গৌতম আদানি। ছবি: রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে ১,৫৫০ কোটি ডলারের (৯৩,৯৪৫ কোটি টাকা) কয়লা উত্তোলন ও রেলপথ নির্মাণের বরাত পেল আদানি গোষ্ঠী। ওই প্রকল্পে এক দিকে বছরে ৬ কোটি টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কারমাইকেল খনি থেকে কয়লা তুলবে গুজরাত ভিত্তিক সংস্থাটি। একই সঙ্গে ১৮৯ কিলোমিটার রেলপথও তৈরি করবে তারা। কুইন্সল্যান্ড প্রশাসনের দাবি, আগামী দিনে এই প্রকল্প অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম ও বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কয়লা খনির তকমা পেতে পারে।
খনন কিংবা পরিকাঠামো নির্মাণ শিল্পে বড় মাপের প্রকল্পের বরাত গৌতম আদানির সংস্থার কাছে নতুন নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের এই বরাত পাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, আদানিদের বিরুদ্ধে কারও-কারও অভিযোগ, গুজরাতে মোদী সরকারের দাক্ষিণ্যেই আজ তাদের এই রমরমা। মূলত সরকারি বরাতের হাত ধরেই আজ আদানি গোষ্ঠীর এই ফুলেফেঁপে ওঠা। বিশেষত বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষিত হওয়ার পর থেকে আরও তীব্র হয়েছে এই আলোচনা। ভোটের হাওয়া যত তেতেছে, ততই মোদীর সঙ্গে আদানির ‘যোগসাজশের দিকে’ আঙুল তুলতে চেয়েছেন বিরোধীরা। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গৌতম আদানিও বলেছেন যে, সরকারের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা মানেই অন্যায় ভাবে আখের গোছানো নয়।
তাই এই পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ায় বরাত জয় গোষ্ঠীটির পক্ষে সুখবর বলে মনে করছেন অনেকে। তাঁদের মতে, একে তো বরাতের অঙ্ক বিপুল। তার উপর বিদেশে তা পাওয়ার অর্থ সংস্থার যোগ্যতা, গুণমানে আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি। শিল্পমহলের এই অংশ মনে করেন, গত কয়েক বছরে আদানিরা যে ভাবে একের পর এক ব্যবসা শুরুর পর তাকে লাভজনক করে তুলেছে, শুধু সরকারি বদান্যতায় তা হওয়া শক্ত। আর অস্ট্রেলীয় বরাত এই যুক্তিকেই সমর্থন করে বলে মনে করেন তাঁরা। অবশ্য প্রকল্পে চূড়ান্ত সায় পেতে কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ-সহ নানা শর্ত পূরণ করতে হবে সংস্থাকে।