প্রতীকী ছবি
দমবন্ধ এক রুদ্ধদ্বার ঘরে আচমকা জানলা খুলে গিয়ে দমকা হাওয়া এসে ঢুকলে যেমনটা অনুভূতি হয়, তেমনই এক ভাল লাগা মনকে ছুঁয়ে গেল যেন। চারিদিকে নেতিবাচক খবর, খারাপ খবরের ভিড়ে হঠাত্ রাঁচীর পিথোরিয়া থেকে এল এক ঝলক টাটকা হাওয়া। পণ হিসাবে আরও ভাল বাইক চাই, পাত্রের এই দাবিতে বেঁকে বসে আঠারো বছরের এক কন্যা— বিয়ে ভেঙে দিয়েছে সে।
একবিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল যুগে ক্রমাগত সমৃদ্ধির ঘোষণাপথে আমাদের যে যাত্রা, সেই যাত্রাপথের আলোকবৃত্তের বাইরে আছে আর একটা ভারত— যার বাস মধ্যযুগীয় পশ্চাদপদতায়। পিথোরিয়ার পাত্রের সদম্ভ দাবি আরও এক বার সেই অন্ধকারকেই দেখিয়ে দেয়। এইটুকু মাত্র হলে এই কাহিনি বিশেষ মাত্রা পেত না। পেল ওই অন্ধকার ফুঁড়ে বেরিয়ে আসা এক আলোকবর্তিকার কারণে। আঠারো বছরের ওই কন্যা বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করে বস্তুত দেশকেই যেন আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল।
এবং সাবাশি প্রাপ্য ওই গ্রামের মানুষদেরও। কয়েক দশক আগেও যে দৃশ্য প্রায় কল্পনাতীত ছিল, সেটাই করে দেখালেন তাঁরা। ওই মেয়ের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে পাশে দাঁড়ালেন তো বটেই, পণপ্রথার বিরুদ্ধে সঙ্কল্পবদ্ধও হলেন।
নতুন করে জেগে ওঠার চিহ্ন যেন। যেন অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রার ইঙ্গিত। খারাপ খবরের ভিড়ে মন ভাল করবে না পিথোরিয়া?