দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী যোজনায় টি বোর্ডের প্রস্তাব মেনে চা শিল্পের জন্য ১৪২৫ কোটি টাকা যোজনা কমিশন বরাদ্দ করলেও এখনও তাতে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেয়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর ফলে চা শিল্পের উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মহলের। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব রজনী রঞ্জন রশ্মির ইঙ্গিত, মাস খানেকের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে। সম্প্রতি টি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (টিআরএ) বার্ষিক সভার ফাঁকে রশ্মি এ ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।
পঞ্চবার্ষিকী যোজনায় কেন্দ্র যে-অর্থ বরাদ্দ করে, তা চা শিল্পের উন্নয়নে চাষিদের ভর্তুকি ও অন্যান্য আর্থিক সহায়তা খাতে খরচ করে টি বোর্ড। বোর্ড সূত্রের খবর, দ্বাদশ যোজনায় কমিশন ১৪২৫ কোটি টাকার প্রস্তাবে সম্মতি দিলেও সেই প্রস্তাব এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থ সংক্রান্ত কমিটির চূড়ান্ত সম্মতির অপেক্ষায়। তারা ছাড়পত্র দিলে তবেই অর্থমন্ত্রক সেই অর্থ বরাদ্দ করবে।
রশ্মি বিষয়টি মিটে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হলেও বোর্ড ও শিল্পমহল, উভয়েরই বক্তব্য, ‘না আঁচালে বিশ্বাস নেই’। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই এ নিয়ে জল্পনা চললেও এখনও কোনও ফল মেলেনি। চূড়ান্ত ছাড়পত্র যতক্ষণ না-মিলছে, ততক্ষণ পুরো অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার দেবে না। কমিশনের প্রস্তাব মতো বছরে যেখানে গড়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বোর্ডের পাওয়ার কথা, সেখানে গত দু’টি অর্থবর্ষ মিলিয়ে হাতে এসেছে মাত্র ৩০০ কোটি টাকা। এ বার এখনও পর্যন্ত মিলেছে মাত্র ৩০ কোটি টাকা। ফলে ভর্তুকি ও অন্যান্য প্রকল্পে কাটছাঁট করে কোনও মতে বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দ করছে টি বোর্ড।
অন্য দিকে, টিআরএ-র সভায় রশ্মি শিল্পমহলকে চায়ের গুণগত মানের উপর বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য, বিশ্ব বাজার ভারতীয় চায়ের মান বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে। তাই চায়ে কীটনাশকের মাত্রা যাতে ন্যূনতম থাকে এবং তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক না-হয় সে জন্য সেগুলির মাপকাঠি নির্ধারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রকও।