সহারা মামলায় নতুন বেঞ্চ তৈরি করল সুপ্রিম কোর্ট। এই বেঞ্চে থাকছেন দুই বিচারপতি টি এস ঠাকুর এবং এ কে সিক্রি। ২০১২ সাল থেকে এত দিন ধরে সহারা মামলার বিচার করছিলেন বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণন এবং জে এস খেহর। কিন্তু সম্প্রতি রাধাকৃষ্ণন অবসর নেওয়ায় এবং খেহর মামলা থেকে অব্যাহতি চাওয়ায় নতুন বেঞ্চ গঠনের প্রয়োজন দেখা দেয়। যে কারণে প্রধান বিচারপতি আর এম লোঢা নতুন দু’জনের নাম ঘোষণা করলেন। সোমবারই এই নয়া বেঞ্চ মামলার শুনানি শুরু করবে।
খেহর এবং রাধাকৃষ্ণনকে তৈরি বেঞ্চই লগ্নিকারীদের টাকা ফেরত না-দেওয়ার অভিযোগে সহারা কর্ণধার সুব্রত রায়কে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। সেখানে ১০ হাজার কোটি টাকা জামিন না-দিলে সুব্রতবাবুকে ছাড়া হবে না বলেও জানান তাঁরা। জেলে পাঠানোর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুব্রতবাবুর আবেদন আসলে আদালতের উপর ইচ্ছাকৃত ভাবে চাপ তৈরির চেষ্টা বলেও মন্তব্য করেন দুই বিচারপতি। পাশাপাশি, এই মামলায় সহারা গোষ্ঠী ও সুব্রত রায়ের একের পর এক কৌশলে অষন্তোষও প্রকাশ করে আগের বেঞ্চ। লগ্নিকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে সহারা গোষ্ঠী বার বার আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করছে বলেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা।
তবে সহারা কর্তার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিলেও, এই মামলা নিয়ে যে তিনি এবং তাঁর পরিবার প্রবল চাপের মধ্যে ছিলেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন রাধাকৃষ্ণন। সহারা মামলা সামলাতে অসম্ভব ধৈর্য এবং প্রচুর সময় লাগবে বলেও মন্তব্য করেছিল দুই বিচারপতির বেঞ্চ। সে জন্য বিচারপতিদের ‘অতিমানব’ হতে হবে বলেও গত ৬ মে-র শুনানিতে দাবি করেছিলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, ওই দিনই প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন খেহর। লোঢার কাছে অবশ্য তা পেশ করা হয় পর দিন। আর তার পরই সুপ্রিম কোর্টে চলা সহারা মামলার শুনানির জন্য শীর্ষ আদালতে নতুন একটি বেঞ্চ গড়ার বিষয়ে মত দেন প্রধান বিচারপতি লোঢা।