নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লোকসানে চলা ছোট ও মাঝারি সংস্থা বন্ধ করে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া আরও সহজ করা এবং সম্ভব হলে ওই ধরনের সংস্থার দ্রুত পুনরুজ্জীবন নিশ্চিত করা। এই দুই লক্ষ্য পূরণে দেশের ছোট ও মাঝারি শিল্পের ব্যবসা সংক্রান্ত আইন (এমএসএমই অ্যাক্ট) সংশোধনের প্রস্তাব দিল কেন্দ্র। এ ব্যাপারে নতুন বিধি তৈরির জন্য প্রস্তাবিত বদল সংক্রান্ত পরামর্শও চেয়েছে তারা।
কেন্দ্রীয় ছোট ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রকের দাবি, ওই সংস্থাগুলির স্বার্থেই এই সংশোধন জরুরি। সে ক্ষেত্রে ছোট-মাঝারি সংস্থা পুনর্গঠন (রিস্ট্রাকচারিং) ও প্রয়োজনে তা বন্ধ করে দেওয়া (এগ্জিট) নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে আলাদা আলাদা পরিচ্ছেদ যোগ করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ওই দু’টি বিষয়ে দু’টি আলাদা কমিটি গঠনেরও।
বর্তমানে ছোট সংস্থাগুলির পুনর্গঠন বা গুটিয়ে নেওয়ার জন্য কোনও আইনি পরিকাঠামো নেই। ফলে পুরো দায়ই নিতে হয় সংস্থাকে। কোনও সংস্থার পায়ের তলার মাটি মজবুত না-হলে বিপুল মানবসম্পদ, মূলধন ও সম্পদ (যন্ত্রপাতি, জমি ইত্যাদি) নষ্ট হয়। এই পরিস্থিতি শোধরাতেই যে সমস্ত ছোট সংস্থার পুঞ্জীভূত লোকসান শেষ অর্থবর্ষে তাদের নিট সম্পদের অর্ধেকের সমান বা তার বেশি হবে, তাদের জন্য এই প্রস্তাব বাতলেছে কেন্দ্র। তাদের মতে, সে ক্ষেত্রে সংস্থাটি ঘুড়ে দাঁড়াতে পুনরুজ্জীবনের পথে হাঁটবে, না কি ব্যবসা গুটিয়ে বেরিয়ে যাবে, সেটা সংস্থাই স্বেচ্ছায় আবেদন দাখিল করে জানাক। সে ক্ষেত্রে ১৮০ দিনের মোরেটোরিয়ামও (পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা ও ব্যবসা গুটানোর প্রক্রিয়া শুরুর আগে যা বাড়ানো যাবে আরও ৩০ দিন) কার্যকর হবে।