বাজেটের প্রস্তুতি

আয়কর ফাঁকিতে রাশ টেনেই বাড়তি রাজস্ব চান জেটলি

আয়করের আওতা বাড়াতে সাধারণ চাকরিজীবীদের উপর আর বোঝা চাপাাতে চান না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তার বদলে আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে তাঁর লক্ষ্য হবে কর ফাঁকি নিয়ন্ত্রণে আনা। আয়করের আওতায় আরও বেশি মানুষকে নিয়ে আসতে চান কি না, সে প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী। শনিবার পিটিআইয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে বাজেট নিয়ে এই ইঙ্গিত দেন জেটলি। তিনি স্পষ্ট জানান, সরকারের হাতে রাজস্ব যথেষ্ট থাকলে আরও বেশি করছাড় দিতে তাঁর আপত্তি নেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১৭
Share:

অরুণ জেটলি। শনিবার। ছবি: পিটিআই।

আয়করের আওতা বাড়াতে সাধারণ চাকরিজীবীদের উপর আর বোঝা চাপাাতে চান না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তার বদলে আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে তাঁর লক্ষ্য হবে কর ফাঁকি নিয়ন্ত্রণে আনা। আয়করের আওতায় আরও বেশি মানুষকে নিয়ে আসতে চান কি না, সে প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

Advertisement

শনিবার পিটিআইয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে বাজেট নিয়ে এই ইঙ্গিত দেন জেটলি। তিনি স্পষ্ট জানান, সরকারের হাতে রাজস্ব যথেষ্ট থাকলে আরও বেশি করছাড় দিতে তাঁর আপত্তি নেই। কারণ, সাধারণ চাকরিজীবীদের পকেটে বাড়তি টাকা এলে তাঁরা খরচও করবেন বেশি। ফলে বেশি করে পরোক্ষ কর আদায় করা যাবে।

জেটলি জানান, করের আওতা বাড়ানোর মানে তাঁর কাছে আলাদা। তাঁর কথায়, “আমি আর আমার পরিচারক একই হারে খরচের উপর পরোক্ষ কর মেটাই। আমাদের খরচের বহর অবশ্যই আলাদা। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, পরোক্ষ কর প্রত্যেককেই দিতে হয়। বাস্তবে এখন আপনার প্রদেয় করের অর্ধেকই পরোক্ষ কর। উৎপাদন শুল্ক, আমদানি শুল্ক, পরিষেবা কর, সবই তো পরোক্ষ কর। প্রত্যক্ষ কর হিসেবে আয়কর বাড়াতে হলে আমি ফাঁকির উপরই রাশ টানব। এটাই আমার কাছে করের আওতা বাড়ানো।”

Advertisement

গত বাজেটে আয়কর ছাড়ের সীমা বার্ষিক ২ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৫ লক্ষ টাকা করেন জেটলি। এর উপর আয়কর ছাড় ধরলে বছরে ৩.৫ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে, তাঁকে আয়কর দিতে হচ্ছে না। সরকারের রাজস্বে টান না-পড়লে তিনি ওই ছাড় আরও বাড়ানোর পক্ষপাতী। তবে এখন ভাঁড়ারের যা অবস্থা, তাতে হয়তো তা সম্ভব নয়। অর্থমন্ত্রীর কথায়, “কেউ যদি মাসে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করেন, তা হলে কিছু কিছু সঞ্চয় করলে তাঁকে আর আয়কর দিতে হচ্ছে না। কিন্তু এই আয়ের অনেকেই বলেন দৈনন্দিন খরচ, যাতায়াতের ব্যয়, বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ মিটিয়ে সঞ্চয় করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয় না।” এই কারণেই ছাড়ের সীমা কমিয়ে করের আওতায় বেশি মানুষকে আনতে চান না তিনি। তিনি বলেন, “এটা আমার নীতি নয়।” বরং সাধারণের আয়করের বহর না-বাড়িয়ে তিনি বাড়তি নগদ জুগিয়ে তাঁদের খরচ বাড়ানোর সুযোগ দিতে চান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন