Botswana

সম্পাদক সমীপেষু: আফ্রিকায় হাতি নিধন

এই বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিকারিরা প্রথম দফায় গুলি করে ২৭২টি হাতিকে হত্যা করবেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২০ ০৫:৩৪
Share:

আফ্রিকার একটি দেশ বৎসোয়ানায় হাতি নিধনের পালা জোর কদমে আবার শুরু হতে চলেছে। এ ক্ষেত্রে হত্যাকারীর নাম ‘সভ্য’ মানুষ। সরকারি মতে, দেশটিতে এখন হাতির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার। অবশ্য পরিবেশবিদদের দাবি, হাতি চলাফেরার অবাধ আন্তঃরাষ্ট্রীয় যাত্রাপথ বা ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ঠিক ভাবে না থাকার দরুন দেশটিতে হাতির সংখ্যা বেড়েছে, তবে সেটা নিতান্তই সাময়িক। ‘আফ্রিকান এলিফ্যান্ট স্টেটাস রিপোর্ট’ অনুযায়ী সমগ্র আফ্রিকায় গত ৪০ বছরে হাতির সংখ্যা ক্রমশ কমছে, যেমন ১৯৭৯ সালে ১৩ লক্ষ থেকে ২০১৫ সালে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ লক্ষ ১৫ হাজারে। পরিবেশবিদদের মতে, সামগ্রিক ভাবে আফ্রিকায় হাতির সংখ্যা হ্রাসের প্রধান কারণ হাতির দাঁতের ব্যাপক চোরাকারবার, যা ওই মহাদেশ জুড়ে বিভিন্ন উগ্রপন্থী দলের প্রধান রসদ।

Advertisement

এখন ‘ইকো ওয়াচ’ সংবাদসূত্রে প্রকাশ, আফ্রিকার অন্য দেশের তুলনায় বৎসোয়ানায় হাতির সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে, নিলাম ডেকে শিকারিদের হাতি হত্যার ‘লাইসেন্স’ দেওয়ার এক ধাপ সরকারি কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকার হাতি নিধনের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছে। হাতির প্রকোপে ব্যাপক শস্যহানি ও জনবসতি জুড়ে হাতি ও মানুষের নানা সংঘাতের কারণেই নাকি সরকারের এই জরুরি সিদ্ধান্ত। এই বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিকারিরা প্রথম দফায় গুলি করে ২৭২টি হাতিকে হত্যা করবেন।

এ ভাবে মানুষ অন্য প্রাণীদের প্রতি কত দিন নিষ্ঠুরতা চালিয়ে যাবে?

Advertisement

পৃথ্বীশ মজুমদার

কোন্নগর, হুগলি

জল বন্ধ

কলকাতা পুরসভার ১০৬ নং ওয়ার্ডের পি এম সরণির বাসিন্দারা দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ পরিস্রুত পানীয় জল থেকে বঞ্চিত। পি এম সরণির লাগোয়া গরফা জলাধার কেন্দ্রটি চালু হয় ২০০৩ সালে, তখন এক বছর আমরা পরিস্রুত পানীয় জল পেয়েছি, তার পরেই কোনও অজ্ঞাত কারণে আমাদের পানীয় জল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হল! ভাগ্যে জুটল গভীর নলকূপের আয়রন এবং আর্সেনিক পূর্ণ জল, যা স্নানেরও অযোগ্য।

জীবেন্দ্রনাথ দত্ত

কলকাতা-৭৮

জল নষ্ট

আজকাল বেশির ভাগ অনুষ্ঠানবাড়িতে দেখা যায়, প্রথমে খাবার টেবিলে ২০০ মিলি মিনারেল ওয়াটারের বোতল দেওয়া হয়। অধিকাংশ লোকই তার একটুখানি খান। কিন্তু সব জলের বোতল ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। এই ভাবে পরিশুদ্ধ জলের অপচয় কি বন্ধ হওয়া উচিত নয়?

সুদীপ ধর

জয়নগর মজিলপুর, দ. ২৪ পরগনা

টিকিট কাটুন

রাজ্য সরকারি পরিবহণের পরিদর্শক হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় চেকিং করতে যেতে হয়। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি সরকারি বাসেই ‘ইলেকট্রনিক টিকেটিং মেশিন’ থাকার ফলে, সেই মুহূর্ত পর্যন্ত কতগুলি টিকিট কাটা হয়েছে তা তক্ষুনি জানা যায়। ভোর পাঁচটায় হাবড়া থেকে রওনা হওয়া একটি ৫৪ সিটের নন-এসি বাস ১১টায় আসানসোল পৌঁছনোর পর দেখা গেল, সারা রাস্তায় মাত্র ৩২টি টিকিট কাটা হয়েছে, যেখানে হাবড়া থেকে বারাসত এলেই অন্তত ৩০টি টিকিট কাটার মতো যাত্রী প্রায়ই গাড়িতে থাকেন। সবচেয়ে ব্যস্ত সময়ে, মূলত বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে, ধর্মতলা থেকে আমতা পৌঁছনোর পর মেশিন চেক করে দেখা গেল, মোট টিকিটের সংখ্যা ৪২টি। অথচ ওই সময়ের প্রতিটি গাড়িতে কম করে ৯০ জনের মতো যাত্রী ওঠানামা করেন। একই চিত্র ফুটে ওঠে কলকাতা থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রায় প্রতিটি রুটের শেষ প্রান্তে— সেটা আমতা থেকে আমতলা, উদয়নারায়ণপুর থেকে করিমপুর, রানাঘাট থেকে চৈতলঘাট, যা-ই হোক না কেন। দিনের পর দিন সরকারি পরিবহণে এই রক্তক্ষরণ চলছে। এই টিকিট না নেওয়া যাত্রীদের অধিকাংশই নিত্যযাত্রী। প্রতি দিন একই সময়ে প্রায় একই কন্ডাক্টর থাকার জন্য, তাঁদের মধ্যে চোখে চোখেই কথা হয় এবং টাকার লেনদেনও হয়ে যায়। চেকিং-এর সময় তাঁরাই কন্ডাক্টরের কাছে থাকা অতিরিক্ত টাকার দায়িত্ব নিয়ে নেন, টাকা চেঞ্জ করানোর নাম করে।

চেকিং-এর মূল উদ্দেশ্য সরকারি পরিবহণের আয় বাড়ানো। একমাত্র যাত্রী নিজে সচেতন হলেই তা সম্ভব, প্রতিটি যাত্রী যদি টাকা দিয়ে টিকিট চেয়ে নেন, তা হলেই আমাদের উদ্দেশ্য সফল হবে।

রতিকান্ত ঘোষ

কলকাতা-১২৪

ক্লাবের জমি

স্বাধীনতা লাভের পরেই উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর অঞ্চলে কিছু বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রতিষ্ঠা করেন ‘নেতাজী কলোনী সেবা সংঘ’ ক্লাব। ১৯৪৭ সালে আসা উদ্বাস্তুরা এই ক্লাবের দ্বারা বিশেষ ভাবে উপকৃত হন। ক্লাবটি ‘নেতাজী কলোনী’র গোড়াপত্তন করে। মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের প্রচেষ্টায় ক্লাবের এবং কলোনির অধিবাসীদের জমি, রিফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ডিপার্টমেন্টে নথিভুক্ত করা হয়। পূর্বতন সরকার কলোনির অধিবাসীদের শর্তহীন দলিল দিলেও, ক্লাবকে দেয়নি। যাতে দলিল পাওয়া যায়, সে জন্য ‘নেতাজী কলোনী সেন্ট্রাল কমিটি’ মারফত ১০-২-২০১৫ তারিখে রিফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ডিপার্টমেন্টে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও কিছু হয়নি।

শ্যামল ভট্টাচার্য

সভাপতি, নেতাজী কলোনী সেবা সংঘ

ট্রেন চাই

পূর্বরেলের শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় দিন-দিন অফিস টাইমে যাত্রীদের সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে, সে ভাবে নতুন ট্রেন সংখ্যা না বাড়ায়, যাত্রীরা নাজেহাল। বিশেষ করে হাবড়ার পরবর্তী প্রান্তিক স্টেশনগুলির ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি। কারণ, সকালের অফিস টাইমে হাবড়া বা দত্তপুকুর লোকাল থাকলেও, দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে ডাউন বনগাঁ-শিয়ালদা লোকাল নেই। মছলন্দপুর গোবরডাঙা, চাঁদপাড়া ও বনগাঁ সংলগ্ন কয়েক হাজার মানুষের সুবিধার্থে, সকালের অফিসটাইমে, সকাল ৭:৩০ এবং ৮:০৮-এর মাঝে একটি বনগাঁ-শিয়ালদা লোকাল ট্রেন দিলে খুব ভাল হয়।

জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ

সাধারণ সম্পাদক, বনগাঁ লোকাল নিত্যযাত্রী ঐক্যমঞ্চ

বেশি নিচ্ছে

গত ২৬-২ তারিখে বিকাল ৫:৪২-এ বালি থেকে সোদপুর যাওয়ার জন্য একটা ছোট গাড়িতে নিবেদিতা সেতু অতিক্রম করি। টোল বুথ থেকে ১০০ টাকা নেওয়া হয়। বলে, ট্যাক্স বেড়েছে। পিছনে প্রচুর গাড়ির লাইন ছিল, কোনও কথা বলিনি। পরে দেখি টিকিটে লেখা আছে, ৫০ টাকা ফি আর ৫০ টাকা পেনাল্টি। পরে জানলাম জোরাজুরি করে অনেকের কাছেই এ ভাবে ১০০ টাকা নেওয়া হয়েছে, আসল ট্যাক্স ৫০ টাকা। সব জানিয়ে টিকিটের পিছনে থাকা ইমেল ঠিকানায় মেল লিখি। যথারীতি কোনও জবাব নেই।

সৌমিত্র সেনগুপ্ত

পূর্বাচল পল্লি, হুগলি

এলইডি আলো

বিভিন্ন বাইকে এবং গাড়িতে হেডলাইটের পাশে এলইডি আলো লাগানো হচ্ছে, আর সেই আলো জ্বালানো হচ্ছে, হেডলাইট না জ্বালিয়ে। উল্টো দিক থেকে আসা পথচারী ও গাড়ির চালকদের চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনা হতে পারে।

বিজনকুমার মিত্র

চুঁচুড়া, হুগলি

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন