জল্পনা চলছিল বহু দিন ধরেই। শেষ পর্যন্ত তা সত্যি করে ৩০০ কোটি ডলারে (১৭,৭০০ কোটি টাকা) বিটস মিউজিক ও বিটস ইলেকট্রনিক্স-কে নিজেদের ঝুলিতে পুরলো অ্যাপল। সেই সংস্থা, যারা হেডফোন তৈরি করে ও যাদের মাধ্যমে নেটে সরাসরি গান শুনতে (যন্ত্রে ডাউনলোড না-করে) পারেন গ্রাহক।
মার্কিন সংস্থা অ্যাপলের ইতিহাসে এটাই এখনও পর্যন্ত তাদের সর্বোচ্চ অঙ্কের অধিগ্রহণ। এর আগে স্টিভ জোবসের তৈরি সংস্থাটি নেক্সট-কে নিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছিল।
সাধারণত উদ্ভাবনে আস্থা রাখা অ্যাপল গত দেড় বছরে কিনেছে ২৪টি সংস্থা। কিন্তু তার সবগুলিই ছিল তুলনায় কম অঙ্কের। সেখানে বিটস কিনতে এই বিপুল খরচের পিছনে কিছু স্পষ্ট কারণ খুঁজে পাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল। যেমন মার্কিন মুলুকে দামি হেডফোনের বাজারের সিংহভাগই এখন রয়েছে বিটসের দখলে। তা ছাড়া, যন্ত্রে ডাউনলোডের বদলে অনেক গ্রাহকই এখন সরাসরি ইন্টারনেটে গান শুনতে পছন্দ করছেন। যে কারণে এই বাজার বাড়ছে দ্রুত। আর এর ফলে কিছুটা ধাক্কা খাচ্ছে অ্যাপলের আই-টিউন। তাই এই বাজারে স্পটিফাই ও প্যানডোরা মিডিয়ার মতো সংস্থার সঙ্গে লড়তে এ বার বিটসকে হাতিয়ার করছে অ্যাপল।
মাত্র ক’বছরের মধ্যে ব্র্যান্ড হিসেবে বিটসের উত্থানও চোখে পড়ার মতো। অ্যাপলের দাবি, আই-টিউনের পাশাপাশি বিট্সের মাধ্যমে গানের জগতে পায়ের তলার জমি আরও শক্ত করবে তারা।