়েছে ০.১ শতাংশ।
গত তিন মাসের মধ্যে শিল্প বৃদ্ধির সূচকের মুখ এই প্রথম উপরের দিকে উঠল। ওই দুই সূচকের অবস্থান শেয়ার বাজারকে উৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি এবং স্টুয়ার্ট সিকিউরিডিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, “শেয়ার বাজারের পক্ষে এটা ভাল খবর। আশা করব বাজার ক্রমশ তেজী হবে।”
শিল্পোৎপাদন এবং মূল্যবৃদ্ধির সূচক বিশেষ করে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিকে আরও বেশি করে উৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কমলবাবু বলেন, “ওই সব সংস্থা আর্থিক উপাদানগুলির থেকেও এই মুহূর্তে রাজনৈতিক বিষয়ের উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের স্থির বিশ্বাস, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার গঠনের জায়গায় আসবে। তবে মূল্য সূচক কমা এবং শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি তাদের অতিরিক্ত উৎসাহ জোগাবে, এতে সন্দেহ নেই।” শেয়ার বাজার মহলের ধারণা, আজ বৃহস্পতিবারই এর ইতিবাচক প্রভাব শেয়ার বাজারে লক্ষ করা যেতে পারে।
আগামী ১৫ মার্চ আগাম আয়কর আদায়ের অঙ্ক প্রকাশিত হবে। কোম্পানি এবং ব্যক্তিগত, উভয়ের কাছ থেকেই কত আয়কর আদায় হল, ওই দিন জানা যাবে তা। এই তথ্যও শেয়ার বাজারের পক্ষে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর থেকেই বোঝা যাবে যে, শিল্প সংস্থাগুলির আয় বেড়েছে, না কমেছে।