Mohammed Siraj

বিশ্বাসে মিলায়ে সিরাজ, লক্ষ্য বহুদূর!

তারকা ক্রিকেটারদের মতো আম্বা নেই তাঁর। কিন্তু সিংহের মতো হৃদয় আছে। প্যাশন, শৃঙ্খলা, হৃদয়, সাহস, পরিশ্রম, আবেগ যোগ করুন। সেই পুঁটুলিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলুন প্রগাঢ় বিশ্বাস দিয়ে। মহম্মদ সিরাজকে পেয়ে যাবেন।

Advertisement

অনিন্দ্য জানা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৫ ০৭:৫৮
Share:

পেরেছি! ওভালে ইংল্যান্ডকে শেষ করার পর মহম্মদ সিরাজ। ছবি: পিটিআই।

কোথা থেকে এই লেখা শুরু করি? কেনসিংটন ওভাল? নাহ্। বরং এই লেখা শুরু হোক বডোদরা শহরের এক মসজিদের চত্বরের চিলতে ঘর থেকে।

Advertisement

ওই ঘরে থাকেন সেই মসজিদের ইমামসাহেব। তাঁর গর্তের (মাফ করবেন, ‘ঘর’ বলতে পারছি না। ‘আস্তানা’ও নয়। সেটিও এর চেয়ে একটু বড় হয়) মাঝ বরাবর নাইলনের দড়ি টাঙানো। সেই দড়িতে কাপড় ঝুলিয়ে দু’টি খোপ পরস্পরের থেকে আব্রু রক্ষা করে। দড়ির এক পাশে থাকেন তিনি এবং তাঁর স্ত্রী। অন্য পাশে তাঁর দুই পুত্র এবং এক কন্যা। গর্তের এক কোনায় রাখা গেরস্তালির তৈজসপত্র। অন্য প্রান্তে জামাকাপড়ের স্তূপ।

২০০৪ সালে যখন সেই মসজিদে গিয়েছিলাম, তখন ইমামসাহেবের এক পুত্র ইন্ডিয়া খেলছেন এবং গুছিয়ে পারফর্ম করছেন। সেই সুবাদে সেই মসজিদের সেই মলিন খোপে এসেছে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অভিনন্দন-ফোন। দ্বিতীয় পুত্র তখন বডোদরার হয়ে রঞ্জি ট্রফি পর্যন্ত পৌঁছেছেন। ভারতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ছেন। মসজিদের ফটক ঠেলে ঢুকে-পড়া আগন্তুককে সেই পুত্রই চারদিক ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন। নিয়ে গিয়েছিলেন সেই ন্যাড়া, ঘাসহীন, রুক্ষ মাঠে। যেখানে নেট প্র্যাকটিস করতে করতে তাঁদের ক্রিকেটীয় উত্থান।

Advertisement

কুড়ি বছর পরে বহরমপুরের হোটেলে সাক্ষাৎকার দিতে-বসা তৃণমূলের সাংসদ পদপ্রার্থীকে বললাম বডোদরার সেই মাঠ-সফরের কথা। বললাম, এখনও মনে আছে, সে দিন তিনি বলেছিলেন, যাবতীয় দারিদ্র এবং প্রতিকূলতাকে ঠেলে সরিয়ে একদিন যে তিনি ইন্ডিয়া খেলবেন, সেই বিশ্বাস তাঁর আছে। যেমন তাঁর সহোদর খেলছেন। দু’দশক আগের সেই সাক্ষাতের কথা তাঁর মনে ছিল না। স্বাভাবিক। জীবন গিয়াছে চলে কুড়ি কুড়ি বছরের পার।

ওভাল টেস্ট এক ঝটকায় কুড়ি বছর আগের সেই বডোদরার দুপুরে নিয়ে গিয়ে ফেলল। সময়কালের দুই প্রান্তে থাকা দুই বিন্দুকে জুড়ে দিল একটি তিন অক্ষরের সুতো— বিশ্বাস। বিশ্বাসের সুতোয় বাঁধা পড়লেন ইউসুফ পাঠান-মহম্মদ সিরাজ।

কী আশ্চর্য সমাপতন! এক জন দরিদ্র ইমামের সন্তান। অন্য জনের বাবা অটোরিকশ চালাতেন। দ্বিতীয় জন, সিরাজ সত্যিকারের ক্রিকেট বল হাতে পেয়েছিলেন ২০১৫ সালে। তার আগে পর্যন্ত এখানে-ওখানে ‘খেপ’ খেলে বেড়াতেন। স্পাইক-লাগানো বোলিং শ্যু-ও ছিল না। চপ্পল পায়েই রান আপ নিতেন। সেই চপ্পল পরেই টেনিস বলে গোলার মতো ডেলিভারি করতেন। দিনভর টইটই করে খেলে বেড়িয়ে অভাবের সংসারে ফিরে মায়ের গঞ্জনা শুনতেন। কারণ, দাদা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। ভাই লেখাপড়ায় লবডঙ্কা। মায়ের দোষ ছিল না। ঠিকই তো। অটো চালিয়ে যে গৃহের কর্তার সংসার গুজরান হয়, সেই পরিবারের ছেলে লেখাপড়া না-করে ক্রিকেটের মতো ভবিষ্যৎ উন্নতির নিশ্চয়তাহীন একটি বিষয়ে সময় কাটাবেই বা কেন।

সেই মামুলিস্য মামুলি পটভূমিকা থেকে সিরাজের যা উত্থান, তাতে নেটফ্লিক্সে হিট বায়োসিরিজ়ের উপযোগী সমস্ত উপাদান রয়েছে। কোনও এক আইপিএলে হায়দরাবাদে খেলতে-আসা কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ব্যাটসম্যানদের নেটে বল করতে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। ঘটনাচক্রে সেই নেটে তখন উপস্থিত প্রাক্তন বোলার এবং ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ বোলিং কোচ ভরত অরুণ। নেটে বল করার ফাঁকেই ২০ বছর বয়সি সিরাজ সটান অরুণের কাছে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘স্যর, আপনি যদি একটু উৎসাহ দেন, দেখবেন আমি কোথায় যাই। জান দিয়ে দেব স্যর!’’ ভরতের সঙ্গে রামের পাদুকার মতো লেপ্টে থাকতেন তিনি। ‘ইন্ডিয়া-এ’ খেলতে খেলতে বিদেশ সফররত ভারতীয় দলের বোলিং কোচকে ফোন করে বলতেন, ‘‘স্যর, এ বার তো ইন্ডিয়া টিমে ডাকুন! মেরা নম্বর কব আয়েগা? আর কত দিন ধরে এই ইন্ডিয়া-এ খেলব?’’

হায়দরাবাদের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে দ্বিতীয় মরসুমেই ৯ ম্যাচে ৪১ উইকেট। তার পরে অবশিষ্ট ভারত দলে। অতঃপর ভারত ‘এ’ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। ২০১৭ সালে আইপিএলে আড়াই কোটিরও বেশি টাকায় চুক্তিবদ্ধ হওয়া (নিলামে তাঁর নাম শুনে কেউ একটা হাত তুলেছেন দেখেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন। কত টাকা তাঁর দর উঠল, সেটাও জানার ইচ্ছা হয়নি। আইপিএল খেলবেন, এটাই অনেক)। তার কয়েক মাস পরেই দেশের জার্সি পরে নিউজ়ি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অভিষেক।

ভাবতে অবাক লাগে, এখন যাঁর গ্যারাজে অডি-র মতো বিলাসবহুল ‘সেডান’ রয়েছে, হায়দরাবাদের হয়ে রঞ্জি খেলার সময়েও তাঁর বাহন ছিল একটা মোটরবাইক। তা-ও সেটা সেল্‌ফ স্টার্ট নেয় না। ‘ধাক্কা স্টার্ট’ সম্বল। বছরদুয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে শিশুর মতো নির্মল হাসতে হাসতে তিনি বলেছিলেন, ‘‘টিমমেটদের মধ্যে অনেকে মার্সেডিজ় চড়ে রঞ্জি ম্যাচ খেলতে আসত। অত দামি না হলেও প্রত্যেকেরই নিজের গাড়ি ছিল। আমি দিনের খেলা শেষ হওয়ার পরেও মাঠ ছেড়ে বেরোতে পারতাম না। সকলের সামনে ধাক্কা মেরে বাইক স্টার্ট করতে খুব লজ্জা লাগত।’’

আসলে ভাবতে খুব একটা অবাক লাগেও না। কারণ, সফল হয়েও তিনি হলেন সেই মাটির মানুষ, যিনি নিজের শিকড় ভোলেননি। আরামদায়ক গাড়ির মালিক হয়েও সেই ধাক্কা স্টার্টের মোটরবাইকটি এখনও গ্যারাজে রেখে দিয়েছেন। অতীতের অভিজ্ঞান হিসাবে। যাতে মাথা-টাথা ঘোরার উপক্রম হলে ঝট করে একবার দেখে নিতে পারেন যে, ওই হল আমার শুরু। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, প্রতিটি মানুষের জীবনে মাথা নিচু করে হামাগুড়ি দেওয়ার কাহিনি এবং হামাগুড়ি দিতে দিতে হাঁটু ছড়ে যাওয়ার কাহিনি থাকে। কিন্তু প্রত্যেকে সেই জীবনের কথা সকলের সামনে মাথা উঁচু করে বলতে পারেন না। সিরাজ পারেন।

ইংরেজি বলতে পারেন না। ম্যাচের পরে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ইংরেজি শব্দ হাতড়াতে থাকেন। তার পরে সটান হিন্দিতে চলে যান। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দিব্যি চলে আসেন প্রাক্তন সহ-ক্রিকেটার এবং অধুনা ধারাভাষ্যকার দীনেশ কার্তিককে দোভাষী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে। ঝুড়ি ঝুড়ি এনডোর্সমেন্ট নেই। আত্মভোলা তাঁকে মাঠেই ‘রিল’ বানাতে শেখান অর্শদীপ। নিজের সাফল্যের সেই সদ্য-শেখা ‘রিল’ মোবাইলে দেখতে দেখতে খিলখিল করে হাসতে থাকেন তিনি। তারকা ক্রিকেটারদের মতো আম্বা নেই তাঁর। কিন্তু সিংহের মতো হৃদয় আছে। প্যাশন, শৃঙ্খলা, হৃদয়, সাহস, পরিশ্রম, আবেগ যোগ করুন। সেই পুঁটুলিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলুন প্রগাঢ় বিশ্বাস দিয়ে। মহম্মদ সিরাজকে পেয়ে যাবেন।

এই ক্লিন্ন উপভোক্তা-নির্ভর জগতে, এই গিজগিজে স্বার্থলোলুপ দুনিয়ায়, যেখানে যাপনের সঙ্গে দেখনদারি নিয়ত হাত ধরাধরি করে চলে, সেখানে সিরাজকে দেখে আশ্চর্যই লাগে। মনে হয়, এই লোকটা সৎ। সৎ লোকই এমন জলের মতো হয়। তাকে যেখানেই রাখো, সে জলই থাকে। গ্লাসে রাখলেও। ট্রে-তে রাখলেও। সে কখনও বলবে না, আমাকে অমুক জায়গায় রাখা যাবে না বা আমি তমুক জায়গায় থাকব না। সৎ লোক জলের মতো স্বচ্ছ হবে। তাকে স্পষ্ট দেখা যাবে। সহজ, হালকা, ফুরফুরে থাকবে। কিছু দেখাবেও না। লুকোবেও না। সিরাজের মতো।

ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের সিরিজ়ে সব মিলিয়ে ১৮৫ ওভারের উপর বল করেছেন। বুমরাহ, আকাশদীপ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, অর্শদীপ— কেউ টানা পাঁচ টেস্টে খেলেননি। সিরাজ খেলেছেন। কিন্তু কখনও ক্লান্তি দেখাননি। সবচেয়ে বেশি ওভার বল করেছেন। সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল ওভাল টেস্টের আগে জিজ্ঞাসা করেছেন, পঞ্চম টেস্ট খেলার শারীরিক আর মানসিক ধকল নিতে পারবে তো? সিরাজ বলেছেন, ‘‘দেশের জন্য সব সময় আছি।’’ ওভাল টেস্টের সেরা হয়েও সেই একই কথা— ‘‘দেশের হয়ে খেলতে নামলে অত ক্লান্তি-টান্তির কথা মনে থাকে না।’’

যখন তিনি অনায়াসে কথাগুলো বলেন, মনে হয়, এই লোক চিড়িয়াখানায় নিশ্চিন্ত জীবন কাটাতে চায় না। বরং জঙ্গলে লড়ে বাঁচতে চায়। এই লোকেরই বলা সাজে, ‘‘আমার বিশ্বাস ছিল আমি পারব। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে বলেছিলাম, আমি পারব!’’ শুধু নিজেকে বলে না, মোবাইলের ওয়ালপেপারে নিজের আরাধ্য ফুটবলারের ছবি ডাউনলোড করে রাখে। যাতে মাঠে যেতে যেতে টিমবাসে দেখতে দেখতে মগজে ছাপা হয়ে যায় সে ছবি। যে ছবিতে চল্লিশ বছরের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আকাশের দিকে হাত উঁচু করে রেখেছেন। যে ছবিতে আড়াআড়ি লেখা— ‘বিলিভ’। বিশ্বাস।

এই লোকই বাবার মৃত্যুর পর অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথ থেকে দেশে ফিরে না-আসতে পারে। দেশের হয়ে খেলবে বলে। যে মা তরুণ পুত্রকে একদা ক্রিকেট খেলার জন্য গঞ্জনা দিতেন, তিনিই বলেছিলেন, ফিরতে হবে না। দেশের হয়ে পারফর্ম করো। ছেলে বলেছিল, ‘‘আব্বা ছিলেন আমার সবচেয়ে বড় সহায়। তাঁর চলে যাওয়াটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি। বাবা বরাবর চাইতেন, আমি যেন দেশের হয়ে খেলি। যেন ক্রিকেটমাঠে দেশকে জেতাই। এখন থেকে যত বার দেশের হয়ে খেলব, বাবার সেই ইচ্ছেটা পূরণ করার জন্যই খেলব।’’

কে একটা যেন ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে বলছিলেন, ভারত-ইংল্যান্ডের সিরিজ়ে প্রতিটি ডেলিভারি এক একটা ‘ইভেন্ট’ হয়ে থেকেছে। ঠিকই। কিন্তু তার চেয়েও ঠিক যেটা, সেই সব ইভেন্টের প্রায় প্রতিটির মধ্যে কোনও না কোনও ভাবে থেকে গিয়েছেন সিরাজ। কখনও গ্রাহাম থর্পকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মাথায় সাদা হেডব্যান্ড পরে ফেলছেন, কখনও বেন ডাকেটের দিকে তেড়ে গিয়ে তাঁর কাঁধে নিজের কাঁধ দিয়ে ঠোক্কর দিচ্ছেন, কখনও ডান দিকে ঝাঁপিয়ে আপাত-অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরে নিচ্ছেন। কখনও শুভমন গিল বলছেন, ‘‘সিরাজ যে কোনও অধিনায়কের কাছে স্বপ্ন।’’ কখনও জো রুট বলছেন, ‘‘মহম্মদ সিরাজ একজন সত্যিকারের যোদ্ধা। এমন এক যোদ্ধা, যাকে আমি সব সময় আমার দলে চাইব। যে দেশের জন্য সর্বস্ব দিয়ে দিতে পারে।’’

লর্ডসের শেষবেলায় তাঁকে দেখে মনে হয়েছে, ক্রিকেট কখনও কখনও মহাকাব্যের মতো নিষ্ঠুর। যেখানে মহারথী কর্ণের রথচক্র গ্রাস করে মেদিনী। ওভালে ক্যাচ ধরে আলটপকা বাউন্ডারির দড়ির বাইরে চলে যাওয়ার পরে নতমুখ তাঁকে দেখে মনে হয়েছে লজ্জা, নিন্দা, অনুশোচনার চক্রব্যূহে বন্দি অভিমন্যু। আবার সেই ওভালেই শেষ প্রহরে তাঁকে দেখে মনে হয়েছে, তিনি একাগ্র ধনুর্ধর অর্জুন। গাণ্ডিব তুলে শুধু মাছের চোখ দেখছেন। পকেটে মাত্র ৩৫ রানের পুঁজি। তুলতে হবে চারটে উইকেট। কিন্তু সারা শরীর থেকে ঠিকরে বেরোচ্ছে বিশ্বাস। যে আমি পারব। আমিই পারব। তখন তাঁকে লাগছে সেই বক্সারের মতো, যিনি বলেছিলেন, ‘‘এরিনায় ঢোকার আগে নিজের ভিতরে পটাপট কয়েকটা সুইচ অন্ করে দিতাম। আমার প্রতিদ্বন্দ্বীরা পরে বলত, রিংয়ের মধ্যে আমাকে দেখে ওদের মনে হত, ওটা শুধু আমার এলাকা। অন্য কারও ওখানে থাকার অধিকারই নেই!’’ সাধে কি আর ভাঙা কাঁধ নিয়ে ব্যাট করতে নামা ক্রিস ওক্‌স বলেছেন, ‘‘ভাগ্য ভাল যে, ওই অবস্থায় আমায় সিরাজের মুখে পড়তে হয়নি!’’

জীবন গিয়াছে চলে কুড়ি-কুড়ি বছরের পার। বডোদরার মসজিদের ইমামের ক্রিকেটশ্রমিক পুত্রের সঙ্গে এক সুতোয় বাঁধা পড়লেন হায়দরাবাদের অটোচালকের ক্রিকেটশ্রমিক সন্তান। সুতোর নাম— বিশ্বাস!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement