Coronavirus

শহরে কোয়রান্টিন কেন্দ্রের ভাবনা, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে চিন্তা

পুরসভা সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কয়েকটি কমিউনিটি সেন্টারকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র হিসেবে ভাবা হয়েছিল।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ০৬:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

নিউ টাউনে সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়ছে। এ বার তাই কলকাতায় কোয়রান্টিন কেন্দ্র খুলতে চায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই কলকাতার পুর প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তা। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে আরও বেশি মানুষকে কোয়রান্টিনে পাঠানোর প্রয়োজন হবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। তাই শহরে কোথায় কোথায় কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি করা যাবে, তার খোঁজ করতে বলা হয়েছে কলকাতা পুরসভাকে। স্বাস্থ্য দফতরের বার্তা আসার পরে ব্যস্ততা বাড়ে পুরকর্তাদের। বৃহস্পতিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বার্তা পাওয়ার পরে শহরের কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই তালিকা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কয়েকটি কমিউনিটি সেন্টারকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র হিসেবে ভাবা হয়েছিল। সেই সেন্টারগুলি মূলত বেহালা ও কসবার মতো ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হওয়ায় সেখানে ওই ধরনের কেন্দ্র গড়ে তোলা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত হবে, তা নিয়ে ভাবনা শুরু হয়। করোনা-সংক্রমণে মৃতদের সৎকারের পদ্ধতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশ কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে। তাই কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি করলে কী কী নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে, তা জানতে চেয়েছে পুর প্রশাসন। পুরসভার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, প্রাথমিক ভাবে যে সব জায়গা বাছা হয়েছে, সেখানে ঘন বসতি রয়েছে। তাই সেখানে স্থানীয়দের তরফে আপত্তি উঠবে কি না, তা-ও ভেবে দেখা দরকার।

বাইপাসের ধারে, ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় কলকাতা পুরসভার নিজস্ব চম্পামণি মেটারনিটি হোমকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করার জন্য আলোচনা হয়েছিল পুরসভায়। এ দিন পুরসভার তরফে আরও একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাতে চম্পামণি মেটারনিটি হোম ছাড়াও শহরের একটি বন্ধ পড়ে থাকা বেসরকারি হাসপাতাল, একটি মাতৃসদন, ব্যবহার না-হওয়া হস্টেল-সহ একাধিক জায়গার কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

কোয়রান্টিন কেন্দ্রগুলি কে চালাবে, তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। সেখানে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর দরকার হবে। এক পুর আধিকারিক জানান, লকডাউনে কলকাতায় ১৪৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র সচল রাখতেই সমস্যায় পড়েছে পুরসভা। দূরে থাকা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের গাড়িতে নিয়ে আসা বা শহরে থাকার ব্যবস্থা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই কোয়রান্টিন কেন্দ্র চালানোর কর্মী কোথা থেকে মিলবে, তা নিয়ে চিন্তায় পুর প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন