সম্পাদক সমীপেষু

ইকো পার্কের এক নম্বর গেটে ঢোকার পরেই দেখা গেল, রাস্তার দু’ধারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ছোট-বড় কারিগরেরা এসে কাঠ, মাটি, বেতের নানা রং-বেরঙের জিনিস নিয়ে বসেছেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০০:০০
Share:

মেলা আছে লোক নেই

Advertisement

শীতকালের রবিবাসরীয় পড়ন্ত দুপুর। দূর থেকে ভেসে আসা মাইকে কিছুটা বকুনির সুরে একটা আবেদন, ‘মেলা শুরু হয়ে যাওয়ার পরও এখনও মেলা প্রাঙ্গণে যাঁরা দোকান খোলেননি, তাঁদের অবিলম্বে দোকান খোলবার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে, আমাদের ইনস্পেকশন টিম যদি এর পরও কোনও দোকান বন্ধ দেখেন, তবে সেই দোকান আর খুলতে দেওয়া হবে না, অন্যকে সুযোগ দেওয়া হবে।

ইকো পার্কের এক নম্বর গেটে ঢোকার পরেই দেখা গেল, রাস্তার দুধারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ছোট-বড় কারিগরেরা এসে কাঠ, মাটি, বেতের নানা রং-বেরঙের জিনিস নিয়ে বসেছেন। অনেকে এখানে বসেই তৈরি করছেন শিল্পসামগ্ৰীগুলি। মেলায় আছে জল, বিদ্যুৎ, পরিবহণ, খাবারের স্টল, বাথরুম, এমনকী একটি অনুষ্ঠান করার মঞ্চও। মেলায় নিখরচায় অংশ নেওয়া এই সমস্ত শিল্পীর সামগ্রী ক্রেতারা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডেও কিনতে পারছেন।

Advertisement

একটু পরে দেখি, মেলা-লাগোয়া ইকো পার্কের ভাড়া-দেওয়া অনুষ্ঠান-বাড়িটির জন্য একটি বিশাল আকারের হাতির মডেল ম্যাটাডরে করে আনা হচ্ছে। সে যেন বাঁকুড়া বা নবদ্বীপ থেকে আসা মাটির শিল্পীদের বানানো ছোট্ট হাতিগুলির দিকে তাকিয়ে বলছে, ‘তোমরা কি পারবে আমার সঙ্গে?’

সত্যিই বোধহয় পারবে না। দিনাজপুরের কাঠশিল্পী বা দিঘার বেতশিল্পী সে কথাই জানালেন। মেলার শেষ সপ্তাহেও বিক্রি প্রায় কিছুই হয়নি। সেলফি আর শখের ফটোগ্রাফারের বিষয় হতেই কি বাড়ি থেকে এত দূরে আসা? বছরে এক বার অন্তত অ্যাপ বন্ধ রেখে ওঁদের কাছে কিছু কিনলে কেমন হয়?

অর্ক মুখোপাধ্যায় কলকাতা–১৩৬

বাচ্চাদের খেলা

তিন বছরের বেশি সময় হয়ে গেল, জল প্রকল্পের জন্য শকুন্তলা পার্ক লাগোয়া বাচ্চাদের বিনোদনের জায়গাটি বন্ধ আছে। দেখা যায়, জল প্রকল্পের কাজটি হচ্ছে পার্ক সংলগ্ন একটি জায়গায়। কিছু সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করে পার্কটি শুধু বিকেলটুকুর জন্য খুলে রাখলে কচিকাঁচাদের মুখে একটু হাসি ফুটবে।

অরুণাভ বাগ কলকাতা-৬১

বাঁকুড়ার ফুটপাত

বাঁকুড়া শহর, বাঁকুড়া জেলার সদর তথা প্রাণকেন্দ্র। সমগ্র জেলা থেকেই প্রতি দিন কয়েক হাজার মানুষ এখানে যাতায়াত করেন। তবু বাঁকুড়ার বাজার এলাকা, প্রশাসনিক দফতরসমূহ এবং আদালত চত্বরের পাশের রাস্তায় বাঁধানো ফুটপাতের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। আশার কথা, মাচানতলা থেকে লালবাজার মোড় অবধি ফুটপাত তৈরির কাজ শিগগিরি শুরু হতে চলেছে। তবে প্রশাসনকে দেখতে হবে, যাতে ফুটপাতটি হকারদের দখলে না চলে যায়। তা হলে কয়েক কোটি টাকার এই প্রকল্প প্রহসনে পরিণত হবে।

বাঁকুড়ার অন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ফুটপাত তৈরির প্রয়োজন আছে, তা কর্তৃপক্ষকে বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। যেমন মাচানতলা থেকে কলেজ মোড় অবধি রাস্তা, লালবাজার থেকে কেরানিবাঁধ অবধি রাস্তা, তামলিবাঁধ এলাকার প্রশাসনিক দফতর সংলগ্ন রাস্তা এবং বাঁকুড়া স্টেশন রোড। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ আমাদের রাজ্যের অন্যতম বড় মেডিক্যাল কলেজ, বাইরের জেলা থেকেও মানুষ এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। কিন্তু কলেজের পার্শ্ববর্তী রাস্তায় এত ঘন ঘন বাস যায়, হাঁটাচলা করা অত্যন্ত দুঃসহ এবং বিপজ্জনক। রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের সুবিধার্থে এখানেও ফুটপাত তৈরি হোক।

সৈকত রায় বাঁকুড়া শহর

বিশ্ববিদ্যালয়

মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়হীন জেলাতে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়হীন মুর্শিদাবাদ জেলায় বহু পূর্বে প্রস্তাবিত, ঐতিহ্যমণ্ডিত প্রায় দু’শতক প্রাচীন কৃষ্ণনাথ কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়করণ আজও হল না। অথচ পাশের জেলা বীরভূমে বিশ্বভারতীর মতো বিশ্ববিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও, মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং উদ্যোগ নিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছেন। সমপরিমাণ টাকা খরচ করে কৃষ্ণনাথ কলেজের পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটিয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করে, পিছিয়ে পড়া জেলা মুর্শিদাবাদের উন্নয়নে গতি আনা যেত না?

শুভম রায়চৌধুরী ই-মেল মারফত

ভ্যানোর নম্বর

রোজ সিঁথি মোড় থেকে সোদপুর যেতে হয় আমাকে। প্রায় সাড়ে ন’কিলোমিটার দীর্ঘ এই যাত্রাপথে বহু ভ্যানোর দেখা মেলে, যাদের গায়ে কোনও নম্বর প্লেট লাগানো থাকে না। এদের প্রতিটি অত্যন্ত বিপজ্জনক গতিতে যাতায়াত করে। দুর্ঘটনা ঘটলে এদের চালকদের চিহ্নিত করা কার্যত অসম্ভব। এ ভাবে দুর্ঘটনা ঘটিয়েও এরা আইনের তোয়াক্কা না করে নতুন কোনও বিপর্যয়ের সূচনা করবে।

অরূপ দে বরানগর

ফোনের ঝক্কি

আজকাল সহজে ফোন করাই দায়! ফোন করলেই কেন্দ্রীয় সরকারের জোর করে চাপিয়ে দেওয়া নানা নির্দেশ ১০ সেকেন্ড কিংবা আরও বেশি ১৫ সেকেন্ড শোনার পর রিং শোনা যাবে। তখন আর ফোন করার ধৈর্য থাকে?

স্বপনকুমার দে কল্যাণী, নদিয়া

মাথায় কে রে

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কর্তৃক একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্যে নির্বাচিত উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য সংকলন ‘সাহিত্যচর্চা’ বাংলা-ক পাঠ্যবই দুটির বর্তমান সংস্করণে নানান ভুল চোখে পড়ার মতো। কয়েকটি উল্লেখ করছি। একাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইটিতে প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ ছোটগল্পে একাধিক জায়গায় ভুল রয়েছে। ৭ পাতায় আছে ‘...আজ্ঞে, ওই শালার বাঘ খেদাতে’। হবে ‘আজ্ঞে’র স্থানে ‘এজ্ঞে’। ওই গল্পে ৮ পাতায় আছে ‘...ছাদে গিয়ে দেখবেন, অধিকাংশ জায়গাতে অলিসা ভেঙে ধুলিসাৎ হয়েছে’। ‘অলিসা’ নয়, হবে ‘আলিসা’। একই গল্পের ৯ পাতায় আছে ‘...বেরিয়ে ধীরে অঞ্চল গতিতে...’। ‘অঞ্চল’-এর স্থানে হবে ‘অচঞ্চল’। লালন ফকিরের পরিচয়ে, সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখা ‘ডাকাতের মা’ গল্পে ভুল আছে। রবীন্দ্রনাথের ‘গুরু’ (অচলায়তন) নাটকের একটি গানে ছাপা হয়েছে— ওরে আমার মন মেতেছে/আমারে মাথায় কে রে। ‘মাথায়’-টা ‘থামায়’ হবে।

দ্বাদশ শ্রেণির বইটিতে, জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতাটি ৩৬ পঙ্‌ক্তিতে প্রকাশিত হয়েছে। ২৬ নং লাইনটি ২৫ নং লাইনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ায় একটি লাইন কমে গিয়েছে। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি’ কবিতার ৪নং পঙ্‌ক্তিতে ‘আরোগ্যের জন্যে ওই সবুজের ভীষণ দরকার’ ছাপা হয়েছে, কবির মূল ‘অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল’ কাব্যে ‘ওই’ নয়, ‘ঐ’ রয়েছে। আবার সেখানে কবিতার চারটি স্তবক। বর্তমানে তিনটি স্তবকে কবিতাটি ছাপা হয়েছে। মূল কবিতায় শেষ লাইনটিকে একটি স্বতন্ত্র স্তবক হিসাবে ধরা হয়েছে।

ফাল্গুনীরঞ্জন রাজ খড়্গপুর

মানে আছে

শিবাশিস দত্তর ‘ভোল বদল’ (৮-১২) শীর্ষক চিঠি উত্তরে জানাই, ‘পটি’র একটা মানে অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে আছে— A bowl used by small children as toilet. সেই থেকেই ‘পটি’র উৎপত্তি।

প্রবীর ঘাঁটী লখনউ

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন