সারদা কেলেঙ্কারিকে সাময়িক আড়াল করে প্রতিবারের মতো এ বারও হইচই করে সম্পন্ন হল শারদোৎসব। প্রচুর আনন্দের পাশাপাশি খরচও হল লাগামছাড়া। সামনে আছে ধনতেরাস, দেওয়ালি, কালীপুজো এবং ভাইফোঁটা। কোনওটাতেই বাঙালিকে দমানো যাবে না। অর্থের যাতে ঘাটতি না-পড়ে সেই কথা মাথায় রেখে জমিয়ে করতে হবে লক্ষ্মীর আরাধনাও। পাশাপাশি আছে ঈদও। অর্থাৎ মাসটা বহু ব্যস্ততা, আনন্দ এবং খরচের। এই সময়ে বেশ কিছু জিনিসের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ফলে উৎসবের এই মরসুমটা অনেক শিল্পের পক্ষেই বেশ শুভ। তৃতীয় ত্রৈমাসিক ফলাফলে এর ভাল প্রভাব পড়ে।
গত সপ্তাহে বেশির ভাগ দিনই বন্ধ ছিল শেয়ার বাজার। সূচক অবশ্য বেশ খানিকটা নেমেছে নানা কারণে। তবে আশার আলো দেখিয়েছে পরিকাঠামো শিল্প। অগস্টে এই শিল্পে উৎপাদন বেড়েছে ৫.৮ শতাংশ। আগের মাসের তুলনায় ৩.১ শতাংশ বেশি। গত বছর অগস্ট মাসে পরিকাঠামো শিল্পে বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৭ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান আবার কিছুটা আশার আলো জাগাবে লগ্নিকারীদের মনে।
আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক তথা ষাণ্মাসিক কোম্পানি ফলাফল প্রকাশের পালা। গড় ফলাফল ভাল হলে সেটাও শক্তি জোগাবে শেয়ার বাজারকে।
যেমনটি আশা করা হয়েছিল, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সুদ কমানোর পথে হাঁটেননি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন। এতে অবশ্য শেয়ার বাজারের উপর কোনও প্রভাব পড়ার কথা নয়। বাজার খুললে বোঝা যাবে পরিকাঠামো শিল্পে বৃদ্ধি এবং অপরিবর্তিত সুদের হার কতটা প্রভাব ফেলে দুই সূচকের উপর।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম নেমে যাওয়ায় ফের কমানো হয়েছে পেট্রোলের দাম। কলকাতায় দাম কমেছে লিটার পিছু ৬৮ পয়সা। এই সুখবরের পাশাপাশি আশঙ্কা, কত দিন দাম এই স্তরে ধরে রাখা যাবে? কারণ গত দু’সপ্তাহে ডলারের দাম বেড়েছে অনেকটাই। ডলারের দাম বেড়ে ওঠায় এবং উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ায় ধীরগতিতে বাড়তে শুরু করেছে কিছু দিন আগে তলিয়ে যাওয়া সোনার দামও। তবে দাম এখনও যে-জায়গায়, তা আশঙ্কায় রেখেছে সোনায় লগ্নিকারীদের।
সেপ্টেম্বরের শেষাশেষি মোট প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ পৌঁছেছে ৩.৩৭ লক্ষ কোটি টাকায়। প্রথম ছ’মাসে নিট সংগ্রহ ২.৬০ লক্ষ কোটি টাকা। এই সময়ে কোম্পানি কর সংগ্রহের পরিমাণ ১.৫৫ লক্ষ কোটি টাকা। ব্যক্তিগত আয়করদাতারা জমা করেছেন ১.০১ লক্ষ কোটি টাকা।
পিএফের তথ্য জোগাতে পোর্টাল শীঘ্রই
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি
প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় থাকা কর্মীরা ১৬ অক্টোবর থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে তাঁদের জন্য তৈরি নির্দিষ্ট একটি পোর্টাল থেকে নিজেদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের ইঙ্গিত, ওই দিনই অভিন্ন অ্যাকাউন্ট নম্বর (ইউএএন) হাতে পাওয়া কর্মীদের জন্য পোর্টালটি চালু করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতে উপকৃত হবেন পিএফ-এর আওতায় থাকা ৪ কোটিরও বেশি কর্মী।