আগের বছরে পেঁয়াজের মতো এ বার আমজানতার পকেটে ছ্যাঁকা দিতে পারে ডাল। কারণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উষ্ণ বায়ুপ্রবাহ ‘এল নিনো’-র প্রভাবে ভারতেও বর্ষা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা। যার জেরে দেশে ডাল উৎপাদন কমতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের সমীক্ষায়। এর পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও যদি ডাল উৎপাদন মার খায়, তা হলেও ভুগবে ভারত। কারণ এ দেশে ওই শস্যের একটা বড় অংশ আমদানি করা হয়। আর এই সব মিলিয়ে আগামী দিনে দেশবাসীর পাতে ডালের খরচ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।
অ্যাসোচ্যামের হিসেব অনুযায়ী, ভারতে এখন বছরে ১.৮৬ কোটি টন ডাল উৎপাদন হলেও দেশের বাজারে চাহিদা প্রায় ২.২ কোটি টন। ঘাটতি মেটাতে তাই নির্ভর করতে হয় অন্য দেশের রফতানির উপর। বণিকসভাটির প্রেসিডেন্ট রাণা কপুরের বক্তব্য, এর ফলে শুধু অভ্যন্তরীণ উৎপাদনই নয়, কানাডা-মায়ানমার-অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের ডাল উৎপাদন ও সরবরাহের উপরও নির্ভর করছে ভারতের বাজারের পরিস্থিতি।
এই সমস্যার সুরাহা খুঁজতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটিয়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উপরই জোর দিচ্ছে শিল্পমহল। সমীক্ষায় দাবি, ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ জরুরি। কারণ তাদের হিসেবে, ২০১৬-তে দেশে উৎপাদন বেড়ে ২.১ কোটি টনে পৌঁছবে। কিন্তু তখন চাহিদাও পাল্লা দিয়ে বাড়বে। তাই প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আরও বেশি জমিতে ডাল চাষের পক্ষেই সওয়াল করেছে অ্যাসোচ্যাম।