Editorial News

যাত্রীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কে দিল মেট্রো-কর্তাদের?

মেট্রো রেলের বিভিন্ন সূত্র এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে যেটা বোঝা গেল, নিতান্তই অপ্রতুল এক পরিকাঠামো এবং রুগ্‌ণ এক কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে আমাদের এই প্রাণবাহিকা মেট্রো রেল।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৩৫
Share:

বহু মানুষের জীবন যার সঙ্গে জড়িত, সেখানে এ রকম ছেলেখেলা কী ভাবে করতে পারেন মেট্রো রেল কর্তারা? ছবি: পিটিআই।

খুব সম্প্রতি মেট্রোতে যে কাণ্ড ঘটে গেল, তার পর কলকাতাবাসীরা নিঃসন্দেহে ভাববেন, একেই বলে বরাতজোরে রক্ষা। অন্ধকার সুড়ঙ্গে মেট্রো রেল, রেকে আগুন, ধোঁয়ার কুণ্ডলী, বদ্ধ কামরায় তীব্র আতঙ্কের ওই প্রহরগুলো যে হাড়হিম করা, তা নিয়ে সংশয় থাকার কোনও কারণ নেই। এর আগে ও পরে বারংবার নানান ছোট-বড় বিচ্যুতি-বিকলতার সাক্ষী থেকেছি আমরা। অতএব আমরা বুঝবার চেষ্টা করলাম, কেন এই হাল। অন্তর্তদন্তে যা বেরিয়ে এল, তা উদ্বেগজনক।

Advertisement

এই কলকাতার লাইফলাইন, বহু দিনের গর্ব মেট্রো রেল আসলে যে কতটা ফোঁপড়া ব্যবস্থার উপরে দাঁড়িয়ে চলছে, অন্তর্তদন্তে সেটাই বেরিয়ে এল। দিনে সাত লাখ যাত্রী যে পরিবহণ ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল থাকেন, সেই ব্যবস্থা যে আসলে পরিকাঠামোর প্রশ্নে কতটা দীর্ণ অবস্থায়, আনন্দবাজারের অন্তর্তদন্তে সেটাই প্রকাশ পেল। মেট্রো রেলের বিভিন্ন সূত্র এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে যেটা বোঝা গেল, নিতান্তই অপ্রতুল এক পরিকাঠামো এবং রুগ্‌ণ এক কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে আমাদের এই প্রাণবাহিকা মেট্রো রেল। কর্মী নেই, থাকলেও নির্দিষ্ট যোগ্যতায় তাঁরা সম্পন্ন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে, পুরনো রেক তথা প্রযুক্তি এবং সার্বিক ভাবে এক ক্ষয়িষ্ণু ব্যবস্থা ও গয়ংগচ্ছ সংস্কৃতির উপর দাঁড়িয়ে চলছে সমস্তটাই।

আমাদের নির্দিষ্ট প্রশ্ন, বহু মানুষের জীবন যার সঙ্গে জড়িত, সেখানে এ রকম ছেলেখেলা কী ভাবে করতে পারেন মেট্রো রেল কর্তারা? জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার ও স্পর্ধা তাঁদের কে দিয়েছে? একটু ভাবার কষ্টও কি করবেন তাঁরা?

Advertisement

সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


আরও পড়ুন: কর্মী নেই, রেকের দুর্দশা, মেট্রোর বেহাল ছবি, অন্তর্তদন্তে আনন্দবাজার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন