উর্ফী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ছবি: সংগৃহীত।
ভোরবেলা থানায় যেতে হয় উর্ফী জাভেদকে। নেটপ্রভাবী নিজেই জানান, তিনি সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছেন। মধ্যরাতে নাকি তাঁর বাড়ির দরজায় কয়েক জন একনাগাড়ে কড়া নেড়েছেন। নিজেই সেই ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন উর্ফী।
উর্ফী জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের আবাসনে মধ্যরাতে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন তিনি। নেটপ্রভাবীর অভিযোগ, আবাসনের পুরুষেরা তাঁর বাড়ির ‘কলিং বেল’ অনবরত বাজাতে থাকেন। সোমবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। এক ব্যক্তি নাকি বাইরে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন এবং দরজা খুলে দেওয়ার জন্য জোর করছিলেন। তাঁর সঙ্গে আর এক ব্যক্তি-ও এক কোণে লুকিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ। পুরো ঘটনায় বাক্রুদ্ধ হয়ে যান উর্ফী।
সংবাদমাধ্যমকে নেটপ্রভাবী উর্ফী জানিয়েছেন, তিনি বার বার ওই ব্যক্তিদের দরজার সামনে থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ জানানোর হুমকি দেন উর্ফী। তখন নেটপ্রভাবীর বাড়ির সামনে থেকে সরে যান তাঁরা।
ঘটনার সময়ে দুই বোন ডলি ও আসফির সঙ্গে বাড়িতে ছিলেন উর্ফী। নেটপ্রভাবীর অভিযোগ, শুধুই দরজায় কড়া নাড়ছিলেন না অভিযুক্তেরা। তাঁদের রাজনৈতিক যোগ রয়েছে এবং তাঁরা যা খুশি করতে পারেন, এমন হুমকিও দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। অবশেষে পুলিশে খবর দেন উর্ফী। নেটপ্রভাবীর কথায়, “আমরা পুলিশে খবর দিই। কিন্তু ওই লোকগুলো পুলিশের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। রূঢ় ভাবে পুলিশকেও বলতে থাকেন, ‘বেরো এখান থেকে।’ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করতে থাকেন ওঁরা।”
অভিযুক্তেরা সিসিটিভি ফুটেজ জোগা়ড় করে তা মুছে দেওয়ারও চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি করেছেন উর্ফী। তিনি সমাজমাধ্যমের পোস্টে লিখেছেন, “রাত ৩টের সময়ে এসে কোনও মেয়েকে দরজা খুলতে বললে ভয় লাগবেই। দরজা খুলতে রাজি না হওয়ার পরেও ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলে আরও ভয় লাগবে। মেয়েরা যখন একা থাকে, তখন এই পরিস্থিতিগুলো আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে। আমি তাই এই অবস্থায় একদমই নিরাপদ বোধ করছি না।” ইতিমধ্যেই তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানিয়েছেন।