দিল্লি ডায়েরি

আজিমবাগের মধ্যেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল সুন্দরওয়ালা বুর্জ-এর মতো ১৫টি মুঘল স্থাপত্য। ব্রিটিশরা এসে বাগানের একটা অংশে সরকারি নার্সারি করলেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৬:০০
Share:

সার্থকনামা: ‘সুন্দর নার্সারি’। ছবি: আগা খান ট্রাস্ট ফর কালচারের টুইটার হ্যান্ডল থেকে।

দিল্লির নতুন আকর্ষণ ‘সুন্দর নার্সারি’

Advertisement

মুঘল আমলে নাম ছিল আজিমবাগ। হুমায়ুনের সমাধির দোরগোড়া থেকে এই আজিমবাগের মধ্য দিয়েই রাস্তা যেত ষোড়শ শতাব্দীর আজিমগঞ্জ সরাইতে। আজিমবাগের মধ্যেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল সুন্দরওয়ালা বুর্জ-এর মতো ১৫টি মুঘল স্থাপত্য। ব্রিটিশরা এসে বাগানের একটা অংশে সরকারি নার্সারি করলেন। নাম হল ‘সুন্দর নার্সারি’। বাকি এলাকা পড়ে ছিল অবহেলায়। আগা খান ট্রাস্ট ফর কালচার ও কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরের উদ্যোগে নতুন করে সেই সুন্দর নার্সারি সেজেগুজে দরজা খুলল। উদ্বোধন করলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। ৯০ একর বাগানে ইউনেস্কো তালিকায় থাকা এক ডজন হেরিটেজ স্থাপত্য। সঙ্গে ৩০০ রকমের গাছ, ৮০ রকমের পাখি, ৬০ রকমের প্রজাপতি। সুন্দর নার্সারি সার্থকনামা।

Advertisement

কার ভাগ্যে

রাহুল গাঁধী সভাপতি হওয়ার পরেই দিল্লিতে এআইসিসি দফতরে নিজের ঘরটি ছেড়ে দিয়েছেন সনিয়া গাঁধী। পাশে সনিয়ার ঘরটি এখন ফাঁকাই। আর সেই ঘরের উপরেই এখন নজর কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতাদের। অনেকেই চাইছেন রাহুলের পাশের ঘরটির দখল নিতে। কারণ, রাহুলের পাশের ঘরে থাকলে ওজনও বাড়বে, রাহুলে-ঘনিষ্ঠ বলেও বাড়বে পরিচিতিও। রোজই খোঁজ নিচ্ছেন, অন্য কাউকে বরাদ্দ করা হয়ে গেল না তো! এ বার রাহুল কাকে দেন সেই ঘর, সেটাই দেখার।

হিন্দিভাষী

যাপনে ও বাচনে পাক্কা সাহেব! কাঁধে গুরুদায়িত্ব— গোবলয়ে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করা, জাতীয় স্তরে দলের মতামত ব্যাখ্যা করা। তাই ঠেকে শিখছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, হিন্দি বিনে যে গীত নাই দিল্লিতে! প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রায়শই বলেন, এত কাল দিল্লিতে থেকেও হিন্দিটা ঠিক মতো বলে উঠতে পারলাম না! এ ক্ষেত্রে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চান না ডেরেক। আজকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে চেষ্টা করছেন সাধ্য মতো হিন্দিতে কথা বলার। রাজ্যসভায় একটি বক্তৃতায় বলেওছেন, হামারে উপর মাত চাপাও! কিন্তু এহ বাহ্য। গুঞ্জন, হিন্দির শিক্ষক রেখেছেন ডেরেক। রাজ্যসভায় তৃণমূলের এই নেতাকে সেই শিক্ষক নাকি পরামর্শ দিয়েছেন, কুছ পরোয়া নেহি! চেষ্টা করে যান। বলতে বলতেই শুদ্ধ হবে ভাষা।

দড়ি টানাটানি

ত্রিপুরায় বিজেপির শক্তি বাড়াতে সেখানে গত কয়েক মাস ঘাঁটি গেড়েছিলেন বিজেপি নেতা সুনীল দেওধর। আরএসএস থেকে উঠে আসা সুনীলের বাবা ছিলেন নাগপুরের একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক। কিন্তু গত মাসে অমিত শাহ সেখানে পাঠান অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। টাকাপয়সা সামলানোর দায়িত্ব ছিল হিমন্তর কাঁধে। কিন্তু তার পরেই কৃতিত্ব কার, সেই নিয়ে লড়াই শুরু হয়ে যায়। হিমন্ত সুনীলকে দাবিয়ে কৃতিত্ব নিতে শুরু করেন। বিজেপি শুধু সুনীলকেই রাখলে সমস্যা হত না। এখন সুনীলের পরিশ্রমের ফল হিমন্তই নিয়ে চলে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ।

তাঁর কাঁধেই

সকর্মক: দিনেশ অরোরা

দিল্লিতে যে কোনও সরকারি আমলার দফতরের দরজায় নোটিস লাগানো থাকে, আমার সঙ্গে দেখা করতে হলে অমুক নম্বর ঘরে ব্যক্তিগত সচিবের কাছে যান। অথবা দরজার বাইরে আরদালি থাকেন, আগে তাঁর দ্বারস্থ হতে হয়। ব্যতিক্রম নীতি আয়োগের অধিকর্তা (স্বাস্থ্য) দিনেশ অরোরা। তাঁর দরজায় নোটিস ‘জাস্ট ওয়াক ইন’। ঢুকে পড়লেই হল। এই দিনেশই এ বার ‘মোদীকেয়ার’, থুড়ি ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর অধিকর্তা নিযুক্ত হলেন। দশ কোটি গরিব পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা— ভোটে বড় বাজি মোদীর। রূপায়ণের দায়িত্ব কেরল ক্যাডারের দিনেশের কাঁধে। কেরলের স্বাস্থ্যসচিব ছিলেন দিনেশ। নরেন্দ্র মোদী জেনেশুনেই দায়িত্ব সঁপেছেন তাঁর উপরে।

গন্তব্য

অক্ষয় কুমার কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ থেকে ‘প্যাডম্যান’, একের পর এক ছবিতে তিনি যে ভাবে আম আদমির ভাষায় কথা বলছেন, নরেন্দ্র মোদীর স্বচ্ছ ভারত থেকে মহিলাদের স্বাস্থ্য নিয়ে বক্তৃতা করছেন, তাতে জোর জল্পনা। একটি সিমেন্ট সংস্থার বিজ্ঞাপনে অক্ষয় প্রায় ‘অখণ্ড ভারত’-এর কথা বলছেন। এর আগে কিরণ খের, পরেশ রাওয়ালরা বিজেপির সাংসদ হয়েছেন। অক্ষয়ও কি তাঁদেরই পথে?

জয়ন্ত ঘোষাল, অগ্নি রায়, দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রেমাংশু চৌধুরী

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন