ফের মাথা তুলছে মূল্যবৃদ্ধির সরীসৃপ। শাক-সব্জি, ফল ও খাদ্যশস্যের চড়া দামের জেরে মে মাসে ৬.০১ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি, গত ৫ মাসে সর্বোচ্চ।
পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে সোমবার প্রকাশিত এই পরিসংখ্যানে হতাশ শেয়ার বাজারও। লেনদেনকারীদের সূত্রে খবর, সেই কারণেই এ দিন সেনসেক্স গত দশ দিনের মধ্যে সব চেয়ে নীচে নেমে আসে। বাজার বন্ধের সময়ে তা ছিল ২৫,১৯০.৪৮ অঙ্কে। লগ্নি-কারীদের উদ্বেগে ইন্ধন জোগায় ইরাকে সংঘাতের জেরে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের চড়া দাম। এর জেরে ভারতের তেল আমদানির খরচ বাড়লে মূল্যবৃদ্ধি পাল্লা দিয়ে আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা লগ্নিকারীদের। পাশাপাশি, সূচকের পতন ও তেলের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা এ দিন টেনে নামায় টাকার দামকেও। আমদানি-কারীরা ভবিষ্যতে তেল আমদানির খরচ মেটানোর তাগিদে বেশি করে ডলার কিনতে শুরু করায় বেড়ে যায় ডলারের দাম। ফলে দিনের শেষে টাকা পড়ে যায় ৩৯ পয়সা। প্রতি ডলারের দাম ফের ৬০ টাকা ছাড়িয়ে দাঁড়ায় ৬০.১৬ টাকা। গত ছ’সপ্তাহে টাকা এত নীচে নামেনি।
এ দিকে, মে মাসে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি বাড়ার জন্য মূলত দায়ী আলু (৩১%), ফল (১৯%), চাল (১৩%) ইত্যাদি খাদ্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম। এপ্রিলে পাইকারি বাজারের এই সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৫.২০% এবং গত বছরের মে মাসে ৪.৫৮%। গত ডিসেম্বরে তা ছিল ৬.৪%, তার পরে এই হার এত বেশি বাড়েনি। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বৃষ্টিপাতে ঘাটতির সম্ভাবনা ও ইরাকে অস্থিরতা মূল্যবৃদ্ধিকে ফের টেনে তুলতে পারে।