প্রত্যক্ষ কর বিধির (ডিরেক্ট ট্যাক্স কোড বা ডিটিসি) সংশোধিত খসড়ায় বছরে ১০ কোটি টাকার বেশি আয়ে করের নতুন হার (৩৫%) চালুর প্রস্তাব পেশ করল কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পরামর্শ না-মেনে একই রাখা হল আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা। তবে কমলো করছাড়ে বাড়তি সুবিধা পেতে প্রবীণ নাগরিক হিসেবে গণ্য হওয়ার বয়স। ৬৫ বছর থেকে তা নামানো হয়েছে ষাটে। অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের চূড়ান্ত করা এই খসড়া ভোটের পর খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রের নয়া সরকার। তারা চাইলে, তবেই তা কার্যকর হবে।
ভোডাফোন থেকে নোকিয়া বছর কয়েক ধরেই কর নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক তেতো হয়েছে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার। শিল্পমহলের তরফে প্রশ্ন উঠেছে বিষয়টির স্বচ্ছতা নিয়ে। বলা হয়েছে, এর ফলে ভারতে ধাক্কা খেতে পারে বিদেশি লগ্নির পরিবেশ। সেই সমস্যা মেটাতেও প্রস্তাব রাখা হয়েছে খসড়ায়। বলা হয়েছে, ভারতে ব্যবসা করা কোনও বিদেশি সংস্থার মোট সম্পদের ২০ শতাংশের বেশি এখানে থাকলেই তা এ দেশের কর আইনের আওতায় পড়বে।
বর্তমানে বছরে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় না। প্রবীণ ও অতি প্রবীণদের ক্ষেত্রে তা যথাক্রমে আড়াই ও পাঁচ লক্ষ। আয় ২-৫ লক্ষ টাকা হলে ১০% হারে কর লাগে। পাঁচ লক্ষের বেশি কিন্তু ১০ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে তা ২০%। আয় ১০ লক্ষ ছাড়ালে ৩০%। বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হার নেতৃত্বাধীন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পরামর্শ ছিল, তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করশূন্য হোক। ৩-১০ লক্ষ, ১০-২০ লক্ষ ও ২০ লক্ষের উপর আয়ে তা হোক যথাক্রমে ১০, ২০ এবং ৩০%। কিন্তু খসড়ায় দাবি, ওই প্রস্তাব মানলে বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব খোয়াবে কেন্দ্র। ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ও তার হার তাই একই থাকছে। উপরন্তু যোগ করা হয়েছে আয় ১০ কোটি ছাড়ালে আরও চড়া হারে (৩৫%) কর গোনার প্রস্তাব।