সম্পাদক সমীপেষু: সঙ্কটে গ্রাম পঞ্চায়েত

সম্প্রতি সরকারি এক নির্দেশিকায় ট্রেড লাইসেন্স অনলাইন করে দেওয়ার ফলে পঞ্চায়েতগুলি আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:২৩
Share:

ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় গ্রাম পঞ্চায়েত হল গ্রামীণ মানুষের সরকার। এই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম হয়ে থাকে। বছরে কয়েক লক্ষ টাকা অনুদান পায় পঞ্চায়েতগুলি। ওই অনুদানের টাকা নির্ধারিত প্রকল্প খাতে ব্যয় করতে হয়। আপৎকালীন শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পানীয় জল-সহ পঞ্চায়েত পরিকাঠামো পরিচালনা এমনকি ‘দুয়ারে সরকার’, ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি, অতিথি আপ্যায়ন, অস্থায়ী কর্মীদের বেতন-সহ একাধিক বিষয়ে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে বছরে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে পঞ্চায়েতগুলি। আর এই তহবিলের অর্থ আসে মূলত পঞ্চায়েতের ভূমি ও গৃহকর, জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র, উত্তরাধিকার শংসাপত্র প্রদান, বাড়ি তৈরির অনুমতি ফি ছাড়াও মূলত ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায়ের মাধ্যমে।

Advertisement

এত দিন এই ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায় হত পঞ্চায়েত ও তাদের কমিশন-ভিত্তিক কর আদায়কারীদের মাধ্যমে। সম্প্রতি সরকারি এক নির্দেশিকায় এই ট্রেড লাইসেন্স অনলাইন করে দেওয়ার ফলে পঞ্চায়েতগুলি আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অন্য দিকে, পঞ্চায়েতের কমিশনভিত্তিক কর আদায়কারীরা কমিশন না পাওয়ায় তাঁদের পরিবার আজ চরম সঙ্কটের মুখে পড়েছে। অর্থের অভাবে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল দুর্বল হয়ে পড়ায় পঞ্চায়েত পরিচালনার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়

Advertisement

শিয়াখালা, হুগলি

আশার আলো

পরস্পরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার যে মন্ত্র আমরা ছোটবেলায় স্কুলে পড়াশোনার মধ্যে আহরণ করেছি, তার একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত দেখলাম ‘বাণীবন্দনায় মেহবুব-হাসানুর স্যর’ (৬-২)-এর আচার অনুষ্ঠানে। প্রকৃত শিক্ষার এই মূলমন্ত্রেই রয়েছে শক্তি ও প্রগতির বীজ। বর্তমান রাজনীতি বিষয়টিকে ক্রমশ জটিল করে তুলছে। কেবল মনীষী বা মহাপুরুষ নয়, দেবদেবী নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে বিভাজনের খেলা। নির্বাচন এলেই শুরু হয়ে যায় সেই মত্ততা। মানুষের দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অভিযোগ চাপা পড়ে যায় তাতে। হিংসা-প্রতিহিংসার রাজনীতি শিক্ষা, শিল্প, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতির বাতাবরণটিকে ক্রমশ দুর্বল করে তুলছে। স্বাধীনতার পরে দেশের যতটুকু প্রগতি সম্পাদিত হয়েছে, ধর্ম নিয়ে উন্মাদনার কারণে আজ তা ক্রমে তলিয়ে যাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে নিজেদের মধ্যেই এমন কোন্দল আর প্রতিশোধস্পৃহা জানি না আগামী দিনে কী বার্তা বয়ে আনতে চলেছে! এই অশনিসঙ্কেতের মাঝে সমন্বয়ের এমন দৃষ্টান্ত আশার আলো। সেই আলো যেন নিবে না যায়!

বাবুলাল দাস

ইছাপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

কঠোর ব্যবস্থা

সংবাদপত্র খুললেই প্রায় প্রতি দিন রাজ্যের কোথাও-না-কোথাও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য সাধারণ মানুষ-সহ দু’-চাকার চালক ও আরোহীদের মৃত্যুসংবাদ পাওয়া যায়। পাশাপাশি বাইক চালকদেরও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছেন নিরীহ মানুষ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধাক্কা মারার পরে চালকরা গাড়ি ফেলে পালিয়ে যান এবং অল্প সংখ্যকই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি এই সব চালকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা করা হলে এই প্রবণতা যেমন কমবে, তেমনই অন্য চালকরাও সতর্ক হবেন। সম্প্রতি সরকার বাইক চালক-সহ আরোহীরা হেলমেট না পরলে ও গাড়ির অন্যান্য কাগজপত্র ঠিকমতো না থাকলে জরিমানা বাড়িয়েছে। তেমনই যে সমস্ত গাড়ির চালকের বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর জন্য নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকার আরও কঠোর ব্যবস্থা করলে দুর্ঘটনার হার কমবে। বিষয়টি বিবেচনা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

অপূর্বলাল নস্কর

ভান্ডারদহ, হাওড়া

যানজট

বর্ধমান কৃষক সেতু থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি বাঁকুড়া মোড় থেকে এক দিকে আরামবাগ ও ডান দিকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রতি দিন হাজার হাজার গাড়ি এই পথে যাতায়াত করে। তিনটি জেলার অগণিত মানুষ এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। বর্ধমান শহরে প্রবেশ ও শহর থেকে বেরোবার জন্য কৃষক সেতু পার হতেই হবে। বর্ধমান থেকে বাঁকুড়া মোড় ও বাঁকুড়া মোড় থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের নীচে বর্ধমান সাবওয়ে পর্যন্ত এই অল্প পথ পেরোতে তীব্র যানজটের কারণে ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা লাগে। এটা এখন নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা। তীব্র যানজটের কারণে অ্যাম্বুল্যান্স, বিমান ও রেলযাত্রীদের হামেশাই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটছে। এই ভয়াবহ অবস্থার আশু সমাধান দরকার।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিবেদন, রাস্তায় কয়েকটি জায়গায় অভিজ্ঞ ট্র্যাফিক কনস্টেবল মোতায়েন করে সুচারু রূপে যান নিয়ন্ত্রণ করলেই এই জটিল সমস্যার সমাধান সম্ভব।

মিলন চট্টোপাধ্যায়

ময়নাডাঙা, হুগলি

যথেষ্ট নয়

এ বারের বাজেটে মনোরোগ উপশমের জন্য টেলিমেডিসিন প্রকল্প রূপায়ণের উল্লেখ আছে। কিন্তু সমাজের সর্বস্তরে মনোরোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সরকারি এবং বেসরকারি নানা উদ্যোগ দরকার। তা ছাড়াও ছোট থেকে ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তকে যেমন নানা দৈহিক রোগ-নির্ণয় এবং তার প্রতিরোধ সম্বন্ধে কিছু কিছু ধারণা দেওয়া থাকে, তেমনই যদি মনোরোগ সম্পর্কিত নানা ধারণাও তাদের কাছে তুলে ধরা যায়, তা হলে আশা করা যেতে পারে, মনোরোগ সম্পর্কে সার্বিক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমানে চার দিকে যে ভাবে মানুষ অবসাদের শিকার হচ্ছেন, তার থেকে মুক্তি এবং সুস্থ স্বাভাবিক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে মনোরোগের উপশমের জন্য কেবলমাত্র টেলিমেডিসিনই যথেষ্ট নয়। সরকার কর্তৃক আরও নানাবিধ উদ্যোগ করা দরকার। যেমন, মানসিক হাসপাতালের পরিষেবা যদি আরও বৃদ্ধি করা যায় তবে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।

রিক্তা বসু

কলকাতা-১৪৪

ডাকঘর স্থানান্তর

ইন্দার জনসংখ্যা দশ হাজারের উপর। সম্বল একটি মাত্র ডাকঘর। ডাকঘরের পুরনো সব কাজ প্রায় উঠে গিয়েছে। যেমন, পোস্টকার্ড, খাম বা ইনল্যান্ড প্রায় বিক্রিই হয় না। মাঝে মাঝে দু’-চারটে মানিঅর্ডার হয়। এখন এখানে এমআইএসের পরিষেবা পাওয়া যায়, যার কারণে শহরের প্রবীণ নাগরিকরা ডাকঘরে আসেন মাসিক টাকা তোলার জন্য। সমস্যা হল, ডাকঘরটি আকারে ছোট। বয়স্কদের সবার বসার জায়গা হয় না। অনেককেই তাই বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তা ছাড়া ডাকঘরে ঢোকার মুখে গলিটা অত্যন্ত সরু। পাশাপাশি দু’জন লোক যাতায়াত করতে পারেন না। তাই ডাকঘরটিকে কোনও খোলামেলা জায়গায় স্থানান্তরিত করলে ভাল হয়।

সঞ্জয় চৌধুরী

খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর

সত্যিই দাবিহীন?

পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপনে অনেক পাত্রীপক্ষ পরিষ্কার লেখেন দাবিহীন পাত্রের কথা। আবার অনেক পাত্রপক্ষ পাত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতামান উল্লেখ করে শর্ত দেন কর্মরতা পাত্রীর। বিনা পণে বিবাহের প্রচার যেখানে এগিয়ে চলার মাপকাঠি বলে গণ্য হয়, সেখানে পাত্রীর কর্মরতা হওয়ার শর্ত কি সত্যি দাবিহীন বিজ্ঞাপন?

দীপ্তেশ মণ্ডল

চালুয়াড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement