জীবন-প্রযুক্তির মিলন দেখাচ্ছে ব্যবসার নয়া দিশা

শুধু ফোন বা ল্যাপটপ হাতে করে অনলাইনে সংযুক্ত থাকা নয়। এ বার বাড়িতে ব্যবহার্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সঙ্গেও ইন্টারনেটকে যুক্ত করে নেওয়ার চল শুরু হয়েছে। এক কথায় যাকে বলে ‘ইন্টারনেট অব থিংস’। আর দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে প্রযুক্তিকে মিলিয়ে নেওয়ার এই রাস্তাই উঠে এল ইনফোকম ২০১৪-র দ্বিতীয় দিনের মঞ্চে। প্রযুক্তি আর রোজকার জীবনযাত্রার মেলবন্ধনই তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে ব্যবসার নতুন দিক খুলে দিচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:০৫
Share:

শুধু ফোন বা ল্যাপটপ হাতে করে অনলাইনে সংযুক্ত থাকা নয়। এ বার বাড়িতে ব্যবহার্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সঙ্গেও ইন্টারনেটকে যুক্ত করে নেওয়ার চল শুরু হয়েছে। এক কথায় যাকে বলে ‘ইন্টারনেট অব থিংস’। আর দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে প্রযুক্তিকে মিলিয়ে নেওয়ার এই রাস্তাই উঠে এল ইনফোকম ২০১৪-র দ্বিতীয় দিনের মঞ্চে।

Advertisement

প্রযুক্তি আর রোজকার জীবনযাত্রার মেলবন্ধনই তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে ব্যবসার নতুন দিক খুলে দিচ্ছে। শুক্রবার ইনফোকমের মঞ্চ থেকে একযোগে এ কথা জানালেন সিসকো, পিডব্লিউসি, ডেলয়েট-সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ব্যবসার রমরমার সঙ্গে প্রতিনিয়ত বদলাতে থাকা টেলিকম ব্যবসার বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। তথ্য পরিসংখ্যান বলছে বর্তমানে ভারতে ৩০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ২০১৭ সালে গিয়ে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৫ কোটিতে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫-তে দেশে স্মার্ট ফোনের সংখ্যা দাঁড়াবে ২০০ কোটি। আর এর মধ্যে ৮৩% মানুষ ফোনের মাধ্যমে নেট ব্যবহার করবেন। তবে ভবিষ্যতে শুধুমাত্র কথা বলা বা মেসেজ ও ছবি পাঠানো নয়, ফোনের মাধ্যমেই তাঁরা যুক্ত থাকবেন বাড়ির যাবতীয় গ্যাজেটের সঙ্গে। এবং স্রেফ সেটা হাতে নিয়েই সেরে ফেলবেন দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সব কাজ। যে কারণে মোবাইল পরিকাঠামোর প্রযুক্তি ও পরিষেবা সংক্রান্ত ব্যবসাও লাফিয়ে বাড়বে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।

Advertisement

সব থেকে মজার ব্যাপার হল, যেমন করে চ্যাটের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারা যায় মোবাইল থেকে, ঠিক তেমন ভাবেই বাড়ির ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন-এর মতো যন্ত্রের সঙ্গে চ্যাট মারফতই বার্তা আদান-প্রদান করে যোগাযোগ রাখা যাবে। ফ্রিজের মধ্যে কী কী খাবার রয়েছে, তা চ্যাটের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাবে। ছোট একটি ক্যামেরায় ছবি তুলে নেবে রেফ্রিজারেটর। আর সেই ছবি অফিসে বসে বা বাড়ির বাইরে অন্য যে কোনও জায়গাতেই হাতে এসে যাবে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর। এবং এই পরিস্থিতি এখন আর স্রেফ কল্পনা নয়। বাস্তবে এ রকম পণ্য বাজারে এসেও গিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশনের তথ্য বলছে ২০২০ সালে এ ধরনের ইন্টারনেটযুক্ত যন্ত্রপাতির বাজার ৭ লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়ে যাবে।

এই বাজারে এগিয়ে অ্যাপল ও গুগ্ল। ময়দানে নেমেছে এলজি, স্যামসাং, প্যানাসোনিক ও হায়ারের মতো বৈদ্যুতিন ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলিও। তবে শুধুই ভোগ্যপণ্য নয়। স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা, নাগরিক পরিষেবার ক্ষেত্রেও ‘ইন্টারনেট অব থিংস’ বিপ্লব ঘটাতে পরে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন