‘পার্টিগুলোতে আউট অব প্লেস লাগে’, (আনন্দপ্লাস, ২৬-৬) শীর্ষক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারে, উনি এক জায়গায় বলেছেন, ‘‘খেলা নিয়ে কমেডি আগে কখনও হয়নি। কলকাতার ময়দান নিয়ে কখনও ছবি হয়নি।’’ ১৯৭১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ধন্যি মেয়ে’ (ছবিতে একটি দৃশ্য) তো ফুটবলকে ঘিরেই সৃষ্ট দমফাটানো হাসির ছবি। এই বিশ্বকাপের মরসুমে আজও বাঙালি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ধন্যি মেয়ে’-র সঙ্গে মেসিকে জুড়ে পেনাল্টি নিয়ে মিম বা ব্যঙ্গচিত্র তৈরি করছে! আর সেই ছবির গান ‘সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল’ এখনও বাঙালির মুখে মুখে ফেরে। এ ছাড়াও হাসির ছবি ‘মোহনবাগানের মেয়ে’ বা সিরিয়াস ছবি ‘স্ট্রাইকার’, ‘সাহেব’ বা ‘ইস্টবেঙ্গলের ছেলে’— এ সবই তো খেলা সংক্রান্ত। তার মধ্যে কলকাতার ময়দানও এসেছে। আবার, ১৯১১ সালে মোহনবাগানের ঐতিহাসিক শিল্ড জয় নিয়েও সাম্প্রতিক কালে ছবি হয়েছে: ‘এগারো’। তাই কথাগুলো হয়তো খুব ভেবে বলা হয়নি।
শঙ্খশুভ্র চট্টোপাধ্যায়
ঢাকুরিয়া, কলকাতা
সাবওয়ে চাই
শিয়ালদা স্টেশনে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ৯এ, ৯বি নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার জন্য পিছনের দিকে কোনও ব্যবস্থা নেই। সাবওয়ে তৈরি হলে ভাল হয়।
নারায়ণচন্দ্র দেবনাথ
ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
ভগ্ন সেতু
পারুই থেকে ইলামবাজার রাস্তায় গোল্টে সেতু দীর্ঘ সাত বছর ভগ্ন অবস্থায় আছে। প্রত্যেক বছর বর্ষাকালে চরম দুর্গতি হয়।
মাহামাদুল হাসান
ইলামবাজার
জীর্ণ সেতু
বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার অন্তর্গত দিগপাড় গ্রামের শেষ প্রান্তে, আমোদর নদের উপর একমাত্র সংযোগকারী সেতুটি ভগ্নপ্রায়, জরাজীর্ণ। আমোদর নদের তীরে দেড়শো বছরের পুরনো কুচিয়াকোল রাধাবল্লভ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবস্থিত। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। প্রায় চোদ্দোশো ছাত্রছাত্রী স্কুলে পড়ে। অনেককেই সেতু অতিক্রম করে স্কুলে আসতে হয়। আট-দশটি গ্রামের লোক ও যানবাহন ওই ভগ্ন সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন।
দেবিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
দিগপাড়, বাঁকুড়া
কবে হবে
পশ্চিম মেদিনীপুরের শ্রীবরা গ্রামে (থানা, দাসপুর। মহকুমা, ঘাটাল) ঢোকার মুখে দুর্বাচটি নদীর ওপর যশাড় সেতুর কাজ কবে শেষ হবে? কী কারণে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ বন্ধ? বুঝতে পারি না, লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে কাজ অর্ধসমাপ্ত রেখে সরকারের কী লাভ হয়?
সুনীতকুমার রায়
খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
দমদম জংশন
পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখার সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত স্টেশন দমদম জংশন। কিন্তু হায়, সারা দিন এত লোক চলাচল করলে কী হবে? বিগত আড়াই-তিন বছর যাবৎ স্টেশনটিতে না আছে পর্যাপ্ত জল বা প্রয়োজনীয় শৌচালয়। লম্বা প্ল্যাটফর্মের দক্ষিণ ও উত্তরের শেষ প্রান্তে যদি বা তার দেখা মেলে, ও দিকে মেট্রোতে ও সবের বালাই নেই। পুরো পাতাল রেলে প্রকৃতির ডাক নাকি বড়ই বেমানান। দমদম জংশনের দুই-তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে আপ-ডাউন সব ধরনের ট্রেন থামে। এ জন্য রাস্তা থেকে দুই-তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে যেতে গেলে আন্ডারপাস থাকলেও, ব্যস্ত সময়ে প্রচুর যাত্রীকে ট্রেনের ঘোষণা শুনে ওভারব্রিজ ব্যবহার করে এক সঙ্গে ওঠা-নামা করতে হয়। কৃষ্ণনগর রানাঘাটে ঢাউস ঢাউস ওভারব্রিজ তৈরি হলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে দমদমের দক্ষিণ প্রান্তের বা শিয়ালদহের দিকের ব্রিজটি অপ্রশস্ত ও ভঙ্গুর। আবার প্ল্যাটফর্ম থেকে একদম ওপরে উঠে একটা চৌকো পাটাতন, তার পর ডান ও বাঁ দিকে অর্থাৎ এক নম্বর বা চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে যেতে গেলে সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ভাবে আবার একটা ধাপ পেরোতে হবে, যেন চিলেকোঠায় উঠছি। প্রতি দিন বহু মানুষকে এখানে হোঁচট খেতেই হয়। লোহার পাটাতন বসানো পাদানিগুলোর লোহার বিট ইদানীং প্রায় প্লেন হয়ে গিয়েছে। সিঁড়িগুলি চওড়ায় কম ও সামনের দিকে ঢাল করে হেলানো। তাই তাড়াহুড়ো করে বহু যাত্রী এক সঙ্গে ওঠানামা করার সময় যে কোনও দিন খুব বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
সঞ্জীব রাহা
পাডিয়া মার্কেট, নদিয়া
নবদ্বীপের টোটো
নবদ্বীপের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখার জন্য টোটো ভাড়া করতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হল। প্রথমে এক জন চালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে কথা বলার সময়, চার দিক থেকে একাধিক টোটো চালক আমাকে ঘিরে ধরলেন এবং যে যা খুশি ভাড়া দাবি করতে লাগলেন। এমনকি এক জন চালক কম ভাড়ায় রাজি হওয়ায়, অন্য চালকেরা তাঁর সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে দিলেন। আমিও তাঁদের অভব্য আচরণ ও দুর্ব্যবহারের শিকার হলাম। টোটোর ভাড়া বেঁধে দেওয়া হোক।
শান্তিময় কর্মকার
ঝাঁজড়া গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান
যোগাযোগ
মনে করুন আপনি সাধারণ মধ্যবিত্ত, বাড়ি বাঁকুড়া বা পুরুলিয়া জেলার কোনও গ্রামে, থাকেন কলকাতায়। আপনার পরিবারের কেউ, যিনি গ্রামের বাড়িতে থাকেন, সকাল থেকে হাসপাতালে ভর্তি। সকাল ন’টায় খবর পেয়েও আপনাকে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে বিকেল ৪:৫০-এর পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের জন্য। যদি এমন হয়, আপনার খুব দরকারে বাড়ি ফিরতেই হবে, আর আপনি সেই খবর পেয়েছেন ঠিক বিকেল ৫টায়। উপায় নেই। অপেক্ষা করতে হবে রাত্রি ১১টার ট্রেনটার জন্য। ধরুন, রাত্রে খবর পেলেন, তখন সকালের মাত্র দুটো ট্রেন ভরসা, তবে হাওড়া নয়, ট্রেন ধরতে হবে সাঁতরাগাছি গিয়ে। দূরত্বটা পাঁচ থেকে ছ’ঘণ্টার, কিন্তু অপেক্ষাটা তার দ্বিগুণ। এতটা পথ সাধারণ মানুষের পক্ষে গাড়ি বা বাসে যাতায়াত সত্যিই কষ্টের, সে ক্ষেত্রে ট্রেনই ভরসা। যেখানে বাঁকুড়া পুরুলিয়ার মানুষ ডেলি প্যাসেঞ্জারি করার সামর্থ্যও রাখেন, শুধু যোগাযোগ-ব্যবস্থার মান এত নিম্ন হওয়ার কারণে সেটা সম্ভব হয় না।
স্মিতা ভট্টাচার্য
ঘোলা, বাঁকুড়া
স্টেডিয়াম
বহু বছর পূর্বে বামফ্রন্ট শাসনকালে চন্দননগরের বিবিরহাট, চড়কতলা এলাকায় একটি ইনডোর স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণে সে কাজ অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে।
হীরালাল দে
ভদ্রেশ্বর, হুগলি
সাঁওতাল মেলা
নতুন ঝাড়গ্রাম জেলার বৃহৎ গঞ্জ শিলদা। এর দেড় কিমি উত্তরে বাঁকুড়া জেলার সীমানায় ওড়গোন্দা গ্রামে ভৈরব দেবতার মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতি বছর বিজয়া দশমীর দিন থেকে সাঁওতালদের বিশাল মেলা বসে। চলে তিন দিন। কয়েক লক্ষ সাঁওতাল মানুষ আসেন। অথচ রাত্রিযাপন বা চিকিৎসা বা যোগাযোগের ব্যবস্থা, পানীয় জল, শৌচালয়, আলো, পুলিশ— থাকে না বললেই হয়।
গোকুলানন্দ লাহা
শিলদা, ঝাড়গ্রাম
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ই-মেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ই-মেলে পাঠানো হলেও।