রেশন দোকানের বাইরে বাজার দরে কেরোসিন কেনা-বেচার পথ আরও প্রশস্ত করল কেন্দ্র। যাকে আগামী দিনে এই জ্বালানিতে ভর্তুকি কমানোর প্রথম ধাপ বলে মনে করছেন অনেকে।
রেশন দোকানে বিক্রি হওয়া নীল কেরোসিনে ভর্তুকি দেয় কেন্দ্র। আর তার বাইরে বিক্রি হওয়া সাদা কেরোসিন মেলে বাজার দরে। কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ, চাহিদার তুলনায় জোগান নিতান্ত অল্প হওয়ায়, তা সহজে মেলে না। ফলে বাজার দর গুনতে তৈরি থাকলেও তা কিনতে পারেন না অনেকে। আর এই জন্যই ১৯৯৩ সালের কেরোসিন ব্যবহার ও তার দামের ঊর্ধ্বসীমা সংক্রান্ত নির্দেশ এ বার বদল করল মোদী সরকার। নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে দিল রেশন দোকানের বাইরে বাজার দরে বিক্রি হওয়া সাদা কেরোসিন মজুত, সরবরাহ এবং বেচার প্রক্রিয়া।
রেশন দোকানে কেরোসিনের দর এখন লিটারে ১৫.১৪ টাকা। সেখানে বাজার দর ২৭.৬৮ টাকা। কেন্দ্রের দাবি, এই ফারাক সত্ত্বেও ব্যবসা ও ব্যক্তিগত কারণে খোলা বাজার থেকে এই জ্বালানি কিনতে চান অনেকে। যাতে প্রয়োজনমতো পর্যাপ্ত পরিমাণে তা পাওয়া যায়। কিন্তু তাতে বাদ সাধে সাদা কেরোসিনের সরবরাহে ঘাটতি। এমনকী সেই সুযোগে কালোবাজারি হয় রেশন দোকানের কেরোসিন। ভর্তুকির ওই কেরোসিনই বেশি দামে বিক্রি হয় খোলা বাজারে। মোদী সরকারের আশা, এ বার সাদা কেরোসিন বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করায় সেই সমস্যা মিটবে। যাঁরা বাজার দরে তা কিনতে সক্ষম, তাঁদের এর ফলে সুবিধা হবে। বাঁধ দেওয়া যাবে কালোবাজারিতেও।
বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকে মনে করছেন, এই ঘোষণার মাধ্যমে সংস্কারের পথে আর এক ধাপ এগোল কেন্দ্র। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার যে ভাবে ভর্তুকিহীন ও ভর্তুকিযুক্ত, এই দু’ভাবে বিক্রি হয়, কেরোসিনের ক্ষেত্রেও সেই একই ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে চাইছে তারা। এতে সুবিধা দু’টি (১) সাদা কেরোসিন যত বেশি বিক্রি হবে, তত কমবে ভর্তুকির বোঝা। (২) রান্নার গ্যাসের মতো আগামী দিনে কেরোসিনের ভর্তুকিও সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর বন্দোবস্ত করবে মোদী সরকার, যাতে অপচয় কমে।