‘ফাইট’।
পুরো নাম ফোরাম ফর আইটি এমপ্লয়িজ। সবে তৈরি হওয়া এই মঞ্চের হাত ধরেই এ বার সংগঠন গড়ছেন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের কর্মীরা। এ দেশে এই প্রথম।
সংগঠন সদস্যদের দাবি, এই ইউনিয়নে এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের রং নেই। সম্প্রতি টিসিএস-এর বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই এর জন্ম। এতে সামিল হায়দরাবাদ, মুম্বই, কলকাতা-সহ দেশের আটটি বড় শহরের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা। তবে আগামী দিনে সামগ্রিক ভাবে ওই ক্ষেত্রের কর্মীদের সমস্যা এবং দাবি-দাওয়া তারা তুলে ধরার চেষ্টা করবে বলে সংগঠনটির দাবি।
অনেক টিসিএস কর্মীর অভিযোগ, গত ডিসেম্বর থেকে কলকাতা-সহ দেশের প্রায় সব শহরে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে দেশের বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটি। তাঁদের দাবি, সারা দেশে এই সংখ্যা বেশ কয়েক হাজার। শুধু কলকাতাতেই প্রায় তিনশো। শুধু তা-ই নয়। সম্প্রতি ছাঁটাইয়ের নোটিস পাওয়ার পরে রেখা নামে এক কর্মী মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা করায়, সেই গতি আপাতত কিছুটা কমেছে। সংস্থা তাঁকে দেওয়া বরখাস্তের নোটিস ফিরিয়েও নিয়েছে। ফলে খারিজ হয়েছে সেই মামলা। কিন্তু আগামী দিনে বিষয়টি থিতিয়ে গেলে ছাঁটাই প্রক্রিয়া ফের জোরালো হতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
সংস্থা জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তারা নতুন করে মন্তব্য করতে নারাজ। তবে গত ১৫ জানুয়ারি ত্রৈমাসিক ফলাফল প্রকাশের সময় কর্তৃপক্ষ জানান, কর্মীদের কাজের বিচার বা ‘পারফর্ম্যান্স রিভিউ’-এর ভিত্তিতে কয়েক জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
কিন্তু সংস্থার এই দাবি মানতে নারাজ ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা। তাঁদের অনেকেরই দাবি, নিজেদের চাকরিজীবনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আশানুরূপ কাজ করার রেটিং পেয়েছেন তাঁরা। মাদ্রাজ হাইকোর্টে এই একই অভিযোগ দাখিল করেন রেখাও। হঠাৎ পাওয়া নোটিসে কাজ চলে যাওয়া এই কর্মীদের প্রশ্ন, একের পর এক ত্রৈমাসিকে পূর্বাভাস টপকে যাওয়া মুনাফা করছে সংস্থা। শুধু ২০১৪ সালেই ৫৫ হাজার নতুন কর্মী যোগ দিয়েছেন টিসিএসে। অনেক ক্ষেত্রে কর্মীদের অন্য সংস্থায় যাওয়া আটকাতে ঘোষণা করা হচ্ছে বোনাসও। তা হলে সংস্থা এমন বিপুল হারে ছাঁটাই করছে কেন? তাঁদের অভিযোগ, এক বার ছাঁটাই হলে, গায়ে অদক্ষতার যে তকমা সেঁটে যায়, তাতে অন্য কোথাও কাজ পাওয়া শক্ত হয়।