তিনটি রং একসঙ্গে
কয়েক দিন আগে বিকেলবেলা কলেজ স্ট্রিট থেকে ফিরছিলাম ঢাকুরিয়ায়। ২৪০ নং রুটের বাসে চেপেছি। দুপুরের দিকে ভারী বৃষ্টির ফলে রাস্তাঘাট, ফুটপাথ কিছু কিছু জায়গায় ডুবেছে। আমার বাসটি যখন পার্কসার্কাস ময়দানের পাশ দিয়ে সাতমাথা ওরফে সেভেন পয়েন্টের দিকে এগোচ্ছে, সিগন্যালে দাঁড়াল। ৫ মিনিট গেল, ১০ মিনিট গেল, ৩০ মিনিট পর আস্তে আস্তে চলতে শুরু করল বাসটি। এ দিকে আমরা জানলা দিয়ে দেখতে পাচ্ছি, অন্যান্য দিকের গাড়ি সিগনাল মেনে যথাযথ ভাবে সচল। আমাদের দিকের সিগনালটাতেই একমাত্র তিনটি রং একসঙ্গে জ্বলজ্বল করছে।
কেন সিগনাল অচল? সেখানে নেই কেন ট্রাফিক পুলিশ? না কি থেকেও ব্যর্থ? মাঝে মাঝেই এই রকম ঘটনা ঘটে থাকে। ট্রাফিক পুলিশকে আরও অনেক বেশি সচেতন এবং বেশি পরিমাণে মোতায়েন করার জন্য অনুরোধ, বিশেষত শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে।
তনয় ঘোষ
ঢাকুরিয়া
নাম-সংকীর্তন
কলকাতা শহর-সহ সারা রাজ্যে বাসস্টপে যাত্রী ছাউনি তৈরি হলেই দেখছি, অত্যন্ত ব্যয়বহুল পদ্ধতিতে এলাকার জনপ্রতিনিধি মাননীয় সাংসদ বা বিধায়কের নাম সেখানে লেখা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, মাননীয় অমুক নেতার সাংসদ/ বিধায়ক তহবিল থেকে এই ছাউনি তৈরি হল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাসস্টপটার যে কী নাম, সেটা লেখা নেই। অথচ জনগণের টাকায় সাংসদ বা বিধায়ক তাঁর নিজের স্বাভাবিক কর্ম সম্পাদন করার ফাঁকে রাজনৈতিক প্রচারটুকু সেরে ফেলছেন। ভোটের সময় আইন রক্ষা করতে কাগজ দিয়ে ক’দিনের জন্য নাম বা ছবিটুকু আড়াল করে দিয়ে আবার সারা বছর নিজের মহানুভবতার (?) প্রচার চলতে থাকল। এই ব্যবস্থার অবসান চাই। নাম বা ছবির প্রচার নয়, জনগণের প্রতি কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই বরং জন প্রতিনিধিগণ নিজের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে নিন।
আনন্দ বক্সী
কলকাতা-৮৪
পাটুলির ঝিল
আমি পাটুলি এলাকার বাসিন্দা। পাটুলি থানা, মাছরাঙা রেস্তোরাঁর পিছনে বড় একটি ঝিল রয়েছে। শীতকালে সেখানে পরিযায়ী পাখিরা আসে। ঝিল বরাবর বিভিন্ন রকম গাছ। নানা রকমের পাখি সেখানে। আজকের ঝিল দেখলে দুঃখ হয়। ঝিল-ভর্তি কচুরিপানা। পুরকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঝিলে বাজার করবেন। এইটুকু ফুসফুসকেও তাঁরা ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। বাইপাসের বাজার সরিয়ে ঝিলে স্থানান্তরিত করার প্রাণঘাতী সিদ্ধান্ত কি এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হয়েছে? ঝিল-ভর্তি বড় বড় কাঠের পাটাতন, শালবল্লা। বাইপাসের বাজারের জন্য পরিবেশ দূষণ মেনে নিতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। কে প্রতিবাদ করবে?
যেখানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বাইপাসের আশেপাশের জলাভূমি সংরক্ষণ নিয়ে মতামত প্রকাশ করেছেন, সেখানে উন্নয়নের নামে জলাভূমি কী করে নষ্ট করতে হয়, পাটুলি তার সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ।
যুগান্ত রায়
কলকাতা-৯৪
বারাসতে শেড
উত্তর ২৪ পরগনার সদর তথা বনগাঁ ও বসিরহাট রেল যোগাযোগের প্রধান স্টেশন বারাসত। এখানে প্ল্যাটফর্ম পাঁচটি। একটি পৃথক ও দুটি কমন— ২/৩ এবং ৪/৫। কিন্তু শেড মোট তিনটি, যেটা বহু আগের এবং বর্তমানের তুলনায় অনেক কম। যাত্রীদের খুবই অসুবিধা হয়।
সুনেত্রা মণ্ডল
বারাসত
পাঁচেই ফাটল!
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে-তে দুটো ফ্লাইওভার আছে। একটি এয়ারপোর্ট আড়াই নম্বর গেটে মিশেছে। আর একটি বিরাটির কাছে শরৎ কলোনি থেকে উঠে খলিশাকোটার কাছে মিশেছে। যেটি খলিশাকোটার কাছে মিশেছে, চার বছর আগে একটা ফাটল দেখা দেওয়ায় সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিছু দিন আগে এই ফ্লাইওভারটি শুধুমাত্র ছোট গাড়ির জন্য খুলে দেওয়া হয়, বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে। কিন্তু, যেটা সবচেয়ে দরকার, বড় গাড়ি, বিশেষত ট্রাক চলাচল বন্ধ করা। যে ট্রাকগুলো বারাসতের দিক থেকে এসে দক্ষিণেশ্বরের দিকে যাওয়ার কথা, সেগুলো যশোর রোড ধরে এয়ারপোর্ট ৩ নম্বর গেটের কাছে এসে ডান দিকে টার্ন করে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যায়। আর এর ফলে তিন নম্বর গেটের কাছ থেকে আড়াই নম্বর গেট পর্যন্ত প্রচণ্ড জ্যাম হয়। কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে ফ্লাইওভার বানানো, সেটা যদি কাজেই না আসে, তবে ফ্লাইওভার বানিয়ে কী লাভ? যাঁরা এই ফ্লাইওভার বানানোর দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত হবে না? এই ফ্লাইওভারের বয়স দশ বছরও হয়নি। যখন এতে ফাটল ধরা পড়ে, তখন এর বয়স ছিল মাত্র পাঁচ-ছ’বছর। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৰ্ষণ করছি|
সমীরবরণ সাহা
কলকাতা-৮১
মেট্রোর সিঁড়ি
গিরীশ পার্ক মেট্রোর টিকিট কাউন্টার থেকে ১ নম্বর গেটে উঠতে গেলে অনেকগুলো সিঁড়ি চড়তে হয়, যা বয়স্ক যাত্রীদের কাছে ভীষণ কষ্টদায়ক। এখানে চলমান সিঁড়ির ব্যবস্থা করলে সকলেই উপকৃত হবেন, বিশেষ করে যাঁদের হাঁটুর সমস্যা আছে। এ বিষয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
রাধিকানাথ মল্লিক
কলকাতা-৭
শৌচাগার নেই
সঞ্জীব রাহার ‘আড়ালের বড় অভাব’ (১৯-৭) শীর্ষক চিঠিতে শুধু নদিয়া জেলার গঙ্গার তীরের পুণ্যার্থীদের কথা বলা হয়েছে। অন্যত্রও একই হাল। কলকাতা মহানগরীর গঙ্গার ঘাটে ঘাটে মকর সংক্রান্তি, মহালয়া, সূর্যগ্রহণ ইত্যাদি নানা যোগে লক্ষ লক্ষ মানুষ স্নান করতে বহু দূরদূরান্তর থেকে আসেন। অবশ্যই মহিলারা থাকেন একটি বড় অংশে। দু’একটি ঘাট বাদে স্নানের পর মহিলাদের কাপড় বদলের জন্য কোনও আড়ালের ব্যবস্থা নেই। কোনও সুলভ শৌচাগার নেই। স্বচ্ছ ভারত বা দূষণমুক্ত গঙ্গা কীভাবে হবে এই দিকটায় নজর না দিলে? গঙ্গার ঘাটে অনেক পুলিশের ব্যবস্থা থাকে ভিড় সামলাতে। কিন্তু গঙ্গা স্বচ্ছ রাখতে সুবন্দোবস্ত সব স্নানের ঘাটে একান্ত প্রয়োজন।
আনন্দময়ী মুখোপাধ্যায়
কলকাতা-৭৪
রাস্তা নষ্ট হচ্ছে
অতি সম্প্রতি বনগাঁ মিলিটারি রোড খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। তার ফলে এরই মধ্যে অনেক সুফলও পাওয়া গেছে। যান চলাচল অনেক নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রাস্তাটি আবার নষ্ট হতে বসেছে। নতুন অবস্থায় যত ফাইবারের ডিভাইডার বসানো হয়েছিল, তার অর্ধেকের বেশি ভেঙে পড়ে আছে।
শুভজিৎ সাহা
বনগাঁ
সিলিচ না চিলিচ
খেলার পাতায় (হাওড়া ও হুগলি সংস্করণ, ১৭-৭) সুন্দর চার কলাম ছবিটির ক্যাপশন কার্যত ভুল! ছবিতে মহাতারকার হাতে ট্রফি নেই, যেমনটি আছে প্রথম পৃষ্ঠার শেষ কলামের ছবিতে। ওই ছবিটি পনেরো পৃষ্ঠাতে গেলে মানানসই হত। এ ছাড়া, পরাজিত চিলিচকে প্রথম পৃষ্ঠায় ‘সিলিচ’ লেখা হয়েছে। ধারাভাষ্যকাররা ‘চিলিচ’ই উচ্চারণ করছিলেন।
রঞ্জিতকুমার ঘোষ
হুগলি
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ই-মেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়