mahatma gandhi

রাজঘাটের ‘গান্ধী দর্শন’-এ ‘মন কি বাত’!

প্রতি মাসের শেষ রবিবার সকালে রাজঘাটের কাছে গান্ধী দর্শন-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ শোনার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায়

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২২ ০৬:২৫
Share:

স্মরণিকা: রাজঘাটের কাছে ‘গান্ধী দর্শন’ সংগ্রহশালায় দর্শকবৃন্দ

দিল্লির রাজঘাটের কাছেই রয়েছে ‘গান্ধী দর্শন’ নামের সংগ্রহশালা। সেটি পরিচালনা করে গান্ধী স্মৃতি এবং দর্শন সমিতি। এই একই সংস্থা তিস জানুয়ারি মার্গে গান্ধী স্মৃতিরও দায়িত্বে রয়েছে। যেখানে নাথুরাম গডসের গুলিতে মহাত্মা গান্ধী নিহত হয়েছিলেন। ১৯৬৯-এ মহাত্মা গান্ধীর জন্মশতবার্ষিকীতে গান্ধী দর্শন তৈরি করা হয়েছিল। অধুনা প্রতি মাসের শেষ রবিবার সকালে রাজঘাটের কাছে গান্ধী দর্শন-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ শোনার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। উদ্যোক্তা গান্ধী স্মৃতি এবং দর্শন সমিতির উপাধ্যক্ষ, দিল্লির বিজেপি নেতা বিজয় গয়াল। কিন্তু গান্ধী দর্শনে নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ শ্রবণের আয়োজন কেন? উত্তর মিলছে, প্রধানমন্ত্রীই এই সংস্থার অধ্যক্ষ। তাই এই আয়োজন।

Advertisement

নব্বইয়ে মনমোহন

লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী তখন সুষমা স্বরাজ। ইউপিএ সরকারের জবাবদিহি চেয়ে শায়েরি হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে বলেছিলেন, ‘না ইধর-উধর কি তু বাত কর, ইয়ে বাতা কি কাফিলা কিঁউ লুটা।’ জবাবে মনমোহন নিজস্ব পরিমিত বক্তৃতার বাইরে গিয়ে, শায়েরিকে আশ্রয় করেই মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘মানা কি তেরি দিদ কে কাবিল নহি হুঁ ম্যায়, তু মেরা শৌক দেখ, মেরা ইন্তেজ়ার দেখ।’ হেসেছিলেন সুষমাও। রাজস্থানে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের মধ্যেই সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর নীরবে নব্বইয়ে পা দিলেন মনমোহন সিংহ। কংগ্রেসের সকলেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাহুল গান্ধী বলেছেন, উনি আমার কাছে অনুপ্রেরণা। প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে বিদায়ের আগে মনমোহন বলেছিলেন, ইতিহাস তাঁর প্রতি সুবিচার করবে। কংগ্রেসের অনেক নেতার স্মৃতিচারণেই সে কথাটি এল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরল মনমোহন-সুষমার শায়েরির লড়াই।

Advertisement

রেকর্ডিং-এর ছাড়পত্র

সুপ্রিম কোর্টে আদালতের শুনানির মধ্যে কারও মোবাইল বেজে উঠলে আর রক্ষে নেই। মোবাইলে ছবি তোলা বা বিচারপতিদের কথা রেকর্ড করার চেষ্টা করলে তো রক্ষীরা ছুটে আসেন। ভবিষ্যতে প্রধান বিচারপতির আসনের দাবিদার বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় এ বিষয়ে উদারপন্থী। তিনি কিছু বললে বা মৌখিক নির্দেশ দিলে তা আইনজীবীরা মোবাইলে রেকর্ড করে নেন। চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য, সমস্যা কী! এমনিতেও সব প্রকাশ্য আদালতেই বলা হচ্ছে! কেউ রেকর্ড করতেই পারেন। আইনজীবীদের প্রশ্ন, ভবিষ্যতে কি আদালতের শুনানি মোবাইলে ভিডিয়ো বা অডিয়ো রেকর্ডিং-এর ছাড়পত্র মিলবে?

টেবিল সাফাই অভিযান

পুরনো কাগজপত্র ধরে রাখতে চান অনেকেই। তাই টেবিলের উপর জমে ওঠে কাগজ, ফাইল, বুকলেট, পত্রপত্রিকার কাটিং, বইয়ের পাহাড়। কেন্দ্রীয় সরকারি আমলাদের মধ্যে যাঁদের এমন বাতিক, তাঁরা বড়ই ফাঁপরে! আজ ২ অক্টোবরই তো স্বচ্ছতা অভিযান দিবস। যে দিনে ঝাড়ু দিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী! ব্যাপার হল, নির্দেশ এসেছে, টেবিল সাফ করতে হবে। পুরনো ফাইল ফেলে দিতে হবে নির্দয় ভাবে। এক-আধটা ফাইল একান্ত জরুরি এবং সংরক্ষণযোগ্য বলে মনে হলে দেওয়া যাবে ন্যাশনাল আর্কাইভে। কেউ যদি ফাইলের মায়া বাড়ান, তাঁকে সংশ্লিষ্ট যুগ্ম সচিবের কাছে জবাবদিহি করতে হবে!

বাংলাদেশে বামপন্থা

ভারত এবং বাংলাদেশের বামপন্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় দু’দেশের নেতা। নয়াদিল্লি এসেছিলেন কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। সিপিএমের কার্যালয়ে পলিটবুরো সদস্য নীলোৎপল বসু ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অরুণ কুমারের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আদানপ্রদান হয় তাঁর। বাংলাদেশে ভোট আসছে। সূত্রের মতে, প্রিন্স ভারতের নেতাদের জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সরকার গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ ধরে রাখতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ছে।

অপরাধী কে?

উত্তরপ্রদেশের বিধানসভার অধিবেশন। শাসক শিবিরের বেঞ্চে কোনও বিজেপি বিধায়ক মোবাইলে তাস খেলছেন। আবার কোনও বিধায়ক লুকিয়ে মুখে তামাক পুরছেন। সেই দৃশ্য অন্য বিজেপি বিধায়ক মোবাইলে বন্দি করছেন। সেই ছবি যাচ্ছে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের কাছে। তিনি সেগুলো টুইট করে বিজেপিকে বিঁধছেন। যোগী আদিত্যনাথের কড়া শাসনকালের মধ্যে বিজেপির কোন বিধায়ক এমন অপকর্ম করছেন— খোঁজ পড়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন