Editorial News

বরকতির এই নাটক অনায়াসে এড়ানো যেত

অবশেষে লালবাতি ছাড়লেন নুর-উর রহমান বরকতি। ছাড়তে বাধ্য হলেন। কিন্তু তার আগে গত তিন দিন যে অনির্বচনীয় নাটকের সাক্ষী রইল এই রাজ্য তথা দেশ, তারও নজিরটি নিতান্ত বিরল।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৭ ০৫:৩৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

অবশেষে লালবাতি ছাড়লেন নুর-উর রহমান বরকতি। ছাড়তে বাধ্য হলেন। কিন্তু তার আগে গত তিন দিন যে অনির্বচনীয় নাটকের সাক্ষী রইল এই রাজ্য তথা দেশ, তারও নজিরটি নিতান্ত বিরল।

Advertisement

কেউ কেউ থাকেন, যাঁরা নিজেদের স্বয়ম্ভূ বলে ভেবে থাকেন। স্বয়ংপ্রধান তাঁরা, অন্যের ঘোষণার জন্য অপেক্ষা না করে নিজেরাই নিজেদের প্রাধান্য জারি করেন। নুর-উর রহমান বরকতি, টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম তেমনই এক জন। কেন্দ্রীয় নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে যিনি ধারাবাহিক ভাবে ঘোষণা করেন, গাড়িতে লাল বাতি তিনি ব্যবহার করেই যাবেন, এ তাঁর বংশানুক্রমিক অধিকার এবং এই রাজ্যটিতে কেন্দ্রীয় আইন প্রযোজ্যই হতে পারে না!

আইন না-মানার প্রকাশ্য এই ঘোষণার স্পর্ধা কোথা থেকে পান এই ইমাম, এই প্রশ্নটা প্রাসঙ্গিক ঠিকই। কিন্তু আরও প্রাসঙ্গিক যে প্রশ্নটা জনমানসে ঘুরপাক খেল গত ৭২ ঘণ্টা, তার উত্তর দেওয়ার দায় প্রশাসনের। আইনকে তোয়াক্কা না করার প্রকাশ্য ঘোষণার পরেও প্রশাসনিক উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়নি এই প্রসঙ্গে? দৃশ্যত তার কোনও চিহ্ন দেখেনি রাজ্য, প্রশ্ন অতএব, কেন কোনও ব্যবস্থা হয়নি? বিশেষত যেখানে প্রশাসনিক কর্তাদের কারও অজানা নয় যে, লালবাতি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় আইনটি এই দেশের সব রাজ্যেই সমান ভাবে প্রযোজ্য।

Advertisement

শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতাদের ট্র্যাক টু কূটনীতির পর লালবাতির অধিকারটুকু ছাড়লেন বরকতি। কিন্তু রাজ্য দেখতে চেয়েছিল প্রশাসনিক দার্ঢ্য, তা কিন্তু দৃশ্যমান হল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন