Nabanna Scholarship

সম্পাদক সমীপেষু: অনলাইনে দরখাস্ত

‘নবান্ন স্কলারশিপ’-এর জন্য দরখাস্ত জমা দিতে যেতে হবে খাস নবান্নেই। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়া যাবে না। পোস্টের মাধ্যমে পাঠালে তা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:৫৯
Share:

অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়া যাবে না।

Advertisement

জনসাধারণের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণের জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প রয়েছে। রেশন পেতে রয়েছে ‘দুয়ারে রেশন’। কিন্তু ‘নবান্ন স্কলারশিপ’-এর জন্য দরখাস্ত জমা দিতে যেতে হবে খাস নবান্নেই। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়া যাবে না। পোস্টের মাধ্যমে পাঠালে তা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে ছাত্র বা ছাত্রী এই দরখাস্ত দেবে, তাকে নিজেকে যেতে হবে। একলা যেতে পারবে না। সঙ্গে অভিভাবককেও যেতে হবে। কলকাতা বা হাওড়ার বাসিন্দাদের হয়তো তেমন অসুবিধা হবে না। কিন্তু বাকি জেলাগুলির ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

আমার বাড়ি খানাকুল। এখান থেকে নবান্ন যেতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগে। এক জনের যাতায়াত খরচ প্রায় ২০০ টাকা। দু’জনের ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা। গরিব মানুষ। অতএব বাইরে হোটেলে খাওয়া বিলাসিতা। বাড়ি থেকে মুড়ি নিয়ে গিয়ে সারা দিন তা খেয়েই কাটাতে হবে। দিনমজুরি করে খাই। এক দিনের রোজ ২৫০ টাকা। কাজ না করলে সপরিবারে উপোস করতে হবে। এর পর স্কলারশিপের টাকা পাওয়া যাবে কি না, তারও নিশ্চয়তা নেই। তাই, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, নবান্ন স্কলারশিপ-এর ফর্ম অনলাইন জমা বা পোস্টের মাধ্যমে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

Advertisement

অচিন্ত্য পান্ডা, খানাকুল, হুগলি

রেলের গাফিলতি

সাঁতরাগাছিতে পেল্লায় একটি ফুট-ওভারব্রিজ হয়েছে। অথচ, দূরপাল্লার যাত্রীদের মালপত্র বহনের সুবিধার জন্য কোনও র‌্যাম্প নেই। বেশির ভাগ দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে প্যাসেঞ্জারদের ছ’নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে এক নম্বরে আসতে হয়। এ দিকে, এক নম্বরে এসক্যালেটরের ব্যবস্থা থাকলেও ছ’নম্বরে নেই। তা ছাড়া, যাত্রীদের খাওয়ার জন্য রেল এখনও পর্যন্ত এখানে একটি জন-আহারের দোকান গড়ে তোলেনি।

বর্ষাকালে রাস্তায় জল দাঁড়াবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সাঁতরাগাছির মতো জংশন স্টেশন সংলগ্ন রাস্তাটির অবস্থা রীতিমতো নারকীয় হয়ে ওঠে এই সময়ে। বছর দশেক কোনও সংস্কার হয়নি এই রাস্তার। এলাকার অধিবাসীদের এই পথ এড়ানোর কোনও উপায় নেই। জলমগ্ন গর্তের গভীরতা বুঝতে না পেরে প্রায়ই টোটো উল্টে পড়ে। আবার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে-র আন্ডারপাস দিয়ে কোনও ট্যাক্সিকে কলকাতার দিকে যেতে দেওয়া হয় না। ফলে, কুড়ি সেকেন্ডের পথ পেরোতে ট্যাক্সিগুলোকে দুই কিলোমিটার ঘুরতে হয়। বহু দিন ধরে শুনে আসছি, সাঁতরাগাছি নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু এত বছরেও কাজের কাজ কিছুই হতে দেখলাম না।

শোভন সেন, সাঁতরাগাছি, হাওড়া

ফুটব্রিজ সংস্কার

আমি গড়িয়াহাট অঞ্চলের বাসিন্দা। এই চিঠির মাধ্যমে কলকাতা পুরসভা ও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একডালিয়া ও কর্নফিল্ড রোডের সংযোগে স্থিত ফুটব্রিজটি এই অঞ্চলের মানুষের রাস্তা পার হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এখানে এক দিকে এসক্যালেটর ও অন্য দিকে লিফট আছে। কিন্তু বর্তমানে দু’টিই অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফুটব্রিজের সিঁড়িটি অত্যন্ত অপরিষ্কার ও আবর্জনায় পূর্ণ। যাতায়াত করার পক্ষে অনুপযুক্ত। অঞ্চলে একটি বড় স্কুল থাকার জন্য এবং এখন স্কুল খোলা থাকায় রাস্তায় খুব ভিড় হচ্ছে। যানবাহনের কারণে রাস্তা পারাপারে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় পথচারীদের। অবিলম্বে ফুটব্রিজটি পরিষ্কার, রক্ষণাবেক্ষণ এবং লিফট ও এসক্যালেটর চালু করার আবেদন জানাচ্ছি।

চৈতালী বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা-১৯

অসাধু এজেন্সি

গত বছর জরুরি কারণে আমার স্ত্রীর আমেরিকা যাওয়ার প্রয়োজন হওয়ায়, আমি মির্জা গালিব স্ট্রিটের একটি ট্র্যাভেল এজেন্সি-র মাধ্যমে ২০ মার্চে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা ব্যয়ে একটি বিদেশি এয়ারলাইন্সে দমদম থেকে আমেরিকা যাওয়া ও আসার টিকিট কাটি। আমেরিকা রওনা হওয়ার তারিখ ছিল ৯ মে। কিন্তু ৩০ এপ্রিল আমেরিকা অতিমারির কারণে, ভারতীয় নাগরিকদের সে দেশে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিরুপায় হয়ে আমি উক্ত এজেন্টকে ৬ মে বিমানের টিকিট বাতিল করতে অনুরোধ করি এবং আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রিফান্ড টাকা পাঠিয়ে দিতে বলি। কিন্তু, নানা অছিলায় এজেন্ট আমার টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। এমনকি আমার ফোনও ধরছিলেন না। ব্যক্তিগত ভাবে বহু বার আমি ওঁদের অফিসে গিয়েছি, কিন্তু শুধু আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পায়নি। এমতাবস্থায়, ৩০ সেপ্টেম্বর উপভোক্তা বিষয়ক দফতরের কলকাতা অফিসে উক্ত ট্র্যাভেল এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাই। ওদের মধ্যস্থতায় শেষপর্যন্ত সাকুল্যে ষাট হাজার টাকা আদায় হয়। এর পর ওই কোম্পানি আর উপভোক্তা বিষয়ক দফতরের ডাকে সাড়া দেয়নি, এমনকি তাদের ফোনও ধরেনি। এমতাবস্থায়, এ বছর ১৩ জুন দফতর থেকে আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, যে-হেতু সংস্থাটি তাদের মধ্যস্থতায় ব্যাপারটি সমাধানে রাজি নয়, সে জন্য বিষয়টি নিয়ে তারা আর এগোবে না। সেই সঙ্গে, আমাকে পরামর্শ দেওয়া হয়, ইচ্ছা করলে আমি ওই ট্র্যাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা করতে পারি। আমার বয়স এখন ৭২ বছর, শারীরিক ভাবে খুবই দুর্বল। এই অবস্থায় আমার পক্ষে এখন আদালতে ছোটাছুটি করা সম্ভব নয়। শুধু তা-ই নয়, এটি একটি দীর্ঘকালীন ব্যাপার, আর্থিক সচ্ছলতারও দরকার, যা আমার মতো রাজ্য সরকারি কর্মচারীর সামান্য পেনশনের টাকায় সম্ভব নয়। আমার মতো পরিস্থিতিতে নিশ্চয়ই আরও অনেকে আছেন। এই সমস্যার কি কোনও সুরাহা করা যায় না?

চঞ্চল চট্টোপাধ্যায়, ডানকুনি, হুগলি

মুদ্রা দোষ

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সরকারি টাঁকশাল থেকে যে দু’টাকার কয়েন ছাড়া হয়েছে, তার আকার হুবহু ছোট এক টাকার কয়েনের মতো। ‘২’ লেখাটাও এতই ছোট যে ঠিকমতো ঠাহর করা যায় না। এই কয়েন বাজারে বাড়তে থাকলে অনেকেই ছোট এক টাকার কয়েনের সঙ্গে ভুল করতে পারেন। খরচ কমানোর জন্য মুদ্রার আকার ছোট হোক, কিন্তু আলাদা আলাদা মূল্যের মুদ্রার গায়ে তাদের মান বড় আকারে ও একটু অন্য রঙে লেখা হোক। একই সঙ্গে ছোট এক টাকার কয়েন আজও বহু জায়গায় কোনও অজ্ঞাত কারণে ইচ্ছাকৃত ভাবে নিতে অস্বীকার করা হয়। অবিলম্বে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এই বিষয়ে কড়া বিবৃতি দিক ও বাজার থেকে ধীরে ধীরে বড় এক টাকার কয়েন তুলে নিয়ে সর্বত্র ছোট এক টাকার কয়েন চালু করুক।

অরিত্র মুখোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর, হুগলি

তথ্যের গুরুত্ব

১ অগস্ট থেকে নির্বাচন কমিশন আধার ও ভোটার কার্ড লিঙ্কের কাজ শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় এই নিয়ে ক্যাম্প করা হচ্ছে। কিন্তু ভোটারদের এ কথা বলা হচ্ছে না যে, শেষ চার সংখ্যা শুধু যে আধার কার্ডে আছে, সেটিই লিঙ্কের জন্য নেওয়া হবে। কিছু দিন আগেই আধার নিয়ামক সংস্থা সতর্ক করেছে যে, আধারের বারো সংখ্যার তথ্য অন্য কারও হাতে পড়লে ব্যক্তিগত বহু তথ্যের গোপনীয়তা আর থাকবে না। এতে নানা ভাবে, বিশেষ করে আর্থিক ক্ষেত্রে বিপদ হতে পারে। আশ্চর্যের বিষয়, জনপ্রতিনিধিরাও ভোটারদের সচেতন করছেন না। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রচারমাধ্যম এই বিষয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হয়তো এই জনবিরোধী কার্যক্রম বন্ধ হবে।

অশোক কুমার ঘোষ, কলকাতা-১২

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement