টয়োটার বেঙ্গালুরু কারখানা

লকআউট উঠলেও কাজে ফিরলেন না কর্মীরা

আট দিন পর লকআউট উঠলেও, ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত মতোই কাজে যোগ দিলেন না টয়োটা কির্লোস্কর মোটরের বেঙ্গালুরু কারখানার কর্মীরা। গত শনিবারই কারখানার শ্রমিক সংগঠন স্পষ্ট জানিয়েছিল, কর্মীরা কাজে যোগ দিতে রাজি, কিন্তু সংস্থার দাবি মেনে সে জন্য তাঁরা কোনও মুচলেকা সই করবেন না। এ দিন সেই সিদ্ধান্তই বজায় রাখলেন তাঁরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৪ ০২:২২
Share:

আট দিন পর লকআউট উঠলেও, ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত মতোই কাজে যোগ দিলেন না টয়োটা কির্লোস্কর মোটরের বেঙ্গালুরু কারখানার কর্মীরা। গত শনিবারই কারখানার শ্রমিক সংগঠন স্পষ্ট জানিয়েছিল, কর্মীরা কাজে যোগ দিতে রাজি, কিন্তু সংস্থার দাবি মেনে সে জন্য তাঁরা কোনও মুচলেকা সই করবেন না। এ দিন সেই সিদ্ধান্তই বজায় রাখলেন তাঁরা। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় সংস্থাও। যতক্ষণ না কর্মীরা মুচলেকা সই করছেন, ততক্ষণ তাঁদের ফেরানো হবে না বলে এ দিন ফের জানিয়ে দিয়েছে জাপানের টয়োটা মোটরের ভারতীয় শাখাটি।

Advertisement

সোমবার টয়োটা কির্লোস্কর শ্রমিক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট প্রসন্ন কুমার বলেন, প্রথম শিফ্টের কর্মীরা কাজে এলেও তাঁরা মুচলেকা সই করতে রাজি হননি। আর এর জেরে তাঁদের কারখানায় ঢুকতে দেয়নি সংস্থা। বরং সই করা নিয়ে জোরাজুরি করেছে। বিষয়টি নিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তিনি শহরে না থাকায় দেখা হয়নি। পাশাপাশি, নির্বাচন বিধি চালু থাকায় তিনি সরাসরি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বলে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য গত ১৬ মার্চ থেকে বন্ধ থাকার পর সোমবারই খোলার কথা বেঙ্গালুরুর ওই কারখানার দু’টি ইউনিট। কিন্তু সে জন্য কর্মীদের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি মুচলেকায় সই করে তবেই কাজে ফিরতে বলেছিলেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। আর এতেই আপত্তি জানায় সংগঠন। তাদের দাবি ছিল, এই মুচলেকায় দেওয়া শর্তগুলি বেআইনি। যদিও সংস্থার দাবি, কারখানার সম্পত্তি এবং কর্মীদের নিরাপত্তা দিতেই ওই মুচলেকা তৈরি করা হয়েছে। তাতে সই করতেই হবে। আর ৩০ জন সাসপেন্ড কর্মী যদি ক্ষমা চান, তা হলেই একমাত্র তাঁদের ফেরানোর কথা ভাবা হবে, নয়তো তদন্ত অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন