সম্পাদক সমীপেষু: সুরকারের অভিষেক

১৯৫৩ সাল। নির্মল দে-র পরিচালনায় ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ তখন সদ্য মুক্তি পেয়েছে। এই ছবির শুটিং চলাকালীনই মানবেন্দ্রকে নিজের পরের ছবি ‘চাঁপাডাঙ্গার বৌ’-এর সংগীত পরিচালনার জন্য নির্বাচন করেছিলেন পরিচালক নির্মল দে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৮ ০০:৫২
Share:

‘রক্ষা পেল তারাশঙ্করের বাড়ি’ (কলকাতার কড়চা, ১২-৩) প্রসঙ্গে বলতে চাই যে, বাড়িটির ঠিকানা ছিল ২৭ নম্বর টালা পার্ক অ্যাভিনিউ। অনেক গুণী মানুষের পদধূলিধন্য এই বাড়িতেই সুরকার হিসাবে সংগীতশিল্পী মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সংগীতবোধের একটি পরীক্ষা নিয়েছিলেন স্বয়ং তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

১৯৫৩ সাল। নির্মল দে-র পরিচালনায় ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ তখন সদ্য মুক্তি পেয়েছে। এই ছবির শুটিং চলাকালীনই মানবেন্দ্রকে নিজের পরের ছবি ‘চাঁপাডাঙ্গার বৌ’-এর সংগীত পরিচালনার জন্য নির্বাচন করেছিলেন পরিচালক নির্মল দে। তবে শর্ত একটাই, যেহেতু এই ছবির কাহিনিকার এবং গীতিকার তারাশঙ্কর নিজেই, তাই তাঁর অনুমতি প্রয়োজন।

ইতিপূর্বে ছায়াছবিতে সংগীত পরিচালনার কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না মানবেন্দ্রর। তবুও এক দিন সকালে নবাগত এই সংগীতপ্রতিভাকে নিয়ে টালা পার্কের বাড়িতে এলেন নির্মল দে। বসার ঘরের টেবিলে তারাশঙ্কর তখন ‘চাঁপাডাঙ্গার বৌ’-এরই গান রচনার কাজ করছিলেন। নবাগত মানবেন্দ্র তাঁর কাহিনি-নির্ভর ছবির সংগীত পরিচালনা করবেন এটা জেনে প্রথমটা খুব একটা খুশি হননি লেখক। পরে একটি চিরকুটে গানের দু’লাইন লিখে মানবেন্দ্রর হাতে দিয়ে তাতে তখনই সুর করতে বলেন লেখক। তারাশঙ্করের কাছে শুধু গানের সিচুয়েশনটা জেনেই মানবেন্দ্র চোখ বন্ধ করে গেয়ে ওঠেন সেই বিখ্যাত গাজনের গান, ‘শিব হে শিব হে অ শিব শঙ্কর...’। চোখ খুলে দেখেন ওই গানের তালে তারাশঙ্করবাবুও নাচছেন আর পরিচালককে বলছেন, ‘নিয়ে নাও, একে নিয়ে নাও, এই ছেলে পারবে।’ ছবিতে উত্তমকুমারের মুখে এই গানটি ব্যবহার করা হয়েছিল। আর এই ছবি দিয়েই বাংলা ছবিতে সুরকার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

শুভায়ু সাহা ইন্দ্রপুরী, মুর্শিদাবাদ

হাত দিয়েই

দু’একটা বড় দোকান ছাড়া প্রায় সব মিষ্টির দোকানেই হাত দিয়ে খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার রেওয়াজ আছে। যে-হাত দিয়ে দোকানের কর্মীরা টাকাপয়সা নিচ্ছেন, সেই হাত দিয়েই খাবার দিচ্ছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, টাকাপয়সা হল বিভিন্ন রোগের বাহন। হাজার হাত ঘুরে বেড়াচ্ছে এই টাকাপয়সা। পেটের রোগের আর দোষ কী! শুধু কয়েকটা বিশেষ দোকানে, হাতে গ্লাভস পরে বা চিমটে দিয়ে খাদ্যদ্রব্য ধরা হয়। ফুড ইন্সপেক্টর সাহেবরাও এ দিকে বিশেষ নজর দেন না। আমরা খরিদ্দাররা বললে দোকানের কর্মীরা কথা শোনেন না, আর দোকানের মালিকরা তর্ক জুড়ে দেন। অনেক মালিক খারাপ ব্যবহারও করেন।

অরবিন্দ শীল কলকাতা-৬১

অঙ্গনওয়াড়ি

আমি অবসরপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কথা বলছি। দরিদ্র বাড়ির এই সব মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক পাশ মেয়ে/বউরা পূর্বতন সরকারের সমাজ কল্যাণ বিভাগ দ্বারা নানা পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে গত শতকের নব্বইয়ের দশকের দিকে অতি অল্প সাম্মানিক ভাতা, মাত্র ২৮০ টাকায় গ্রামে শিশু ও প্রসূতি মায়েদের সেবার কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন। পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কিছু কিছু টাকা বাড়ালেও, এখন যাঁরা ৬৫ বছর বয়সে অবসর নিচ্ছেন, তাঁরা একেবারে শূন্য হাতে ঘরে ফিরে আসছেন। পূর্বতন সরকার এঁদের অবসরকালীন কিছু থোক টাকার আশ্বাস শোনালেও, কাজের কাজ কিছু করে যায়নি। বর্তমান সরকারের নানা মানবিক মুখ আমরা চার দিকে দেখতে পাই, তাই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশেষ অনুরোধ, গ্রামগঞ্জের এই অবসর নেওয়া গরিব অসহায় বয়স্ক মহিলাদের কথা ভেবে কিছু একটা ব্যবস্থা করুন।

তারাপদ দাস ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর

শিক্ষকের সন্তান

বর্তমান সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষিকাগণ তাঁদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ে নিজ সন্তানকে পড়াতে পারেন। এতে কিছু ক্ষেত্রে সুবিধা হলেও, দেখা যায়, সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাঁর কন্যাকে এবং সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তাঁর পুত্রকে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে অনেক সময়েই পড়াতে পারেন না, কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই বিদ্যালয়গুলি কো-এডুকেশনাল নয়। অনেক বার এই বিষয়ে বিকাশ ভবনে ‘বিদ্যালয় শিক্ষা’ দফতরে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

দীপনদেব রায় সহ শিক্ষক, কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল, নদিয়া

সাঁকরাইল

সাঁকরাইল স্টেশনের লেভেল ক্রসিংয়ের দু’পাশের রাস্তা অত্যন্ত খারাপ। দু’চাকার গাড়ি থেকে বড় লরিও যাতায়াত করে। খুবই ঝুঁকি থেকে যায়। দুটি বিদ্যালয়, বাজার, ব্যাংক ও থানা স্টেশনের পূর্ব দিকে। পশ্চিম থেকে যেতে ওই ছাড়া পথ নেই। ওই রাস্তা সারানো হোক।

সনৎকুমার কর ই-মেল মারফত

চুল্লি

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের আর্থিক সহযোগিতায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের খিদিরপুর মহাশ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রায় আড়াই বছর আগে ওই চুল্লির শিলান্যাস হয়ে কয়েক দিন আগে কাজ শেষ হওয়া সত্ত্বেও এখনও কেন চালু করা হচ্ছে না?

বালুরঘাট মহাশ্মশানে তিনটি কাঠ চুল্লি আছে, তার মধ্যে দুটি আত্রেয়ী নদীর চরে আর একটি চরের ওপরে। কয়েক মাস আগে বালুরঘাট এবং পার্শ্ববর্তী জেলায় ভয়াবহ বন্যার ফলে নদীর চরের দুটি চুল্লি ব্যবহার করা খুবই কষ্টকর হয়েছিল। চরের ওপরে যে চুল্লি আছে সেটিও অকেজো হয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ পড়ে রয়েছে। চরের দুটি চুল্লির কোনও শেড বা ছাদ নেই। ঝড়, বৃষ্টিতে মরদেহ সৎকার করার ক্ষেত্রে ভীষণ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

সোনা দত্ত বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর

যথাযথ?

‘মাওবাদী হামলায় নিহত ৯ জওয়ান’ শীর্ষক খবরটি স্থান পেল আটের পাতায়, আর ছবিসহ বৈশাখী-মেয়রের কাহিনি প্রথম পাতায়! আনন্দবাজারে সংবাদ যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে তো?

দেবাশিস মিত্র নেতাজিনগর, কলকাতা

ব্যক্তিগত

বেশ কিছু দিন ধরেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাগজে ও টিভিতে সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। সম্প্রতি শোভন-রত্না-দুলাল-বৈশাখীর সাক্ষাৎকারগুলি দেখেশুনে মনে হয়েছে, এই সব একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে আমাদের কৌতূহল ও অতি উৎসাহ থাকা সংগত নয়। আবার, এমন একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের ভবন থেকে মেয়রের সাক্ষাৎকার দেওয়াটাও সমীচীন নয়। শোভনবাবুর কথাবার্তা এবং শরীরী ভাষায় মনে হয়েছে, আবাসন-দমকল-পরিবেশের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি মেয়রের কার্যাবলি সম্পাদনে মনোযোগ দেওয়া তাঁর পক্ষে কষ্টসাধ্য। জনগণ এই পদগুলিতে ফুলটাইমার চাইতেই পারেন।

সুভাষ ঘোষ হাজরা, পাঁচথুপী, মুর্শিদাবাদ

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন