আবাসন ও নির্মাণ শিল্পকে চাঙ্গা করতে বুধবার ওই ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির শর্ত কিছুটা শিথিল করল কেন্দ্র।
এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে সব বিষয়ে সায় মিলেছে, সেগুলি হল—l এ বার থেকে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির জন্য ন্যূনতম ফ্লোর এরিয়া ২০ হাজার বর্গ মিটার হলেই চলবে। আগে তা ছিল ৫০ হাজার বর্গ মিটার l ন্যূনতম মূলধনের পরিমাণ আগের ১ কোটি ডলার থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৫০ লক্ষ ডলারে l সার্ভিসড-প্লট গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আগে যে অন্তত ১০ হেক্টর জমি থাকার শর্ত ছিল, তা তুলে দেওয়া হয়েছে l তৈরি প্রকল্প, টাউনশিপ, শপিং মল ইত্যাদি পরিচালনার জন্য এখন ১০০% বিদেশি লগ্নি সরাসরি করা যাবে।
এ ছাড়াও, এই সংক্রান্ত শর্ত শিথিল করা হয়েছে কম দামের আবাসন তৈরির ক্ষেত্রে। স্পষ্ট করা হয়েছে ডেভেলপ্ড প্লট, ফ্লোর এরিয়া ইত্যাদির সংজ্ঞাও। স্বাভাবিক ভাবেই সরকারের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে নির্মাণ শিল্পমহল।
নির্মাণ শিল্পে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির নীতি সংশোধনের বিষয়গুলি এ বছরের বাজেটেই বলা হয়েছিল। উদ্দেশ্য, নগদের অভাবে ধুঁকতে থাকা আবাসন শিল্পে প্রাণ ফেরাতে বিদেশি লগ্নি আসার পথ আরও সুগম করা। কেন্দ্রের আশা, এই শর্ত শিথিলের ফলে আবাসন-সহ বিভিন্ন নির্মাণে পুঁজির অভাব অনেকটা দূর হবে। তৈরি করা যাবে কম দামের বাসস্থান এবং বাজেটে প্রস্তাবিত স্মার্ট সিটিও।
গমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য। ২০১৪-’১৫ সালের রবি মরসুমের জন্য গমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল পিছু ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১,৪৫০ টাকা করল কেন্দ্র। চলতি বছরে গম চাষে কৃষকদের উত্সাহ দিতেই বুধবার এতে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি। ওই শস্য বিক্রির জন্য বাজারে আসবে ২০১৫-’১৬ সালে। গত বছর তা ছিল কুইন্টালে ১,৪০০ টাকা।