চাঙ্গা বাজারে নজির সূচকের

ভোটের দামামার মধ্যেই নজির গড়ল সেনসেক্স, নিফটি। বৃহস্পতিবার রেকর্ড উচ্চতা ছুঁয়েছে বম্বে ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের এই দুই সূচক। এ দিন সেনসেক্স ২৩৭ পয়েন্ট বেড়ে বন্ধ হয় ২১,৫১৩.৮৭ পয়েন্টে। এর আগে বাজার বন্ধের সময়ে সেনসেক্স সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় পৌঁছেছিল এ বছরেরই ২৩ জানুয়ারি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৪ ০৮:১৭
Share:

ভোটের দামামার মধ্যেই নজির গড়ল সেনসেক্স, নিফটি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রেকর্ড উচ্চতা ছুঁয়েছে বম্বে ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের এই দুই সূচক। এ দিন সেনসেক্স ২৩৭ পয়েন্ট বেড়ে বন্ধ হয় ২১,৫১৩.৮৭ পয়েন্টে। এর আগে বাজার বন্ধের সময়ে সেনসেক্স সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় পৌঁছেছিল এ বছরেরই ২৩ জানুয়ারি। ওই দিন সেনসেক্স বন্ধ হয়েছিল ২১,৩৭৩.৬৬ পয়েন্টে। বৃহস্পতিবার সেনসেক্সের সর্বোচ্চ অঙ্ক ছিল ২১,৫২৫.১৪, যেটিও রেকর্ড।

অন্য দিকে, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি এ দিন ৭২.৫০ পয়েন্ট বেড়ে বন্ধ হয়েছে ৬৪০১.১৫ অঙ্কে। নিফটির ইতিহাসে এটাই এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগের নজির ছিল ৬৩৬৩.৯০ পয়েন্ট, যা ২০১৩-র ৯ ডিসেম্বর ছুঁয়েছিল নিফটি। পাশাপাশি, দিনের শেষে ডলারে টাকার দামও বেড়েছে ৬৪ পয়সা। ফলে প্রতি ডলার দাঁড়ায় ৬১.১১ টাকা, যা গত প্রায় তিন মাসে সবচেয়ে বেশি।

Advertisement

এ দিন ভারতের বাজারে দুই সূচকের নজির গড়ার পিছনে বিশেষজ্ঞরা যে-সব কারণকে চিহ্নিত করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে:

• চলতি খাতে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ঘাটতি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়া

• বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলির ভারতের বাজারে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনা

• বিশ্ব বাজারের হাল কিছুটা ফেরা

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বুধবার দাখিল করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি খাতে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ঘাটতি (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট) নেমে এসেছে জাতীয় আয়ের মাত্র ০.৯ শতাংশে। চলতি ২০১৩-’১৪ অর্থবর্ষের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যয়ের এই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪২০ কোটি ডলার (২৬,০৪০ কোটি টাকা), যা গত আট বছরে সবচেয়ে কম। গত অর্থবর্ষ শেষে এই ঘাটতি ছিল জাতীয় আয়ের ৪.৮ শতাংশ। ঘাটতি নেমে আসায় ভারতের বাজারের প্রতি বিদেশি লগ্নিকারীদের আস্থাও অটুট। বুধবারই তারা ভারতের বাজার থেকে ৭৩৭.২৯ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। বিদেশি আর্থিক সংস্থার শেয়ার কেনার জেরে টাকার চাহিদা বাড়ায় ভারতীয় মুদ্রার দামও বেড়েছে। পাশাপাশি রফতানিকারী ও কিছু ব্যাঙ্কের ডলার বিক্রিও টাকার দাম বাড়াতে সাহায্য করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন