আশঙ্কা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে

চিনির উপর আমদানি শুল্ক এক ধাক্কায় ১৫% থেকে বেড়ে ৪০%

দেশীয় শিল্পকে উৎসাহ দিতে ও আখচাষিদের স্বার্থরক্ষায় চিনির উপর আমদানি শুল্ক এক ধাক্কায় ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্তের ফলে কার্যত ব্রাজিল, তাইল্যান্ড, পাকিস্তানের মতো দেশ থেকে চিনি আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে বলেই সংশ্লিষ্ট মহল জানিয়েছে। তার কারণ, ভারতে চিনি বিক্রি করা তাদের পক্ষে আর লাভজনক থাকবে না। তবে এর জেরে চিনির দাম বাড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছে চিনিকলগুলির সংগঠন ইন্ডিয়ান সুগার মিল্স অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএমএ)।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৪ ০৪:২৪
Share:

এ বার কি তা হলে চিনি কম?

দেশীয় শিল্পকে উৎসাহ দিতে ও আখচাষিদের স্বার্থরক্ষায় চিনির উপর আমদানি শুল্ক এক ধাক্কায় ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্তের ফলে কার্যত ব্রাজিল, তাইল্যান্ড, পাকিস্তানের মতো দেশ থেকে চিনি আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে বলেই সংশ্লিষ্ট মহল জানিয়েছে। তার কারণ, ভারতে চিনি বিক্রি করা তাদের পক্ষে আর লাভজনক থাকবে না।

Advertisement

তবে এর জেরে চিনির দাম বাড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছে চিনিকলগুলির সংগঠন ইন্ডিয়ান সুগার মিল্স অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএমএ)। তার ফলে শিল্পমহলের উৎপাদন খরচ মেটানোর ব্যাপারে সুবিধা হলেও, সাধারণ মানুষের উপর বাড়তি বোঝা চাপবে। এবং খাদ্যপণ্যের চড়া দামের হাত ধরে ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বমুখী সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।

আজ এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি চিনিকল মালিকদের বিনা সুদে অতিরিক্ত ৪৪০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্কঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। রফতানিকারীদের ভর্তুকিও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে তিনি জানিয়ে দেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, চিনিকলগুলির কাছে আখচাষিদের ১১ হাজার কোটি টাকার পাওনা ইতিমধ্যেই বাকি পড়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগ চাষিই উত্তরপ্রদেশের। ওই রাজ্যের চাষিদের বকেয়াই ৭২০০ কোটি টাকা। পাসোয়ান জানান, চাষিদের বকেয়া মেটানোর জন্য চিনিকলগুলির হাতে যথেষ্ট নগদের জোগান দিতেই বিনা সুদে বাড়তি ঋণ মঞ্জুরের এই সিদ্ধান্ত। চিনিকলগুলির জমা দেওয়া উৎপাদন শুল্কের ভিত্তিতে এই ঋণ দেওয়া হবে পাঁচ বছরের জন্য। আগে তা ছিল তিন বছর এবং ওই সময়ের মধ্যে ৬৬০০ কোটি টাকার ঋণ পাওয়ার কথা ছিল। পাসোয়ান অবশ্য জানিয়েছেন, চিনিকলগুলি চাষিদের বকেয়া ১১ হাজার কোটি টাকা মেটানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই তাদের বাড়তি ঋণ মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

আইএসএমএ-র ডিরেক্টর জেনারেল অবিনাশ বর্মা এক বিবৃতিতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এর ফলে চাষিদের বকেয়া যেমন মেটানো সম্ভব হবে, তেমনই চিনির দাম বাড়লে চালকলগুলির পক্ষে উৎপাদনের খরচ মেটানো সম্ভব হবে। বর্তমানে এই খরচ তুলে চিনিশিল্প লাভের মুখ দেখতে পায় না বলে তাঁর দাবি। এর কারণ, চিনির চড়া উৎপাদন খরচের পাশাপাশি বিক্রির ক্ষেত্রে কম দাম। বর্মা জানান, আমদানি শুল্ক বাড়ায় চিনির পাইকারি দর কেজি প্রতি ১ থেকে ২ টাকা বাড়বে। বর্তমানে তা কেজিতে ২৮-৩১ টাকা। পাশাপাশি, বিদেশি চিনি তেমন ভাবে ভারতীয় বাজারে ঢুকতে না-পারলে দেশীয় শিল্পে বিক্রিও বাড়বে বলে মনে করছেন বর্মা। এতেও তাদের উৎপাদনের খরচ কিছুটা পুষিয়ে যাবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, এখন বাজারে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টন দেশীয় চিনির উৎপাদন ক্রেতার অভাবে উদ্বৃত্তই থাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement