নতুন আইনে সিংহভাগ সংস্থাকেই আর কস্ট অডিট করাতে হবে না। এর ফলে কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদের কাজের পরিধি উল্লেখযোগ্য ভাবে সঙ্কুচিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া। তাদের আরও অভিযোগ, এর ফলে বহু সংস্থার পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষে কত খরচ পড়ছে, তার হদিশ পাওয়া কঠিন হবে। উত্পাদন খরচের ব্যাপারে মালিকের কথার উপরই নির্ভর করতে হবে উত্পাদন শুল্ক দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত মহলকে।
নতুন কোম্পানি আইনে বলা হয়েছে, এখন থেকে যে-সব সংস্থার নিট সম্পদের পরিমাণ কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা বা মোট আয় ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি, একমাত্র সেই সব সংস্থাকেই কস্ট অডিট করাতে হবে। পুরনো নিয়মে যে-সব সংস্থার নিট সম্পদ কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা অথবা মোট আয় ২০ কোটি বা তার বেশি হত, তাদেরও কস্ট অডিট করাতে হত। নতুন ব্যবস্থায় যে-সব সংস্থা গাড়ি, কাগজ, রং এবং কাচ তৈরি করে, তাদের কস্ট অডিটের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদের ওই সংস্থার সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সদস্য মানস ঠাকুর বলেন, “পুরনো নিয়মে সমস্ত সংস্থাকেই ফিনান্সিয়াল অডিট এবং কস্ট অডিট করাতে হত। এখন তুলনায় ছোট সংস্থাগুলির উপর থেকে বোঝা কমাতে তাদের কস্ট অডিটের আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছে।”
মানসবাবুদের বক্তব্য, ফিনান্সিয়াল অডিটে কোনও সংস্থার লাভ-ক্ষতির বিষয়টিই শুধু পরীক্ষা করে দেখা হয়। কস্ট বা পণ্যের উত্পাদন খরচের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয় না। উত্পাদন শুল্ক ধার্য হয় পণ্যের উত্পাদন খরচের উপর ভিত্তি করে। এত দিন ওই শুল্ক ধার্য করার ক্ষেত্রে কস্ট অডিটের একটা বড় ভূমিকা ছিল। নতুন ব্যবস্থায় এ ব্যাপারে সংস্থার মালিকের দেওয়া তথ্যের উপরই নির্ভর করতে হবে উত্পাদন শুল্ক অফিসারদের।” এ ছাড়া সংস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদের বড় ভূমিকা ছিল।