Bengali Festival

জামাইষষ্ঠী নিয়ে স্টেটাসের খেলা খেললে মুশকিল!

আমার শাশুড়ি খুবই ভাল রান্না করেন। আমি মাছ ভালবাসি। নানা রকমের মাছ। সেটা তিনি জানেন। তাই আলাদা কোনও আবদারের জায়গা নেই। পছন্দমতোই আয়োজন করেন।

Advertisement

দেবশঙ্কর হালদার

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ ১৭:০৭
Share:

‘আমার শাশুড়ি খুবই ভাল রান্না করেন’— ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

জামাইষষ্ঠীর একটা মাধুর্য রয়েছে। অন্য মাধুর্য। আমি যে ব্যক্তিগত ভাবে এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে খুব বেশি জুড়ে থাকতে পারি, এমন নয়। ক্বচিত্-কদাচিত্ ঠিক দিনে ঠিক সময়ে শ্বশুরবাড়ি যেতে পেরেছি। হা হা...!

Advertisement

আমার শাশুড়ি খুবই ভাল রান্না করেন। আমি মাছ ভালবাসি। নানা রকমের মাছ। সেটা তিনি জানেন। তাই আলাদা কোনও আবদারের জায়গা নেই। পছন্দমতোই আয়োজন করেন।

এ বছর জামাইযষ্ঠীর দিন রিহার্সাল রয়েছে। যিনি রিহার্সালের ব্রেকে আমাদের খাওয়ার আয়োজন করেন, তিনি কথা দিয়েছেন জামাইষষ্ঠীর মতোই খাওয়াবেন! দেখা যাক। ফলে এই বিশেষ দিনে শ্বশুরবাড়িতে যেতে না পারলে আমরা অন্য কোনও দিন যাই। আবার কোনও কোনও বছর বাইরে খেয়েও উত্সব পালন বলুন বা আহ্লাদ-আনন্দ বলুন— করেছি আমরা।

Advertisement

আসলে জামাইয়ের দায়িত্ব ঠিক পালন করতে পারছি কি না, সে নিয়ে বিয়ের প্রথম দিকে প্রবল সংশয় ছিল। ফলে জামাইষষ্ঠীতে অংশ নিতে ভেতর থেকেই কেউ বাধা দিত। আর যে ভাবে বড় হয়ে ওঠা আমার, তার ফলেও এই অনুষ্ঠানে খুব একটা স্বচ্ছন্দ ছিলাম না।

তবে এই অনুষ্ঠানে এক দিকে যেমন দেখেছি মেয়েরা আনন্দ করেন, তেমনই অনেকে দেউলিয়াও হয়ে যান। এখনও অনেক জায়গায় জামাইকে ঝুড়ি ভর্তি আম, সন্দেশ দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। সেটা আনন্দে দিতে পারলে ক্ষতি নেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই মেয়ের পরিবারকে কষ্ট করে এ সব জোগাড় করতে হয়। ফলে এ অনুষ্ঠান প্রীতি বিনিময়, আড্ডার মধ্যে রাখলেই ভাল। কিন্তু স্টেটাসের খেলা খেললে মুশকিল!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement