Coronavirus in India

সম্পাদক সমীপেষু: ফেলুদা-র যোগ নেই

এই পরীক্ষাটির সম্পূর্ণ নাম, ‘এফএনসিএএস ৯ এডিটর লিমিটেড ইউনিফর্ম ডিটেকশন অ্যাসে।’ ইংরেজি শব্দগুলির প্রথম বর্ণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘ফেলুডা’ নাম।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২০ ০০:৪৪
Share:

‘কলকাতার কড়চা’ বিভাগে ‘অধিকন্তু’ (১২-১০) শিরোনামে সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে কয়েকটি অনুষ্ঠান ও প্রকাশিত পত্রিকা নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। লেখার শুরুতেই জানানো হয়েছে— দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর তৈরি কোভিড টেস্ট কিট বাণিজ্যিক ব্যবহারের ছাড়পত্র পেল, তার নামও তো ‘ফেলুদা’।

Advertisement

সুলভে পরীক্ষা করার ‘ফেলুদা কোভিড-১’ কিট আর সত্যজিৎ রায়-সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার মধ্যে কোনও সম্পর্কই নেই। আসলে নয়াদিল্লির ‘কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’-এর ‘ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি’ (আইজিআইবি) আবিষ্কৃত এই পরীক্ষাটির সম্পূর্ণ নাম, ‘এফএনসিএএস ৯ এডিটর লিমিটেড ইউনিফর্ম ডিটেকশন অ্যাসে।’ ইংরেজি শব্দগুলির প্রথম বর্ণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘ফেলুডা’ নাম।

আইজিআইবি-র ডিরেক্টর ডক্টর অনুরাগ আগরওয়াল সংবাদটি যখন সাংবাদিকদের জানান, তখন তিনি ‘ফেলুডা’ নামটির সঙ্গে সত্যজিৎ রায় বা গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার কোনও উল্লেখই করেননি। কিন্তু পরের দিন প্রকাশিত (২১-৯) একটি ইংরেজি সংবাদপত্রের বাঙালি সাংবাদিক এর সঙ্গে সত্যজিতের ফেলুদার নামটি যোগ করে দেন। সে দিনের অন্য কোনও সংবাদপত্রে এই যোগাযোগের ব্যাপারটি ছিল না।

Advertisement

সত্যজিৎ রায় বা ফেলুদা আমাদের গর্বের বিষয় ঠিকই। কিন্তু তার জন্যে এমন একটি ভ্রান্ত উল্লেখ না করাই উচিত বলে মনে হয়।

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

চন্দননগর, হুগলি

টিকার লড়াই

‘টিকা তৈরি হলেই গেম শুরু’ (১৬-১০) শীর্ষক ইন্দ্রজিৎ রায়ের নিবন্ধ এক কথায় অপূর্ব। সারা বিশ্বে ১৫০টি দেশ টিকা তৈরিতে ব্যস্ত। কবে এই টিকা প্রয়োগ হবে, তার জন্য মানুষ মুখিয়ে আছেন। বিশ্বের মানুষ করোনার ভয় নিয়ে দিনাতিপাত করছেন বড্ড কায়ক্লেশে। এ ভাবে তো চলতে পারে না। এর প্রতিকার করতেই হবে। এর জন্যই তীব্র প্রতিযোগিতা। যখন ১৫০টি দেশ এগিয়ে আসবে, তখন জোর যার সে-ই টিকাদার।

ভারতের মতো গরিব দেশ যদি মনে করে ধনী-গরিব সবাইকে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দেবে, তা হলে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে। তাই আমার প্রস্তাব, ভারতে যে ভ্যাকসিন তৈরি হবে, সেই ভ্যাকসিন ভারতের মানুষের জন্যই ব্যবহৃত হোক। যাঁরা গরিব মানুষ, একেবারেই দিন-আনি-দিন-খাই, তাঁদের জন্যই শুধু বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে। বাকি প্রত্যেক নাগরিককে ভ্যাকসিন কিনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে, এবং অবশ্যই নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে। যে যতই প্রতিযোগিতায় মাতুক না কেন, ভারতের উদ্দেশ্য একটাই হওয়া উচিত— গরিবের কল্যাণের জন্য বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেওয়া।

বিবেকানন্দ চৌধুরী

কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান

মাস্ক কই

করোনার এই ভয়ানক দুর্যোগকালেও প্রায় সময়ই বাসে কন্ডাকটরদের মাস্ক না-পরার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। নয়তো মাস্কটি তাঁরা শুধুমাত্র থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখছেন। মাস্ক পরার অনুরোধ জানালে তাঁরা না-শোনার ভাব করছেন, নয়তো উদ্ধত ব্যবহার করছেন। বাসে সকল যাত্রীদের পাশাপাশি কন্ডাকটরদেরও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হোক। নয়তো ৫০০ টাকা স্পট ফাইনের ব্যবস্থা করা হোক।

শান্তনু রায়

হাওড়া

জলকষ্ট

প্রায় দেড় মাস হতে চলল আমরা ভীষণ জলকষ্টে আছি। আমাদের ঘরে ঘরে জল সরবরাহ করে খড়্গপুর পুরসভা। পাইপ লাইনে জলের জোগান ভালই ছিল, আমরাও ভাল ছিলাম। গত সেপ্টেম্বর মাসে দশটি পাম্পের মধ্যে ন’টি পাম্পই নদীর বাড়তি জলে ডুবে যায়। পাম্পগুলি ছিল কেশপাল গ্রামে। এই গ্রাম থেকেই খড়্গপুর শহরে জল সরবরাহ করা হয়। আগে কাঁসাই নদীর উপরে অ্যানিকাটের উচ্চতা কম ছিল। নদীবক্ষে কম জল জমা হত। নতুন অ্যানিকাটের উচ্চতা অনেক বেশি। নদীবক্ষে প্রচুর পরিমাণে জল জমা হয়। জমা জলের উচ্চতা বাড়াত ন’টি পাম্প। নদীর জলে সেগুলি ডুবে যাওয়ার ফলে জলের সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ। এখানে পুরসভার জলের পাইপে মাঝে মাঝে সাব-মার্সিবল পাম্প লাগানো আছে। এতে স্থানীয় ভাবে কোনও কোনও অঞ্চলে জল সরবরাহ হয়। কিন্তু বেশির ভাগ জায়গাই মরুভূমি। কবে পাম্প সারাই হবে, তার দিকে তাকিয়ে আছি।

সঞ্জয় চৌধুরী

ইন্দা, খড়্গপুর

আর যাঁদের নেই

গণেশ দে ‘অনলাইন কেন’ (সম্পাদক সমীপেষু, ১২-১০) চিঠিতে এখন কাগজপত্রের বদলে সব কাজ অনলাইনে হওয়ার বিপক্ষে যথার্থ বলেছেন। এ প্রসঙ্গে বলতে চাই, নতুন নিয়মে মেট্রোরেলের টিকিট অনলাইন ছাড়া সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। দেশের কত শতাংশ সাধারণ মানুষের কাছে ইন্টারনেট পরিষেবা কিংবা স্মার্টফোন রয়েছে, সেটা আর কত দিনে সরকারের বোধগম্য হবে বোঝা দায়। যেখানে লোকাল ট্রেন বন্ধ, সেখানে গরিষ্ঠ সংখ্যক স্মার্টফোনহীন মানুষের মেট্রোয় ওঠার কি অধিকার নেই?

জয়ী চৌধুরী

সোদপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

বাঙালি বিজ্ঞানী

এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত রজার পেনরোজ়ের গবেষণায় বাঙালি বিজ্ঞানী অমল রায়চৌধুরীর ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে “কম্পিউটার ব্যবহার করতেন না ছোটোদাদু” (রবিবাসরীয়, ১১-১০) প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ।

বাঙালি বিজ্ঞানী অমল রায়চৌধুরীর কাজের গুরুত্ব সেই সময় মেঘনাদ সাহা ও সত্যেন্দ্রনাথ বসু উপেক্ষা করেন এবং তাঁকে স্বাধীন গবেষণা থেকে দূরে থাকতে বলেন। কিন্তু তাঁর সেই বিখ্যাত ‘রায়চৌধুরী ইকোয়েশন’ তাঁর প্রকৃত বিজ্ঞানচর্চাকে প্রমাণ করল রজার পেনরোজ়-এর হাত ধরে।

আমাদের ভারতের জাতীয় শিক্ষানীতি কি সত্যি এ রকম, যেখানে স্বাধীন গবেষণার কোনও মূল্য থাকে না? অথচ তাঁর সমাদর করতেন বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ পল ডিরাক, অধ্যাপক কলসনরা। এই কারণেই হয়তো ভারতের বিখ্যাত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশ্বের নিরিখে আজও পিছিয়েই আছে। তিনি যদি সত্যিই সমাদর পেতেন, তা হলে পদার্থবিজ্ঞান চর্চায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত হতেন। তিনি বলতেন, বিদেশ থেকে ডিগ্রি আনা সহজ। কিন্তু এ দেশে বসে স্বাধীন ভাবনাচিন্তা করে স্বীকৃতি পাওয়া একটু বেশি আশা করা। এই কারণেই হয়তো স্বাধীন চিন্তাধারার গবেষকরা পশ্চিমি দুনিয়ায় পাড়ি দেন।

শান্তনু সিংহ

কোলাঘাট, পূর্ব মেদিনীপুর

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন